ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মানবতার সেবায় আদর্শ প্রতিষ্ঠান: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

Published in আলোকিত বাংলাদেশ  on Wednesday, 20 December 2017

 

আমরা অত্যন্ত গর্বিত, বাংলাদেশে বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সম্প্রতি যে নাগরিক প্লাটফর্ম সৃষ্টি করেছি, যেখানে বাংলাদেশের একটি মানুষও পেছনে পড়ে থাকবে না, সে উদ্যোগের সঙ্গে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন যুক্ত হয়েছে। সেজন্য আমরা খুবই গর্ববোধ করি

অর্থনীতি, শিক্ষাসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে সমাজসেবায় অনবদ্য অবদানের জন্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে ২০১৬ সালের খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদক প্রদান করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। ২ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এইচ খান মিলনায়তনে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার হাতে এ পদক তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী ড. আনিসুজ্জামান।পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। তার বক্তব্য পত্রস্থ হলো।

আমি আজ এখানে দাঁড়িয়েছি অত্যন্ত বিনয় ও বিনম্র শ্রদ্ধা নিয়ে। কারণ আজকের এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। এটি বাংলাদেশের শুধু একটি কৃতী প্রতিষ্ঠান বললে ভুল হবে; আমি বলি, বাংলাদেশে মানবতার সেবায় যে কয়টি বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর পুরোধা হিসেবে অত্যন্ত আদর্শ এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের সবার শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আমি আপনাদের সবাইকে এজন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। আহ্ছানিয়া মিশনের এ সফলতার পেছনে কাজী রফিকুল আলম সাহেবের যে অবদান, সেটির প্রতি আমি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা জানাতে চাই।

আমরা অত্যন্ত গর্বিত, বাংলাদেশে বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সম্প্রতি যে নাগরিক প্লাটফর্ম সৃষ্টি করেছি, যেখানে বাংলাদেশের একটি মানুষও পেছনে পড়ে থাকবে না, সে উদ্যোগের সঙ্গে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন যুক্ত হয়েছে। সেজন্য আমরা খুবই গর্ববোধ করি।

আজকে যার নামে এ সম্মানসূচক পদক দেয়া হচ্ছে, তার ব্যাপারে ড. আবদুল মজিদের কাছে আপনারা বিস্তারিত শুনেছেন। আমি এখন যেটি বলতে পারি, সেটি হলো শত বছর আগে আমাদের এ অঞ্চলে এরকম একজন আলোচিত ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যার সুফল আজ আমরা প্রতিনিয়ত পেয়ে যাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। এমন একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যিনি শিক্ষাকে শুধু শিক্ষা হিসেবে দেখেননি, শিক্ষার প্রচারকে তিনি সমাজ পরিবর্তন, সমাজ সংস্কার এবং তৎকালীন অসুবিধাগ্রস্ত মুসলিম সমাজকে মূলধারার সঙ্গে যুক্ত করতে আলোকবর্তিকা জ্বালিয়েছিলেন। এরকম একজন মানুষের নামের সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে পেরেছি – এটি আমাদের বিরল সৌভাগ্য বলে আমি মনে করি। তিনি ছিলেন গবেষক, তিনি ছিলেন সুফি সাধক। তিনি এমন একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন, যিনি ধর্ম চর্চা করেছেন; কিন্তু অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে। এ আলোকিত আধ্যাত্মিক চিন্তাও আজকালকার সমাজে খুব বিরল একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

সেহেতু খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লাকে যদি স্মরণ করতে হয়, তার প্রতি যদি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে হয়, তাহলে একদিকে যেমন আমাদের সমাজসেবা, মানবসেবার বিষয়টিকে মনে রাখতে হবে, অপরদিকে আমাদের ধর্মীয় চিন্তা ও আধ্যাত্মিক চেতনার ভেতরে অসাম্প্রদায়িক ধারণাকে ধারণ করতে হবে। এ দুইয়ের সম্মিলনের মধ্য দিয়েই আহছানিয়া মিশন আগামী দিনে এগিয়ে যাবে, এটি আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনাদের সবাইকেই সেজন্য অভিনন্দন।

উপস্থিত সুধীমণ্ডলী, আজকের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সাহেব এসেছেন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আপনাদের সবার শ্রদ্ধেয় তো বটেই, তিনি আমারও শ্রদ্ধাভাজন। তিনি আমার এগারো ভাগের এক ভাগের নিয়োগকর্তাও বটে। কারণ সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থেকে আমার চাকরির অনুমোদন হয়, তিনি সেটির একজন সদস্য। সেহেতু আজকের সভাপতি, সিপিডির চেয়ারম্যান এবং আজকের প্রধান অতিথি আমাদের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ও বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

গতকাল পোপকে নিয়ে আয়োজিত নাগরিক ও আন্তঃধর্মীয় সভায় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বক্তব্য রেখেছিলেন। আমি আজ এখানে এসেই আনিস স্যারকে বলেছি, আপনার একটি কথা নিয়ে আলোচনা করতে করতে আমরা সবাই গতকাল ঘরে ফিরেছি। তিনি বলেছেন, এখনও বাংলাদেশের কোনো কোনো জায়গায় ধর্মীয় বৈষম্য বা জাতিগত নিপীড়নের ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের ওপর বা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার হয়। স্যার ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার না করে ‘নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী’ ব্যবহার করেছেন। এরপর তিনি বলেছেন, অন্য কোনো ভালো শব্দ না পেয়ে আমি সংখ্যালঘু শব্দটি ব্যবহার করছি। আসলে সংখ্যালঘু তারা, যারা অত্যাচার করে; যারা অত্যাচারিত হয়, তারা সংখ্যালঘু নয়। খুব অল্পসংখ্যক মানুষই আমাদের এ সমাজে অত্যাচারের ধারণার বশবর্তী হয়ে ক্ষমতা, বৈভব ও নিজেদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে এ কাজগুলো করে থাকে। আমি এখানে প্রবেশ করেই স্যারকে সেজন্য অভিনন্দন জানাচ্ছিলাম যে, গতকাল আপনি ‘সংখ্যালঘু’র নতুন সংজ্ঞা দিয়েছেন।

আজ অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে নিয়ে আলোচনা করতে আমাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। একজন শিষ্যের জন্য জনসম্মুখে গুরু সম্পর্কে বলা অত্যন্ত বিরল সৌভাগ্য ও গর্বের বিষয়। এ কারণে এ সুযোগ দেয়ার জন্য আমি আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। তবে সভাপতি আমাকে সময়মতো থামাবেন, কারণ আমি বলতে চাইলে তার ওপর প্রচুর ও বহু সময় ধরে বলতে পারব, তাতে হয়তো আজকের অনুষ্ঠানের বিঘ্ন ঘটবে।

সংক্ষেপে বলছি, অধ্যাপক রেহমান সোবহানের বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বকে অনুধাবন করার বহু দিক রয়েছে। একটি বিষয়ে আপনারা চিন্তা করতে পারেন, তিনি অত্যন্ত উচ্চবিত্ত ও উচ্চবর্গীয় পরিবার থেকে এসেছিলেন। যেমন আপনারা জানেন, তার মা ও পূর্বপুরুষরা ঢাকার নবাব পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা সে অর্থে উন্মেষকালীন বাঙালি উদ্যোক্তা শ্রেণীর প্রতিভূ ছিলেন। সে সময় তিনি চামড়ার ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন, রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সে রকম একজন মানুষ কীভাবে জ্ঞানচর্চার প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এসে সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়ান!

সামাজিক চিন্তার যে বিবর্তন এবং এর ফলে যে সামাজিক অবস্থান, সেটি একধরনের গবেষণার বিষয় হতে পারে, আলোচনার বিষয় হতে পারে। আমরা অনেকেই যারা বামপন্থী আন্দোলন করেছি, তারা বলি যে, নিজের শ্রেণী থেকে বিচ্যুত হয়ে অনেক বেশি অসহায় শ্রেণীর পক্ষে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা। সেটির হয়তো এক ধরনের প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন।

আবার আমরা অনেক ক্ষেত্রে আলোচনা করতে পারি, প্রফেসর রেহমান সোবহানের জীবন বাংলাদেশের ইতিহাসে কীভাবে সমান্তরালভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। অর্থাৎ একদিকে পাকিস্তানের প্রাদেশিক নিপীড়ন-নির্যাতন বা জাতিগত বৈষম্যের মধ্যে কীভাবে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, মুক্তি সংগ্রামে যোগ দিচ্ছেন; অন্যদিকে পাকিস্তানোত্তর স্বাধীন বাংলাদেশের বিশেষ অবস্থার মধ্যে দেশ গড়ার কাজে ঢুকছেন। এটি আরেক ধরনের বিষয়। তারপর আপনি দেখতে পাবেন, শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে কীভাবে গণতন্ত্রহীনতার মধ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবস্থান নিচ্ছেন – এটি আরেক ধরনের। সেখানে এসেও পাশাপাশি আপনারা যখন অধ্যাপক সোবহাকে দেখবেন, তখন বুঝতে পারবেন, তিনি একজন  বিশ্বনাগরিক, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সেটি পেট্রো ডলারেই হোক বা বৈদেশিক সাহায্যে। বাংলাদেশের স্বাধীন স্বকীয় চিন্তা এবং বাংলাদেশে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ইত্যাদির সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হওয়া। এখানে আরেক ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আপনারা অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে বিচার করতে পারবেন।

আরও বিচার করতে পারবেন, এ অঞ্চলের অর্থাৎ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে কেমন করে একটি অখ-আঞ্চলিক সত্তা ও অখ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করা যায়। সেটি হলো আরেক ধরনের। সে চিন্তা শুধু অঞ্চলের ভেতরেই থেমে থাকে না, নতুন বিকাশমান অর্থনীতি, যেমন চীন এবং আরও দূরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে এটির সঙ্গে যুক্ত  করা। সেটি হলো বিকাশের আরেকটি চিন্তা। অর্থাৎ তিনি ৮২ বছর বয়সের এমন একজন তরুণ মানুষ, প্রতিনিয়ত আপনারা লক্ষ করবেন যে, তাৎক্ষণিকতার প্রতি যেমন তিনি প্রতিক্রিয়া দেখান, একই রকম ঐতিহ্যের প্রতিও অনুগত থেকে সেটিকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যান।

আপনাদের কাছে যেটি বলতে চাই সেটি হলো, অধ্যাপক সোবহানকে দেখতে চাইলে পারিবারিক জীবন থেকে, তার উত্তরণের দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে সঠিকভাবে দেখতে পাবেন। তার শিক্ষা, গবেষণা, জাতীয় অবদান থেকেও তাকে দেখতে পাবেন। একজন নাগরিক সমাজের নেতা হিসেবে দেখতে পাবেন, আবার একজন বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে, আঞ্চলিক নাগরিক হিসেবেও তাকে দেখতে পাবেন।

অধ্যাপক সোবহানের কাছ থেকে আমরা কী শিখেছি, তার খুবই অকিঞ্চিৎকর উত্তরাধিকার হিসেবে কিছু বলেই শেষ করব।

একটি বড় জিনিস শিখেছি। আমরা তার কাছ থেকে শিখেছি, সেটি হলো, জ্ঞানের জন্য জ্ঞান নয়; জ্ঞান হলো পরিবর্তনের জন্য। এ জ্ঞান দিয়ে যদি আমি দেশের মানুষের পরিবর্তন না করতে পারি, জীবনের পরিবর্তন না করতে পারি, দেশের ভবিষ্যতের পরিবর্তন না করতে পারি, একটি উন্নততর বিশ্বের একটি অঞ্চল যদি না গড়ে তুলতে পারি, তাহলে এ জ্ঞান দিয়ে কী হবে? আর সে পরিবর্তনটি কার জন্য হবে? সে পরিবর্তনটি হবে সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষটি, সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষটি, সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার মানুষটি, সবচেয়ে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষটির জন্য।

প্রফেসর রেহমান সোবহান নারী স্বাধীনতা ও নারী অধিকারের কথা বলছেন, ধর্মীয় নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুর কথা বলেছেন, খেটে খাওয়া গরিব মানুষ ও পোশাক শিল্পের শ্রমিকের কথা বলেছেন। একইভাবে তিনি কৃষি খামারে খেটে খাওয়া শ্রমিক-মজুরের কথাও বলেছেন, প্রভু-দাসের শ্রমিকের কথাও তিনি বলেছেন। তার এ জ্ঞানকে নিতে হবে। প্রফেসর রেহমান সোবহানের অকিঞ্চিৎকর উত্তরাধিকার হিসেবে এটি আমরা তার কাছ থেকে শিখেছি। তার কাছ থেকে আরও শিখেছি, পেশা জীবনের নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের মূল্যবোধের সমন্বয় না থাকলে পেশা জীবনের নিষ্ঠা যথোপযুক্ত হয় না।

প্রফেসর রেহমান সোবহানের জীবনে আমরা দেখেছি সাধারণ মানুষের জন্য তার মমত্ববোধ, সহমর্মিতা ও তাদের জন্য কিছু করার আকাঙ্ক্ষা। এটি তাকে শীতের দিনে রাতের অন্ধকারে গরিব মানুষকে কম্বল বিলাতে নিয়ে যায় নিভৃতে নির্জনে কোনো প্রচার ব্যতিরেকে। নিজের কাজের মানুষ থেকে শুরু করে সবার প্রতি তার মমত্ব তার কাছ থেকে আমরা নতুনভাবে শিখেছি।

পেশা জীবনে এ শিক্ষা, ব্যক্তি জীবনে তার মূল্যবোধ – এগুলো একত্র করে তাকে একজন অনন্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম, বাংলাদেশে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো তাই বহু বহু বছর ধরে তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে, তার প্রতি আমরা অনুগত থাকব এবং আজকে আপনারা যে তাকে সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এর চেয়ে বড় সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার একমত না হওয়ার কিছুই নেই।

আজ উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত, আনন্দিত এবং আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

 

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো