স্বাধীনতার পক্ষে এক ‘যোদ্ধা অর্থনীতিবিদ’

Published in প্রথম আলো  Tuesday, 1 December 2015

কালের পুরাণ

স্বাধীনতার পক্ষে এক ‘যোদ্ধা অর্থনীতিবিদ’

সোহরাব হাসান

untranquil-recollections-the-years-of-fulfilment-rehman-sobhan-cpd-2মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা অ্যান্থনি সি ই কোয়াইনটন তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভ্যান হলেনকে পাঠানো দাপ্তরিক বার্তায় লিখেছেন:

‘সিনেটর টম ডিনের পরামর্শক্রমে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিই; তাঁর সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয়েছিল ছয় বছর আগে পেশোয়ারে, যেখানে তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য নিয়ে একটি উদ্দীপনামূলক নিবন্ধ পেশ করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করলেন যে পররাষ্ট্র দপ্তর যেহেতু কনসাল জেনারেল ব্লাডের টেলিগ্রাম আমলে নেয়নি, সেহেতু পরিস্থিতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র অবহিত নয়; আমি তাঁকে বলি, তাঁদের এ ধারণা পুরোপুরি ভুল, আমরা ঢাকার প্রতিটি তথ্য পেয়েছি এবং মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। ….সোবহান এ–ও বলেন যে আমেরিকা পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সহায়তা দেবে কি না, তার ওপরই (বাংলাদেশের সংগ্রামের) ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। জবাবে আমি বলি, বিষয়টি এত সহজ নয়, আমরা এখানে একটি পক্ষমাত্র। সহায়তা বন্ধ করলে পূর্ব ও পশ্চিমে তার কী প্রভাব পড়বে, সেটাই আমাদের বিবেচনায় নিতে হয়। এই কণ্ঠস্বরটা আমাদের পরিচিতই ছিল যে সংগ্রাম চলবে, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া আরও চরম রূপ নেবে; ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যে কোনো সমাধান হবে না এবং যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আশা করছে, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছাড়া সেটি সম্ভব হবে না।’

তারিখটি ছিল ১৪ মে ১৯৭১। মুজিবনগর সরকার শপথ নেওয়ার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বাঙালি অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশের সংগ্রামের বিষয়টি এভাবেই তুলে ধরেন। প্রস্তুতিপর্ব থেকেই তিনি স্বাধীনতাসংগ্রামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। একাত্তরের মার্চে ইয়াহিয়ার উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনায়ও রেহমান সোবহান বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। কিন্তু আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর তিনি ঢাকা থেকে আগরতলা হয়ে প্রথমে দিল্লি যান। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের সঙ্গে দেখা করেন। শিগগিরই ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বৈঠক হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে ও ইউরোপে বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করতে বললেন। রেহমান সোবহান প্রথমে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের বাঙালি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেন। তাঁরা তখনই পক্ষ ত্যাগ না করলেও গোপনে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করার কথা বলেন।

বাঙালি কর্মকর্তারা যেসব মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন, অ্যান্থনি ছিলেন তাঁদের একজন। এ ছাড়া রেহমান সোবহান সিনেটর কেনেডি, স্যাক্সবি প্রমুখের সঙ্গেও দেখা করে বাংলাদেশের সংগ্রামের ন্যায্যতা তুলে ধরেন। পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে যে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছিল, তারও অন্যতম সদস্য ছিলেন রেহমান সোবহান; যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরি করতে তিনি বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য দেন, টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নেন, এমনকি নিউ রিপাবলিক, দ্য নেশনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিবন্ধ লেখেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেহমান সোবহান যান লন্ডনে, সেখান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। প্যারিস সফরের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘নভেম্বরে প্যারিসে আমার শেষ সফরের উদ্দেশ্য ছিল চূড়ান্ত কনসোর্টিয়াম বৈঠকে পুরোনো পাকিস্তানের পক্ষে যে সাফাই গাওয়া হবে, সে সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য পেশ করা।’ এর আগেই প্রখ্যাত ফরাসি দার্শনিক আঁদ্রে মালরো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৭০ বছর। মালরোর ঘোষণাটি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। রেহমান সোবহানের এই সাক্ষাতের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। ফ্রান্স যাতে পাকিস্তানকে কোনো অস্ত্র না পাঠায়, সে ব্যাপারে দ্য গ্যল মন্ত্রিসভাকে বলবেন বলেও মালরো তাঁকে কথা দেন।

আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের গোঁড়ার দিকে ১৯৬১ সালে এক একাডেমিক আলোচনায় রেহমান সোবহান প্রথম ‘এক দেশ দুই অর্থনীতি’ তত্ত্ব হাজির করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। নানা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে এই চৌকস অর্থনীতিবিদ দেখিয়ে দেন, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি কী ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তরুণ অধ্যাপক দুই অঞ্চলের বৈষম্য নিয়ে কেবল বুদ্ধিবৃত্তিক তর্কেই লিপ্ত হননি, তিনি তাঁর শিক্ষার্থীদেরও আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছেন। আইয়ুব খানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনজুর কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন মৌলিক গণতন্ত্র তথা ’৬২ সালের সংবিধানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে। ছাত্রদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ছাত্ররা রেহমান সোবহানসহ কয়েকজন শিক্ষকের কাছ থেকে আগেই প্রশ্ন নিয়ে প্রস্তুত ছিল। মনজুর কাদের বক্তব্য রাখতে গেলে ছাত্ররা তাঁকে প্রশ্নবাণে ঘায়েল করে। একপর্যায়ে তিনি শিক্ষকদের সহায়তাকক্ষ ত্যাগ করেন।

ষাটের শেষ দিকে রেহমান সোবহান ড. কামাল হোসেন, হামিদা হোসেন, সালমা সোবহান প্রমুখকে নিয়ে যে সাপ্তাহিক ফোরাম প্রকাশ করেন, সে কথা সবার জানা। কিন্তু তার অনেক আগেই তিনি সহকর্মী ও সহযোদ্ধাদের নিয়ে যে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক প্রোগ্রেস নামে একটি থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন, পারে যার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল জনমৈত্রী পরিষদ, সেটি অনেকেরই জানা নেই। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কামাল হোসেন, মুশাররফ হোসেন, মঈদুল হাসান, জিয়াউল হক টুলু, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম আলোচনার কথা উল্লেখ করে রেহমান সোবহান লিখেছেন, ১৯৬৪ সালে একদিন তিনি আমাকে ও কামাল হোসেনকে খবর পাঠালেন। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে আইয়ুব খান তাঁর মৌলিক গণতন্ত্রের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কঠোর ভাষায় এর একটি জবাব দিলেন। সেই বিবৃতিতে অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিষয়টি স্পষ্ট করতে আমরা নানা তথ্য–উপাত্ত দিয়ে তাঁকে সহায়তা করি। অবশ্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা ১৯৫৭ সালে, আট বছর পরও তিনি মনে রেখেছেন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

এর আগে ১৯৬৩ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মারা গেলে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেন। রেহমান সোবহান লিখেছেন, তিনি কখনোই কম্বাইন্ড অপোজিশন পার্টি বা কপ বিষয়ে খুব আশাবাদী ছিলেন না। ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু সভাপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদ হন। তাঁদের যুগল নেতৃত্বই বাংলাদেশের স্বাধিকার এবং আরও পরে স্বাধীনতা সংগ্রামকে সফল করে। ১৯৬৯ সালে দলের গঠনতন্ত্রে সমাজতন্ত্র শব্দটিও যুক্ত হয়। তখন সময়টাই ছিল সমাজতন্ত্রের। সত্তরের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরিতেও আরও অনেকের সঙ্গে রেহমান সোবহান সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন; যাতে পুব-পশ্চিমের অর্থনৈতিক বৈষম্যের ওপর জোর দেওয়া হয়।

তখন একটি প্রশ্ন উঠেছিল। পাকিস্তান রাষ্ট্রকাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে ছয় দফার ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করা যাবে কি না। এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম জিজ্ঞেস করলে বঙ্গবন্ধু উত্তর দিয়েছিলেন, ‘সেসব নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না।’
রেহমান সোবহানও লিখেছেন, এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুরও সংশয় ছিল। আমরা কামাল হোসেন ও রেহমান সোবহানের বই থেকে এ–ও জানতে পারি যে শেষতক বঙ্গবন্ধু এক পাকিস্তানের ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে কনফেডারেশনের কথা বলেছিলেন। একটি দেশের মধ্যে কনফেডারেশন হয় না, হয় দুই দেশের মধ্যে।

রেহমান সোবহান লিখেছেন, একাত্তরের ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার মুহূর্তে গোটা বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। কার্যত তখন থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীন। পরবর্তী ২৫ দিন দেশ পরিচালিত হয়েছে শেখ মুজিবের নির্দেশে। তাঁর ভাষায়, স্বাধীনতার মূল নায়ক সাধারণ মানুষ এবং একাত্তরের যুদ্ধটি ছিল গণযুদ্ধ।
অস্বীকার করার উপায় নেই যে রেহমান সোবহানের দুই অর্থনীতি তত্ত্ব আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তিনি যখন লাহোরে নিবন্ধটি উপস্থাপন করেছিলেন, তখনই পাকিস্তানিদের মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। আইয়ুব খান নাকি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘রেহমান সোবহান কে?’ এভাবেই একজন তরুণ বাঙালি অর্থনীতিবিদ গোটা পাকিস্তান রাষ্ট্রকাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।

রেহমান সোবহান ফ্রম টু ইকোনমিস টু টু নেশনস: মাই জার্নি টু বাংলাদেশ গ্রন্থে লিখেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে যাওয়ার অর্থ হলো স্বাধীনতাযুদ্ধে সাধারণ মানুষ যে জীবন দিয়েছে, তাদের ঋণকে সম্মান জানাতে ব্যর্থ হওয়া। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই নেতৃত্বগুণ ছিল, যা পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা রুখে দিতে এবং মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিতে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিল। প্রকৃত অর্থে জনগণের এই ব্যাপক অংশগ্রহণই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অনন্য বৈশিষ্ট্য দান করেছে। এই একই কারণে একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সমাজ বিনির্মাণের প্রয়োজনীয় উপাদান ও গণতান্ত্রিক অধিকার সাধারণ মানুষের হাতে ন্যস্ত করতে হবে। কিন্তু আমরা তার বদলে অধিকতর অযোগ্য সমাজ তৈরি করেছি, যেখানে স্বাধীনতার সুফল খুবই স্বল্পসংখ্যক মানুষের কাছে পুঞ্জীভূত হয়েছে এবং তারা সমকালীন বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।’
রেহমান সোবহানের নতুন বই আনট্রাকুইল রিকারেকশনস—দি ইয়ারস অব ফুলফিলমেন্ট। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘উত্তাল সময়ের স্মৃতি: পূর্ণতার বছরগুলো’। লেখকের জীবনের শুরু থেকে স্বাধীনতাসংগ্রাম পর্যন্ত এ বইয়ে স্থান পেয়েছে। তিনি পড়াশোনা করেছেন কলকাতা, দার্জিলিং, লাহোর ও ক্যামব্রিজে। এ বই থেকে আমরা জানতে পারি যে রেহমান সোবহান পিএইচডি শেষ না করেই ১৯৬৯ সালে দেশে ফিরে এসেছিলেন দেশমাতৃকার আহ্বানে। তিনি সাধনাকে শুধু শিক্ষায়তনের ভেতরে আবদ্ধ রাখতে চাননি, চেয়েছেন অর্থনীতিকে রাজনৈতিক সংগ্রামের হাতিয়ার করতে।

১৯৫৭ সালে রেহমান সোবহানের ঢাকার জীবন শুরু হয়, তিনি যাকে বলেছেন ‘জীবন ও সময়’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তিনি বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের ও স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েন, যা পরবর্তীকালে স্বাধীনতাসংগ্রামে রূপ নেয়। তাঁর এ বই একজন বুদ্ধিজীবী বা স্বাপ্নিকের স্মৃতিচারণ নয়, এটি হলো রাজনৈতিক সংগ্রামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত একজন অর্থনীতিবিদের অভিজ্ঞতার বয়ান।

তাঁর বই থেকে আমরা আরও জানতে পারি যে মুক্তিযুদ্ধটা কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর ছিল না। এটি ছিল এই ভূখণ্ডের সর্বস্তরের সর্বশ্রেণীর মানুষের সংগ্রাম এবং অবশ্যই তাঁর কেন্দ্রে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabhassan55@gmail.com