Dr Debapriya Bhattacharya on investment and institutional reformations

while addressing a roundtable on “Stagnant Investment: Ways Forward”, organised by Prothom Alo and Eastern Bank” at the Prothom Alo office on Tuesday, 9 September 2014.

Published in The Daily Star

Make FDI a top national priority

Economists advise govt

Star Business Report

Economists yesterday advised the government to find ways to bring in more foreign investment and make it a top national priority.

“If we can make it a national priority, we will be able to bring in whatever amount we desire,” Kamran Bakr, managing director of Unilever Bangladesh, said.

He spoke at a round-table, “Stagnant Invest-ment: ways forward”, organised by Prothom Alo and Eastern Bank at the newspaper’s office.

“Bringing in FDI has not been made a national priority. I have sifted through various government documents but haven’t come across any specific target for FDI,” said SA Samad, executive chairman of the Board of Investment.

He said the country does not have the adequate infrastructure to meet the demands of prospective foreign investors, who “want everything right away”.

“Investors are hard-nosed people. They do not act like traders — they always think long-term.”

The high corporate tax, Samad said, is one of the major deterrents in bringing in FDI. “Besides, our tax structure is un-uniformed and unpredictable. As a result, they can’t estimate the long-term cost of a project.”

Salehuddin Ahmed, a former governor of Bangladesh Bank, said the lack of policy continuity is a major reason behind the slow flow of FDI to the country.

The lack of policy continuity is not only seen when governments change, it is also seen within the tenure of a same government, he said.

“Some regulatory bodies give one decision in the morning only to change it in the evening — this is unfortunate because investors have long-term view.”

Debapriya Bhatta-charya, distinguished fellow of the Centre for Policy Dialogue, said the stagnation in investment began in 2011-12 and is still continuing.

“Many had thought that the investment situation would make a turnaround after the elections but the situation has not improved in the last seven months,” he said, adding that investment has gone down on both the domestic and foreign fronts.

However, the real foreign investment scenario would have been in a worse state, if the telecom operators, most of which are foreign-owned, had not invested millions of dollars to get 3G licences, the economist said.

Money also flowed into the country to help banks maintain capital reserves in line with BASEL requirements, he said.

“But the worrying thing is that money is going out of the country as companies are repatriating their profits. So, the real situation is not in favour of Bangladesh.”

Furthermore, the BoI, which is supposed to facilitate foreign investment into the country, has now become an organisation that only provides work permits; they are unable to manage gas and electricity service for investors.

The CPD distinguished fellow went on to state that money would be diverted to other countries if there is no investment opportunity here.

While a number of organisations such as the Bangladesh Export Processing Zones, BoI and Public Private Partnership Office are working to woo in investment, the efforts are not being coordinated.

“As a result, a problem has been created. Now is the time to bring in reforms. But the government is failing in that respect.”

Akbar Ali Khan, a former caretaker government adviser, said investors will go to any country they find lucrative.

But before talking about FDI, one should talk about domestic investment as well: if the amount of local investment is low, foreign investment will also be low. So, the emphasis should also be given on local investment, he said.

Ibrahim Khaled, a former deputy governor of Bangladesh Bank, called for setting up economic zones as fast as possible to attract investors.

Another reason for the slowdown in investment is that a section of financiers who are not aligned with either Awami League or BNP have not invested in the last five years and would not do so in the near future, he said.

Rashed Maqsood, country officer of Citibank, said reforms on various fronts are needed to encourage existing companies to bring more FDI, while calling for ways to get things done without speed money.

Ali Reza Iftekhar, managing director of EBL, said banks are interested to lend to good clients. “But the good clients are saying they can’t do anything with the money. On the other hand, the bad clients are running after bankers for loans.”

Syed Mahbubur Rahman, managing director of BRAC Bank, a lender focused on small and medium enterprises, said demand for loans is also going down among the SMEs. “We will not be able to bring foreign investors if we can’t fix infrastructure bottlenecks, no matter how hard we try.”

He also said banks should lend more in all regions in the country for the sake of inclusive banking instead of restricting themselves to Dhaka and Chittagong.

Rokia Afzal Rahman, president of the Metropolitan Chamber of Commerce and Industry, who chaired the discussion, called for turning negative factors into positive forces and conveying the opportunities the country offers to international investors.

Mohammad Abdul Mannan, managing director of Islami Bank Bangladesh Ltd, said investment aimed at major projects has stalled due to infrastructure bottlenecks.

Abdul Quayum, associate editor of the Prothom Alo, moderated the discussion.


Published in Prothom Alo

গোলটেবিল বৈঠক: বিনিয়োগে স্থবিরতা ও উত্তরণের উপায়

বিনিয়োগে গতি আনবে সংস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দরের অভাবে বিনিয়োগে যে স্থবিরতা, তার চটজলদি কোনো সমাধান নেই। তবে এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতার যে সমস্যা রয়েছে, তা দূর করতে দরকার ব্যাপক সংস্কার। একই সঙ্গে দরকার নীতি ধারাবাহিকতা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়। আর এসব হলেই বিনিয়োগে গতি আসবে।

প্রথম আলো ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোগে ‘বিনিয়োগে স্থবিরতা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকেরা এ মতামত দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম আলো কার্যালয়ে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার শুরুতেই অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের গুণগত মানের পতন হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যক্তি খাতে। ব্যবসায়ীদের উদ্ভাবনী শক্তি নিরুৎসাহিত হচ্ছে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সুনির্দিষ্ট পাঁচটি খাতে সংস্কারের পরামর্শ দিলে তা সমর্থন করেন অংশগ্রহণকারী আলোচকেরা। খাতগুলো হলো: জনসেবা খাত, শাসনব্যবস্থা, ব্যাংকিং খাত, করপোরেট ব্যবস্থাপনা খাত এবং সামাজিক ও পরিবেশগত সংস্কার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। মতিউর রহমান বলেন, বিনিয়োগ স্থবিরতা থেকে উত্তরণে করণীয় কী, তা জানতেই এই আলোচনার আয়োজন। যদিও বিষয়টি দীর্ঘ আলোচনার দাবি রাখে।

ঘুরেফিরে ব্যাংক খাত: পুরো বৈঠকে বারবারই উঠে এসেছে ব্যাংক খাতের নানা দিক। যেমন: উচ্চ সুদ হার, আমানত ও সুদ হারের পার্থক্য, অব্যবস্থাপনা, লুটপাট ইত্যাদি। বেশির ভাগ বক্তা বলেন, এই খাতটি এখন ভঙ্গুর, ব্যাপক সংস্কার দরকার।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছিল অসহায়। ব্যাংকে তারল্য বাড়ছে, সুদ হার কমছে না, আবার আয়ও কমে যাচ্ছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, ব্যাংক খাতে সুশাসনের অভাব ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এ খাতে গত এক দশকে যা অর্জন হয়েছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো তা ম্লান করে দিয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর ঘটনা বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলছে। তাই এ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। সরকারের হাতে একটি ব্যাংক রেখে বাকিগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া দরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রী প্রকাশ্যেই যখন বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তখন সেটির ফল কখনো ভালো হয় না। বিদেশিরা এসব ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ব্যাংক খাতে যে ঋণ কেলেঙ্কারি হচ্ছে, নীতির অভাবে সেটা হচ্ছে মনে হয় না; বরং নীতি পালনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমস্যা আছে মনে হয়।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের মধ্যে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী কিছু নেই। নতুন কোনো উদ্যোগের প্রতি ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করে না। তিনি বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ উন্মুক্ত করার বিরোধিতা করে বলেন, দেখেশুনে এটা করা উচিত ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ব্যাংকে উদ্বৃত্ত তারল্য থাকার পরও সুদ হার কমছে না। তবে যখন ব্যবসায়ী হিসেবে কথা বলেন, তখন সুদ হারকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী যখন আবার ব্যাংক মালিকের দায়িত্ব পালন করেন, তখন তিনি মুনাফাতে ছাড় দিতে চান না। সুদ হার কমানোর উদ্যোগ নেন না। এটাকে একধরনের চক্র বলেন তিনি। ইব্রাহিম খালেদ প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ঋণ ও আমানতের সুদের হারের ব্যবধান ৫ শতাংশ পর্যন্ত হলে ব্যাংকের ওপর একধরনের কর এবং তার বেশি হলে একধরনের করারোপ করা যায়।

শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবে সরকারি ব্যাংকগুলো প্রায় শূন্য হয়ে গেছে। লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি হয় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হাত গুটিয়ে আছে। অর্থমন্ত্রীও কিছু করছেন না। পুরো খাতে সুশাসন নেই।

ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, সরকারি ব্যাংকের নানা অব্যবস্থাপনার দায় বেসরকারি ব্যাংকের ওপর এসে পড়ছে। দেশে তিন ধরনের ব্যাংক আছে—সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংক। কিন্তু এ খাতের অব্যবস্থাপনার কথা যখন বলা হয়, তখন সব কটিকে এক করে ফেলা হয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, নতুন নয়টি ব্যাংক এসেছিল কিছু অঙ্গীকার করে। যেমন তারা রেমিট্যান্স নিয়ে কাজ করবে, কৃষি খাতে কাজ করবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তারা পুরোনো ৪৭ ব্যাংকের মতোই ব্যাংকিং করছে।

সিটিব্যাংক এনএর এমডি ও বাংলাদেশ প্রধান রাশেদ মাকসুদ বলেন, বিদেশি ব্যাংকগুলোতে তহবিল ব্যয় অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে কম। কিন্তু এখন যদি বিদেশি ব্যাংকগুলো সুদ হারের মধ্যে ব্যবধান কমানোর উদ্যোগ নেয়, তাহলে পুরো খাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।

ইসলামী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের মোট বিনিয়োগের ৮০ শতাংশই হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামে। সময় এসেছে সারা দেশে, বিশেষ করে গ্রামীণ পর্যায়ে বিনিয়োগ সম্প্রসারণের।

বিনিয়োগ বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংক: বিনিয়োগ বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে আলোচকেরা প্রশ্ন তোলেন। দেবপ্রিয় তাঁর বক্তব্যে বিনিয়োগ বোর্ডের একীভূত (ওয়ান স্টপ) সেবাকে ‘ফুলস্টপ’ সেবা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও ৩০ বছরেও বিনিয়োগ বোর্ডে একজন দক্ষ লোক পাওয়া যায়নি। ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া-নেওয়া ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটির আর কোনো কাজ নেই।

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের সভাপতি আফতাব-উল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগ বোর্ডের যে নির্বাহী ক্ষমতা রয়েছে, সেটির যথাযথ প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের নামে রোড শো করে প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অর্থ অপচয় করছে।

বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুস সামাদ জবাবে বলেন, সাতটি সংস্থা বিনিয়োগের সঙ্গে যুক্ত। এর একটি হচ্ছে বিনিয়োগ বোর্ড। এই বোর্ডটি ছাড়া অন্য কোনো সংস্থার ওপর তাদের কোনো কর্তৃত্ব নেই। তাই বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণের মতো ক্ষমতাও বোর্ডের নেই। তবে বিনিয়োগ বোর্ডের সেবার মান উন্নত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নওশাদ আলী চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগ স্থবিরতা নেই। বলা যেতে পারে, প্রত্যাশিত বিনিয়োগ হচ্ছে না। তাই বিনিয়োগ বৃদ্ধির নানা উপায় বের করা দরকার।

খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক কাজী সাইদুর রহমান বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে গত বছরের শেষ ছয় মাসে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটিকে বিবেচনায় নেওয়ার কারণে মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ?: প্রশ্নটি তোলেন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরান বাকর। তিনি বলেন, আসলেই বাংলাদেশ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) চায় কি না, সেটিই বড় প্রশ্ন। এটি এ দেশের উন্নয়নের জন্য জাতীয় অগ্রাধিকার বিষয় কি না, সেটি পরিষ্কার করা দরকার।

জবাবে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের কোথাও কখনো এফডিআইয়ের কোনো লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয় না। প্রবৃদ্ধি, প্রবাসী-আয়, মূল্যস্ফীতি—সব ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়, শুধু এফডিআইয়ের কোনো লক্ষ্যমাত্রা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি খাতের বিদেশি বিনিয়োগের কথা শুনলেই আমরা ভয় পাই। কারণ, এই ধরনের বিনিয়োগের সঙ্গে আমাদের পরিচয়টা খুব বেশি দিনের না। আগে আমরা অনুদান, ঋণসহায়তা—এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলাম।’

সমস্যা উপলব্ধিতে সমস্যা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শুরুতেই বলেন, সমস্যার সমাধান করতে হলে সবার আগে দরকার ওই সমস্যার প্রকৃত চরিত্র নিরূপণ এবং তা স্বীকার বা উপলব্ধিতে নেওয়া। তিনি বলেন, ‘এখানেই আমাদের বড় সমস্যা। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের স্থবিরতা বা ধারাবাহিক নিম্নমুখী প্রবণতার কথা বললেও সংশ্লিষ্টরা সেটিকে স্বীকার করছেন না।’ রাজনৈতিকভাবে নানা সমস্যার কথা স্বীকার করার ঘাটতি বা উপলব্ধির অভাব রয়েছে—বলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে এ কে আজাদ বলেন, রাজনীতিবিদেরা দেশ চালাবেন। বিনিয়োগের সমস্যার কথাগুলোও তাঁরা জানেন। তাঁরা যদি ঠিক হতেন, তাহলে সবকিছুর সমাধান হয়ে যেত। সম্প্রতি প্রকাশিত সিপিডির এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের ওপর ব্যবসায়ীদের আস্থা কমে গেছে।

বিনিয়োগে বাধা কোথায়?: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দুর্নীতি, অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততা ও আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা ব্যবসা ও বিনিয়োগের প্রধান তিন সমস্যা। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক ও নীতি অনিশ্চয়তা। এ কারণে ব্যবসায়ীরা বড় বিনিয়োগে সাহস পাচ্ছেন না।

আকবর আলি খান বলেন, অবকাঠামোর সমস্যার পাশাপাশি সুশাসনের অভাবও বিনিয়োগের পথে অন্যতম সমস্যা। যে দেশে রাজনৈতিক প্রভাবে বেসরকারি ঋণ বিতরণ করা হয়, সে দেশে সুষ্ঠু বিনিয়োগ ও সহজ ঋণপ্রাপ্তি সম্ভব নয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো—এই তিনটি সুবিধা নিশ্চিত করা হলে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বিনিয়োগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য ব্যবসায়ীদের রয়েছে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নীতি ধারাবাহিকতার অভাব বিনিয়োগের পথে বড় অন্তরায়। আগে দেখা যেত, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নীতির পরিবর্তন হতো। আর এখন দেখা যায়, একই সরকারের সময়ই কয়েক মাসের ব্যবধানে নীতির পরিবর্তন হচ্ছে। এ ছাড়া যেসব নীতি রয়েছে, সেগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ব্যর্থ হচ্ছে।

আফতাব-উল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক ও নীতি অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না। যেসব বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে সেগুলো ধরে রাখা যাবে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিনিয়োগের সুযোগ না থাকলে উদ্বৃত্ত সম্পদ দেশের বাইরে চলে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। সুইস ব্যাংকের হিসাব, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম বা আমেরিকা—যেভাবে হোক, দেশ থেকে বাইরে টাকা চলে যাচ্ছে।