Dr Debapriya Bhattacharya and Dr Khondaker Golam Moazzem on investment and business competitiveness

Published in The Daily Sangram on Tuesday, 30 September 2014.

‘প্রস্তাবিত’ বিনিয়োগ পরিসংখ্যানকেই ‘সাফল্য’ ভাবছে বোর্ড
আস্থা পাচ্ছে না বিদেশী বিনিয়োগকারীরা

সাদেকুর রহমান : বাংলাদেশে বিনিয়োগে আস্থা ও ভরসা পাচ্ছে না বিদেশী উদ্যোক্তারা। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিরাজমান পরিস্থিতিতে চরম অনিশ্চয়তা বোধ করছে বিনিয়োগকারীরা। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা দেশে-দেশে ঘুরে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেও অজানা শংকায় সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসছে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেয়াদকালে সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আগে জাপান, চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ সফর করে ঐসব দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। অতি সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও কোরিয়া সফরকালে সে দেশের মন্ত্রী-আমলা ও ব্যবসায়ীদের সাথে সাক্ষাৎ-আলোচনা করেছেন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর সৃষ্ট পরিবেশে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে। সরকার নানা তৎপরতার মাধ্যমে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের অনুকূলে ‘গ্রহণযোগ্যতা’ সৃষ্টি ও গঠিত সরকারের পক্ষে সমর্থন আদায়ের মিশন নিয়ে এগুলেও তাতে বিনিয়োগকারীদের শংকা এতটুকু কমছে না।

দেশে বিনিয়োগের করুণ অবস্থা বিরাজ করলেও বিনিয়োগ বোর্ডের পরিসংখ্যানচিত্র এর উল্টো। ‘প্রস্তাবিত’ বিনিয়োগ পরিসংখ্যানকে প্রকাশের মাধ্যমে সেটিকেই ‘সাফল্য’ বলে প্রচার করছে বোর্ড। দৈনিক সংগ্রামের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বোর্ড থেকে কোনরূপ সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। অবশেষে বিনিয়োগ বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ২০০৫-’০৬ থেকে ২০১১-’১২ অর্থবছর পর্যন্ত তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ২০০৫-’০৬ অর্থবছরে প্রস্তাবিত প্রকল্প ১৩৫টি, ২০০৬-’০৭তে ১৯১টি, ২০০৭-’০৮তে ১৪৩টি, ২০০৮-’০৯তে ১৩২টি, ২০০৯-’১০তে ১৬০টি, ২০১০-’১১তে ১৪৮টি এবং ২০১১-’১২তে ২০৯টি বিদেশী প্রকল্প নেয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-’১০ অর্থবছরে সারা দেশে মোট ৮৯টি বিদেশী প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, যার মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগ প্রায় ৫৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো। হালনাগাদ বা প্রকল্প বাস্তবায়নের কোন চিত্র বিনিয়োগ বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নীতির ধারাবাহিকতা না থাকা ও নানাবিধ অনিশ্চয়তায় দেশের একমাত্র বেসরকারি ইপিজেড ‘কোরিয়ান ইপিজেড কর্তৃপক্ষ (কেইপিজেড)’ এর সম্ভাব্য বিদেশী বিনিয়োগ চলে যাচ্ছে অন্যদেশে। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে জমি কিনেও নানা জটিলতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাকে-যা দেশের বাইরে ইমেজ সংকটে ফেলে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ হাতছাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও ব্যাপক সুযোগ নষ্ট হচ্ছে। এই ইপিজেডের উন্নয়ন কার্যক্রম ঝুলে আছে দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে। সরকারেরই নানা বিভাগ থেকে নানারকম ঝামেলা সৃষ্টি করায় উন্নয়ন বঞ্চিত কোরীয় এই ইপিজেডের সম্ভাব্য বিনিয়োগ চলে যাচ্ছে মিয়ানমার, চীন, ভিয়েতনাম, এলসালভাদর ও উজবেকিস্তানে।

চট্টগ্রামের অবহেলিত কর্ণফুলী-আনোয়ারা অঞ্চলের মানুষ কর্মসংস্থানের যে আশা করেছিল, তা ক্রমেই হতাশায় রূপ নিচ্ছে। এলাকার সাধারণ মানুষ এখানে শিল্প গড়ে তোলার পক্ষে। এ পর্যন্ত যে সব কারখানা চালু হয়েছে তার ৯৫ ভাগ কর্মীই স্থানীয়। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায়  স্থানীয় অধিবাসীরাও চান কেইপিজেডের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। এলাকাবাসী জানান, আগে জাহাজ থেকে পণ্য চুরি, বালুর ব্যবসা প্রভৃতি ছিল এখানকার অনেকের আয়ের উৎস। এখন ছেলেমেয়ে সবাই কেইপিজেডের চালু কারখানাগুলোতেই কাজ করছে। বিনিময়ে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। বর্তমানে বিদেশী ব্র্যান্ডের জুতা, লেডিসওয়্যার, হ্যান্ডব্যাগ, গার্মেন্টসহ বিভিন্ন সামগ্রীর উৎপাদন হচ্ছে এখানে। সরকারি সিদ্ধান্তের যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিস্তৃত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতার কারণে দেড় যুগেও জমির মালিকানা স্বত্ব পায়নি এই ইপিজেড। ফলে নামীদামী বিদেশী বিনিয়োগকারীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ শিল্প পার্কে বিনিয়োগ করতে এসে ফিরে যাচ্ছে। ইপিজেডটি পরিচালনার অনুমতি (অপারেশনাল লাইসেন্স) পাওয়ার ছয় বছর পরও এখানে গ্যাস-সংযোগ দেয়া হয়নি। বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েও চালানো হয়েছিল নানা টালবাহানা। নানামুখী বাধার কারণে প্রকল্প এলাকায় কারখানা ভবন ও শ্রমিকদের জন্য আবাসন নির্মাণের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ২০১০ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) বোর্ড অব গবর্নরের সভায় লিজের আওতায় জমির মালিকানা কোরিয়ান ইপিজেডের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত আজো কার্যকর হয়নি। সময় মতো ভূমির মালিকানা স্বত্ব পাওয়া গেলে এবং শুরু থেকে এ ক্রমাগত বাধার সম্মুখীন না হলে গত দেড় দশকে কোরিয়ান ইপিজেডে কয়েক লাখ লোকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হতো। আরো কয়েক লাখ পরিবার পরোক্ষভাবে উপকৃত হতো।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীরে কোরিয়ান ইপিজেডের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করা গেলে ৬ লাখের বেশি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো। এখনো বিদ্যমান কারখানাগুলোতে যারা কাজ করছেন তাদের প্রায় সবাই স্থানীয়। এরা হয়তো দীর্ঘদিন বেকার ছিলেন। কিংবা স্বল্প শ্রমে মজুরি বিক্রি করতেন।

কোরিয়ান ইপিজেডের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশে কোরিয়ার শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান কর্পোরেশন। বাংলাদেশের দুটো ইপিজেডে এ পর্যন্ত এ কোম্পানি ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম ও ঢাকা ইপিজেডে এই কর্পোরেশনের ১৭টি রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কারখানায় ইয়াংওয়ান কর্পোরেশন প্রায় ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে।

ইপিজেডের দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চান কোরিয়ান ইপিজেড কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কি হাক সুং। তিনি বলেন, জটিলতার কারণে আমি কাজ এগুতে পারছি না। আমাকে হয়রানি না করে বরং দ্রুত উন্নয়নের জন্য চাপ দেয়া হোক। সেটি বাংলাদেশের জন্য ভাল। ভিয়েতনামে ২০০৪ সালে যখন আমি ব্যবসা শুরু করি তখন তারা বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল। এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে। ওখানে যাওয়ার আগে আমি কেইপিজেডের কাজ শুরু করলেও এখনো শেষ করতে পারছি না। অথচ আমি বাজার মূল্যের চেয়েও বেশি দামে জমি কিনেছি। তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে- বাজার সুবিধা ক্রমেই প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে। কেউ বাংলাদেশী পণ্যের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকবে না। বাংলাদেশে শ্রম অসন্তোষ নিয়ে তিনি বলেন, বায়াররা এখানকার শ্রম অসন্তোষ নিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। অনিশ্চয়তা, সরকারি নীতির ধারাবাহিকতা না থাকা, ব্র্যান্ড ইমেজ প্রতিষ্ঠা না থাকাটা এখানকার বড় সমস্যা। বাংলাদেশকে আরো বেশি বিনিয়োগবান্ধব দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নীতির সহজীকরণ, সরকারের সীমিত হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। এখানকার সরকার ও রাজনীতিবিদদের দেশটির দীর্ঘ ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে।

কেইপিজেডের যখন এই দৈন্যদশা ঠিক তখন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে গত বৃহস্পতিবার সিউলে দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক ভারপ্রাপ্তমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ মতবিনিময় সভার ‘সফলতা’ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো অপর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন কোরিয়ান ইপিজেড-এ বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে কোরিয়া। এখন ঢাকা ইপিজেড-এ ৭২টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬ শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার কোরিয়ান বিনিয়োগ রয়েছে। কোরিয়ার  বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি স্যামসাংসহ অনেক কোম্পানী বড় ধরনের বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কোরিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

কেবল বিদেশীরাই নয় দেশে বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা ও হয়রানির অভিযোগ করেন অনাবাসী ‘সিআইপিরাও ( বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি)’। প্রবাসী কল্যাণ ও  বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স পাঠানো ১০ প্রবাসী এবং বাংলাদেশী পণ্য আমদানিকারক একজনকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনাবাসী ‘সিআইপি’ কার্ড দেয়। তারা আনন্দ-প্রতিক্রিয়া জানানোর পরিবর্তে নিজেদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও  বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর পরও বিভিন্ন দফতর থেকে জানতে চাওয়া হয় এই টাকা কোথায় বিনিয়োগ করেছি বা করব। এটা এক ধরনের হয়রানি। যেখানে বিনিয়োগ করা হচ্ছে সেখানেও নিরাপত্তা নেই। তার প্রশ্ন, এ রকম হলে প্রবাসীরা কেন দেশে টাকা পাঠাবে? যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ আলী তালুকদার বলেন, আমরা চাই সরকার আমাদের নিরাপত্তায় বিশেষ মনোযোগী হবে। কাতার প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, দেশে আসার পর কর কর্মকর্তা আর পুলিশ পেছনে লেগে থাকে। এক সপ্তাহের জন্য এলে তাদেরকেই সময় দিতে হয়, পরিবারের লোকজনদের সময় দিতে পারি না। এ অবস্থার অবসান চাই। আরেক কাতারপ্রবাসী আব্দুল আজিজ খান বলেন, “অনেকে আমাদের চেয়ে বেশি টাকা পাঠালেও পুলিশের হয়রানির কারণে সিআইপি কার্ড পাওয়ার আবেদন করে না। আমার বাড়িতে রাতে পুলিশ গেছে। কেন গেছে তা তারা বলতে পারে না। এগুলো নিছক হয়রানি।”

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম  বৈশ্বিক সক্ষমতা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় এক ধাপ এগোলেও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, চীন, কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো তাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর পথে যেখানে দৌড়াচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটছে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, সরকার নানামুখী উদ্যোগের কথা বললেও বিদেশী বিনিয়োগকারীরা তাতে আশ্বস্ত হতে পারছে না। সরকার চীন-জাপানসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে সে দেশের সরকার ও ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেও কোরিয়ান ইপিজেডই এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হতে পারেনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ঘটনাক্রমে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবণতা এক স্থবির হয়ে পড়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের চাহিদা অনুযায়ী অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। তবে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হওয়ায় গত অর্থবছরে জিডিপিতে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। দেশের গুড গভর্নেন্সের অভাব আছে, দুর্নীতিও বেড়েছে। এটা একটা আতঙ্কের ব্যাপার। বিনিয়োগকারীদের আস্থা হাল্কা হয়ে গেছে। একারণে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় আছে।