Professor Mustafizur Rahman on Bangladesh’s export to Indian market

Published in Samakal on Sunday, 7 June 2015.

ভারতে রফতানি বেড়েছে

আবু হেনা মুহিব

শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণে ভারতে পণ্য রফতানি বাড়ছে। এ সুবিধা লাভের প্রথম বছরে তেমন একটা না বাড়লেও ক্রমে প্রতিবেশী দেশটিতে রফতানিতে গতি আসছে। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রফতানি বেড়েছে আগের একই সময়ের তুলনায় ১০ কোটি ডলারের বেশি। তবে শুল্কমুক্ত সুবিধা, প্রতিবেশী ও বড় বাজার হওয়ায় সুবিধা সত্ত্বেও ভারতে রফতানি এখনও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় এগোয়নি। এ জন্য অশুল্ক ও আধা-শুল্ক বাধা, আস্থার সংকট, স্থলবন্দরের অবকাঠামো দুর্বলতাকে প্রধান কারণ বলে মনে করেন বাণিজ্য-বিশ্লেষক এবং রফতানিকারকরা।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে ভারতে পণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৪৩ কোটি ২৫ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ৩৩ কোটি ৩৯ কোটি ডলার। তবে ২০১২-১৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল আরও বেশি, ৪৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে মোট রফতানির মধ্যে পোশাকের ওভেনের রফতানি আয় সাত কোটি ডলার এবং নিটের এক কোটি ৭২ লাখ ডলার। এ ছাড়া ভারতে রফতানিতে বড় পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক, গরুর হাড়, শুকনা খাবার, গুড় ইত্যাদি।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পোশাক খাতের ৪১ পণ্য এবং একই বছরের নভেম্বর থেকে ১৫টি সাধারণ পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় ভারত।

ভারতে রফতানি বিষয়ে সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশি পণ্যের মান যাচাই, মান সনদ গ্রহণ, পণ্যের মোড়কে লেবেল ও প্যাকেজিং-সংক্রান্ত জটিলতাই রফতানিতে প্রধান সমস্যা। এতে বলা হয়েছে, ভারতে রফতানি বাড়াতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও অনেক অশুল্ক বাধা চিহ্নিত হওয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

জানতে চাইলে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, ভারত সম্ভাবনাময় বড় বাজার। দেশটি বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। সেখানে প্রতিবেশী এবং শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাংলাদেশ ভারতের বাজারে বড় জায়গা করে নিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক পণ্যে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে ভারতীয় বাজার অনেক বড় সুযোগ। সাধারণত পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপ ও আমেরিকার চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরিতে আবহাওয়ার কারণে খুব বেশি বৈচিত্র্য আনার সুযোগ কম। সে হিসেবে ভিন্ন আবহাওয়া ও সংস্কৃতির কারণে ভারতে রফতানিতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার সুযোগ রয়েছে।