Professor Mustafizur Rahman on LDCs concerns in WTO

Published in Prothom Alo on Monday, 26 January 2015.

এলডিসিকে অভিন্ন অবস্থান নেওয়ার তাগিদ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে (এলডিসি) সেবা বাণিজ্যে ছাড়ের সুবিধা কার্যকর করতে হলে বাজারসুবিধার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। তা না হলে ছাড়ের সুফল পুরোপুরি ভোগ করবে না স্বল্পোন্নত দেশগুলো। এ জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অভিন্ন অবস্থান নিয়ে এগিয়ে যাওয়ারও তাগিদ দেওয়া হয়।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতায় সেবা খাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বালিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ব্যাপারে গতকাল রোববার রাজধানীতে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ অভিমত দেন। বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করে সংস্থাটি।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফটিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা আবিদ খান।

এলডিসির জন্য সেবা বাণিজ্যে ছাড় দেওয়ার বিষয় নিয়ে আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি জেনেভায় অনুষ্ঠেয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠককে সামনে রেখে ওই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

মোস্তফা আবিদ খান তাঁর প্রবন্ধে এলডিসির জন্য সেবা খাতে ছাড়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১১ সালের নেওয়া ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি না হওয়ার পর গত বছরের জুলাইতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে একটি অভিন্ন অবস্থানপত্র তুলে ধরা হয়। কোন কোন খাতে এবং কীভাবে সেবা বাণিজ্যে এলডিসিভুক্ত দেশগুলো সুবিধা নিতে চায়, সেটি ওই প্রস্তাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাজারসুবিধা নিশ্চিত করতে ওই অবস্থানপত্রের ভিত্তিতে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দর-কষাকষি হবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর। অবস্থানপত্রে পর্যটন, অর্থায়ন, পরিবহন, শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি এবং সৃজনশীল শিল্পকে ছয়টি খাত হিসেবে চিহ্নিত করে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বাজারসুবিধার পাশাপাশি ভিসা, কাজের অনুমতিপত্র, বসবাসের অনুমতিপত্র, সনদ দেওয়ার মতো বিষয়গুলোর কথা বলা হয়েছে।

বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আসন্ন আলোচনায় দেশের সুফল নিশ্চিত করতে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সুবিধা কীভাবে আদায় করা যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর নিজেদের প্রস্তুতির পাশাপাশি উন্নত দেশগুলো কতটা ছাড়ের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসে সেটার ওপর নির্ভর করছে আসন্ন আলোচনায় সুফল লাভের বিষয়টি। তিনি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুফল পেতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অভিন্ন অবস্থান নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।