Dr Debapriya Bhattacharya on energy requirement for RMG

Published in Arthoniti Protidin on Wednesday, 5 March 2014.

পোশাক খাতে প্রযুক্তির আধুনিকায়ন

আবদুল হাই রঞ্জু

গত চার দশকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও যে গৌরবের পথ অতিবাহিত করেছে, তা সবাই স্বীকার করেন। বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি ডলার রফতানি আয় আসে এ খাত থেকে, যা মোট রফতানির আয়ের প্রায় ৭৮ শতাংশ। যখন বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে উন্নত দেশগুলোর পানিতে ডুবুডুবু অবস্থা, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো অনেক মজবুত হয়েছে। এর পেছনেই জড়িয়ে আছে এ দেশের পোশাকশিল্পের অবদান। আমাদের পোশাক খাতের বদৌলতে বেড়েছে রেমিট্যান্স,  বেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। শুধু তাই নয়, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের পোশাক খাতের অবদান পাহাড়সম। পোশাক খাতের অগ্রগতির ধারা ধরে রাখা সম্ভব হলে মধ্যম আয়ের দেশের জন্য কাক্সিক্ষত ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা কোনোভাবেই কঠিন হবে না। সম্প্রতি রূপসী বাংলা হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা ডিএফডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ গার্মেন্টস সেক্টর আপগ্রেডেশন অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক যৌথ অধিবেশনে দেশি-বিদেশি অনেক গবেষক আলোচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক খাতের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি আরো করণীয় বিষয়ে মতামত দেন। ওই অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান ক্রান্তিকালে পোশাক খাতের পুনর্গঠনে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

স্বীকার করতেই হবে, শুধু সস্তা শ্রমের ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের প্রসার ও সমৃদ্ধি অনেক দূর এগিয়েছে। গোটা দেশের নিভৃত পল্লীর অভাব-অনটনে জর্জরিত প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এ সেক্টরে, যার মধ্যে ৭০ শতাংশের অধিকই নারীকর্মী। এদের মধ্যে অনেকেই পেটে-ভাতে অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। একমাত্র পোশাকশিল্পের বদৌলতে এদের দুই বেলা ভাতের নিশ্চয়তাটুকু নিশ্চিত হয়েছে। ওরা আজ স্বাবলম্বী, ওরা এখন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। যদিও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি নিয়ে ওদের কাজ করতে হয়; মাঝেমধ্যে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অগ্নিকা- কিংবা ভবনধসের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার শিকার হয়ে কতজনকেই না অকাতরে মরতে হয়েছে। আবার অনেকে পঙ্গুত্বকে বরণ করে মানবেতর পরিবেশে কোনোরকমে বেঁচে আছেন। তবুও ওদের যে কাজ করতেই হবে। এ ছাড়া যে অন্য কোনো গত্যন্তর নেই। হয়তো ওদের সান্ত¦না এতটুকুই, আমাদের দেশে অনাহূতের মতোই তো মৃত্যুদূত এসে হাজির হয় অনেকের ভাগ্যে। প্রতিদিনই তো পাঁচ-সাতজন কিংবা তার চেয়েও অধিক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করছেন। অনেকেই বলেন, যার কপালে যেখানে মৃত্যু লেখা আছে সেখানেই তাকে মরতে হবে। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এভাবে কেউ সান্ত¦না না খুঁজলেও আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষকে এ ভাবনা নিয়েই ঘর থেকে বেরুতে হয়। অর্থাৎ আমাদের দেশে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তাটুকুও এখন সুদূরপরাহত।

আগেই বলেছি, যেখানে সস্তা শ্রমের সুযোগে এ দেশে পোশাকশিল্পের উত্থান, সেখানে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ নিশ্চিত করতেই যত্রতত্র যেনতেনভাবে কারখানা গড়ে ওঠার কারণেই কমপ্লায়েন্সের শর্ত অপূরণই থেকে গেছে। ফলে তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকা-ে জীবন্ত ১১৭ জন শ্রমিককে আগুনে পুড়ে মরতে হয়েছে। গত বছরে রানা প্লাজাধসে ১১৩০ জন শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে তীব্র সংকটের মুখে পড়ে পোশাকশিল্প। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসহ অন্যান্য ক্রেতা দেশ বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে জুড়ে দেয় নানা শর্ত। মূলত এ খাত অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে ওঠায় কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তায় উন্নয়ন ঘটেনি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই দশকে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে উচ্চ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে, যার পেছনে মূলত অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। সংস্থাটির মতে, ২০১১ সালে গোটাবিশ্বে যে পরিমাণ পোশাক রফতানি হয়েছে তার ৪ দশমিক ৮ শতাংশের জোগান দিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ ১৯৯০ সালে এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। সংস্থাটি মনে করে, এ ধরনের নিম্ন মানের কর্মপরিবেশ কেবল টেকসই উন্নয়নের পথেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না; ইতিহাসের ভয়াবহতম কয়েকটি বিপর্যয়েরও জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন, জিএসপি ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬টি শর্তের মধ্যে দুই-তিনটি বাদে সব শর্তই পূরণ করা হয়েছে। চলতি মার্চ মাসে বাকি শর্তগুলো পূরণ করা সম্ভব হবে। ফলে স্থগিত হওয়া জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে কোনো অসুবিধা হবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিশ্বের ১২৭টি দেশে প্রায় পাঁচ হাজার পণ্যের শুল্কমুক্ত বা জিএসপি সুবিধা দেয়। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমদানি করা পণ্যে মার্কিনসামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করে মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা বা কমপ্লায়েন্সের ঘাটতির অজুহাতে গত বছরের ২৭ জুন বাংলাদেশের জন্য জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এও সত্য, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোনো জিএসপি সুবিধা পায় না। গত এক বছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির প্রায় ২৩ ভাগ গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। এ রফতানির বিপরীতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক বাবদ প্রদান করেছে প্রায় পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এটা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে যে ঋণ বা অনুদান বাংলাদেশে আসে, তার ছয় গুণেরও বেশি। জিএসপি সুবিধা তো নয়ই বরং যুক্তরাষ্ট্রই যুক্তবাজার অর্থনীতির নীতিমালা ভঙ্গ করে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির ওপর বৈষম্যমূলক শুল্ক আরোপ করে রেখেছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির ৬০ ভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা স্থগিত করলেও ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত না করে বরং কারখানার কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নানাভাবে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে আমাদের পোশাক খাত এক কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। উপর্যুপরি অগ্নিকা- ও ভবনধসের ঘটনায় যখন দেশের পোশাক খাতের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, ঠিক তখনই দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক ক্রেতাই বিমুখ হয়েছেন। ইতোমধ্যে রফতানি আদেশও অনেক কমে গেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য মতে, গত বছরের নভেম্বরে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৯ দশমিক ৫৪ এবং ডিসেম্বরে ১৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। সূত্র মতে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা রাজনৈতিক সহিংসতায় বিদেশি ক্রেতারা তৈরি পোশাক খাতে দুই কোটি ২০ লাখ ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে, যার নেতিবাচক প্রভাবে পোশাক রফতানির ধারা এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর ‘কোয়ার্টারলি ইকোনমিক আপডেট’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ ও শ্রমমান বিষয়ে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করাই এখন পোশাক খাতের বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছে। এখন শ্রমমান উন্নয়ন, প্রযুক্তির আধুনিকায়ন ও উৎপাদন বাড়াতে বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন। এতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে টেকসই করতে ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একমাত্র চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশের শুল্কমুক্ত বা জিএসপি সুবিধা ধরে রাখতে হবে। যদি কোনো কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইইউ জিএসপি সুবিধা স্থগিত বা প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে বাংলাদেশের সামগ্রিক রফতানির ওপর তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। এটা বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে নড়বড়ে করে দেবে। ওই প্রতিবেদনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, যদি আবার কোনো কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা ফিরে আসে, তবে সেটা বাংলাদেশের বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সম্প্রতি বিজিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম এক সেমিনারে পোশাকশিল্পের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মেশিন, যন্ত্রপাতি, অগ্নিনির্বাপণসামগ্রী ও ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতির আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বরোপ করেন। তিনি বলেন, আমাদের পোশাক শ্রমিকদের কর্মদক্ষতার চেয়ে প্রতিযোগী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা অনেক বেশি। এ কারণে আমাদের শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। নইলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। সংগত কারণেই তিনি পোশাকশিল্পের প্রযুক্তির আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। জানা গেছে, ইতোমধ্যে পোশাক খাতের প্রযুক্তিগত টেকসই উন্নয়নে যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি সরকার প্রত্যক্ষ বিবেচনায় নিয়েছে। আমরাও আশাবাদী, দেশের রফতানি আয়ের বৃহৎ খাত পোশাকশিল্পের উন্নয়নে প্রযুক্তির আধুনিকায়নে যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা সরকার নিশ্চিত করবে। কারণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ব্যতীত প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এমনিতেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, মিয়ানমার ও পাকিস্তানের পোশাকশিল্পের উন্নয়নে বিশ্বের ক্রেতা দেশগুলো নানাভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে জিএসপি সুবিধা দিয়েছে। ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ জিএসপি সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিয়েছে। আবার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৯৯৭ সালে বন্ধ হওয়া সুযোগ এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) স্কিমে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। অর্থাৎ এখন বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে চরম প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে, যা অনেকটাই নিশ্চিত করে বলা যায়।

পরিশেষে শুধু এটুকুই বলতে চাই, একমাত্র পোশাকশিল্পের সুবাদেই আজ দেশের অর্থনীতি মজবুত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ অর্জনকে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনের স্বার্থেই ধরে রাখতে হবে। আমাদের চারপাশ ঘিরেই পোশাকশিল্পের উদীয়মান প্রতিযোগীদের মোকাবিলা করতে কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক মানের সমপর্যায়ে যেতে হবে। এ খাতের পুনর্গঠন ও আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ জন্য কারখানা মালিকদের পাশাপাশি সরকারকেও প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার হাত প্রসারিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভারতের মতো ‘এক্সাইজ’ ডিউটি ও যন্ত্রপাতির আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে দীর্ঘমেয়াদে স্বল্পসুদে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে হবে। এ খাতকে টিকে রাখা সম্ভব হলে বাংলাদেশ যে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবে, যা সুনিশ্চিত করেই বলা সম্ভব।

লেখক : কলামিস্ট