Dr Debapriya Bhattacharya recommends political dialogues for overcoming crisis

Published in Bangladesh Pratidin on Wednesday, 29 January 2014.

সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক সংলাপ প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, নতুন সরকারকে খোলা মন নিয়ে সবার সঙ্গে সংলাপ করতে হবে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে শুধু নির্বাচনের জন্য আলোচনা নয়। অর্থনীতি এগিয়ে নিতে সমাজে স্বস্তি ফেরাতে হলে কাজ করতে হবে। মানুষ দেখতে চায় নেতারা একসঙ্গে কাজ করেন। সাংবিধানিকভাবে এ সরকার বৈধ, তবে নীতিগতভাবে ঘাটতি আছে। সংকট উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক সংলাপ অত্যন্ত প্রয়োজন।

সোমবার এসএ টেলিভিশনে বিশিষ্ট সাংবাদিক নঈম নিজামের উপস্থাপনায় লেট নাইট এডিশন শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, সংলাপ বলতে সবাই বলেন রাজনৈতিক সংকট মেটানো সংলাপ। বিষয়টি তা নয়। আমাদের আরও সংকট আছে। সেই সংকট মোচনে সরকারকে সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিভিন্ন নীতি উন্নয়নের সঙ্গে যারা জড়িত, নাগরিক সমাজ, গ্রাম পর্যায়ে যারা উন্নয়নে জড়িত ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মূলকথা হচ্ছে সমাজে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।

রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে গত বছর বিদেশে ২৩ শতাংশ লোক কম গেছে। নতুন বাজার পাওয়া যায়নি, মালয়েশিয়াতে লোক পাঠাতে পারল না সরকার। প্রতি বছর আমাদের ৪-৫ লাখ লোক বিদেশে যেতে হবে।তিনি বলেন, এখন বিএনপি সংসদে নেই। যে কারণে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। বিরোধী দল যদি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে পারে তাহলে এর পরিবর্তন হবে। তারা যদি নাশকতা দিয়ে আন্দোলন করেন তাহলে আবার হেরে যাবেন।দেবপ্রিয় বলেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক কারণে যেসব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার পুনর্গঠনে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। কৃষিজাত পণ্য, পরিবহন, মারাÍক ক্ষতি হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য নীতি নিশ্চয়তা থাকতে হবে। তা না হলে বিনিয়োগ আসবে না। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সব রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

সিপিডির ফেলো বলেন, শত বাধার পরও বস্ত্র খাত ভালো করেছে। কারণ হরতাল বা অবরোধে কারখানা চালু ছিল। দুই দলের মধ্যে ঐকমত্য আছে এ খাতে রাজনৈতিক কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখতে। জিএসপি সুবিধা পুনরুদ্ধারে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা, কারখানায় কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু কাগজে-কলমে আইন করেই কাজ শেষ এমনটি বিদেশিরা বিশ্বাস করবে না। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেহেতু এটা বাতিল করেনি তাই যুক্তরাষ্ট্র হয়তো নমনীয় হবে। তিনি বলেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা আইন সভায় গেছে। রাজনীতিবিদরা জনপ্রিয় কাজ করতে চান। জিএসপি পুনরুদ্ধার করতে হলে আইন সভার মতামত গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। দেবপ্রিয় বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ জায়গায় জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন না। এ যাবত যত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে তার কোনো বিচার বা শাস্তি হয়নি। ২০০১ সালে এ ঘটনা আকস্মিকভাবে ঘটেছে। এবার আকস্মিকভাবে হয়নি। মনে করা হয়েছিল প্রশাসনের প্রস্তুতি থাকবে। কিন্তু এ ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটছে। প্রশাসন নির্বিকার।