Dr Khondaker Golam Moazzem on CSE MD quits

Published in প্রথম আলো on Wednesday, 2 December 2015.

বিএসইসিকে সক্রিয় দেখতে চান বিশেষজ্ঞরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদত্যাগের ঘটনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উভয় পক্ষের দ্বন্দ্বের বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে বিএসইসিকে। তা না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) করার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে পরিচালনা পর্ষদের হস্তক্ষেপ ও প্রভাবমুক্ত করা। সিএসইর এমডির পদত্যাগের ক্ষেত্রে যদি সেই ধরনের হস্তক্ষেপের বিষয়টি থাকে, তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
পরিচালনা পর্ষদের প্রভাবশালী সদস্যদের বিরুদ্ধে অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সিএসইর এমডি ওয়ালি উল মারুফ মতিন গত সোমবার পদত্যাগ করেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পরিচালনা পর্ষদের সভা ডাকা হয়েছে।
এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিষয়টি নিয়ে সিএসইর এমডি ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছে। গত সোমবার বিকেলে এমডি ওয়ালি উল মারুফ মতিন ও গতকাল মঙ্গলবার সিএসইর সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মজিদের সঙ্গে এ বৈঠক হয়। বিএসইসির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠককালে বিএসইসি উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনে। তবে এ বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক আরও বলেন, সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের কিছু সদস্য ও এমডির মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটি দুঃখজনক। বিএসইসি ছাড়া বাইরে থেকে কেউ এসে এ সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্ষদকে সঠিক পথে পরিচালনায় সভাপতিরও কিছু করণীয় রয়েছে। তিনি তাঁর ক্ষমতা ও এখতিয়ার যথাযথভাবে ব্যবহার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

এদিকে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে সংস্থাটির একাধিক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পরিচালক প্রথম আলোকে বলেন, মূলত সংস্থাটিকে লাভজনক করা ও খরচের বিষয় নিয়েই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে কিছুটা মতপার্থক্য ছিল পর্ষদের কারও কারও। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কোনো পরিচালকের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি একাধিক পরিচালক।