Dr Rounaq Jahan on political ideal of the parliamentarians

In relation to CPD-CMI study on “The Parliament of Bangladesh: Representation and Accountability,” cited in Prothom Alo on Wednesday, 29 January 2014.

মন্ত্রিসভার স্বরূপ: গোষ্ঠীস্বার্থ, ব্যবসা, রাজনীতি একাকার

আনোয়ার হোসেন

আগে ছিলেন শুধু শাজাহান খান। এবার যোগ হলেন মশিউর রহমান। পরিবহন খাতের দুই শীর্ষ সংগঠনের নেতার মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেওয়া চমকই। আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ নেতা নসরুল হামিদের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার মাধ্যমে প্রভাবশালী তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধি এখন সরকারে। মন্ত্রী হিসেবে জনস্বার্থ এবং সমিতির নেতা হিসেবে গোষ্ঠীস্বার্থ—দুটিই দেখতে হবে তাঁদের।

নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান দীর্ঘদিন ধরে দেশের শ্রমিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরি সভাপতি। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান বিগত মহাজোট সরকারের আমলে পরিবহনমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি হন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আবাসন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন রিহ্যাবের সভাপতি।

হলফনামা অনুসারে, বর্তমান মন্ত্রিসভার ৪৮ সদস্যের মধ্যে ২২ জনই ব্যবসায়ী। রাজনীতি পেশা ছয়জনের। রাজনীতি ও সমাজসেবা দুজনের। একজন নিজেকে রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেন। আরেকজন রাজনীতিক ও প্রকৌশলী। মন্ত্রিসভায় আইনজীবী আটজন। দুজন আইনজীবীর পাশাপাশি ব্যবসায়ীও। বাকিরা গৃহিণী, আমলা, কৃষি, জোতদার, লেখক ও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে উল্লেখ করেন।

কয়েকজন মন্ত্রীর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আছে। শেয়ার কেনা-বেচার সঙ্গে কারসাজির অভিযোগও উঠেছিল নতুন এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

হলফনামা অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার ৪৫ জনই স্নাতক কিংবা এর ওপরে পড়াশোনা করেছেন। একজন এইচএসসি এবং দুজন এসএসসি পাস।

এ ছাড়া বর্তমান মন্ত্রিসভার ৩৩ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৯ সদস্যের মন্ত্রিসভায় ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান অনির্বাচিতদের মধ্যে মনোনীত (টেকনোক্র্যাট) কোটায় স্থান পেয়েছেন। ১৪ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। সে হিসেবে মন্ত্রিসভায় প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সদস্য ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। বাকি ৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকেই ভোটের লড়াইয়ে নামতে হয়নি।

প্রভাবশালী ও চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রতিনিধির মন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা নৈতিকতার দিক থেকে ঠিক নয়। কারণ মন্ত্রী হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে গিয়ে স্বার্থের দ্বন্দ্ব পরিহার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন গোষ্ঠীস্বার্থের কাছে জনস্বার্থ মার খেয়ে যায়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা প্রমাণিত। সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে এটা পরিহার করা উচিত।’

তিন সংগঠনের তিন মন্ত্রী: তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের অবস্থান বিপরীতমুখী হলেও পরিবহন খাতে তা নেই। শাজাহান খান ও মশিউর রহমান আপাতত দুটি বিপরীতমুখী সংগঠনের নেতা হলেও তাঁদের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়নি বিগত জোট সরকারের আমলে। এর একটা বড় কারণ, শাজাহান খান শ্রমিকনেতা হলেও তিনি পারিবারিকভাবে পরিবহনমালিকও। তাঁর পারিবারিক মালিকানাধীন সার্বিক পরিবহন ঢাকা-মাদারীপুর ও কনক পরিবহনের বাস ঢাকায় চলাচল করে। আর মশিউর রহমানের মালিকানাধীন বাস চলে রংপুরের আশপাশে।

মহাজোট সরকারের আমলে শাজাহান খান পরিবহন খাতের মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর জন্য চাঁদার হার ঠিক করে তা আইন করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। এতে মালিক সমিতির নেতা হিসেবে মশিউর রহমানেরও সায় ছিল। সমালোচনার মুখে যোগাযোগ ও অর্থ মন্ত্রণালয় আইন করে চাঁদা আদায়ের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু মালিক ও শ্রমিকনেতারা এখনো এই বিতর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরজুড়ে পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ, সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের শাস্তি শিথিলসহ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রায় সব বৈঠকে শাজাহান খান ও মশিউর রহমানকে একই অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সড়ক নিরাপত্তা, ভাড়া নির্ধারণসহ পরিবহন খাতের নীতিনির্ধারণী সব কমিটিতে এ দুই মন্ত্রী নিজে কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা আছেন।

জানতে চাইলে শাজাহান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগে আমি একা ছিলাম। মশিউর রহমান আসাতে ভালোই হয়েছে। পরিবহন খাতে অরাজকতা বন্ধ করতে পারব।’ আপনাদের অনেক সিদ্ধান্ত, বক্তব্য ও অবস্থান জনস্বার্থবিরোধী হয় বলে সমালোচনা আছে। এমন অভিযোগের বিষয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা একটা গোষ্ঠীর প্রতিনিধি বলে সব অন্যায় দাবি প্রতিষ্ঠা করব, এমন নয়। যৌক্তিক অবস্থান নেব।’ আইনিভাবে চাঁদার হার নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চাঁদা ঠিক হয়নি বলে বেশি চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমি এখনো এর পক্ষে এবং এটা করা গেলে চাঁদা কমে যেত।’

মশিউর রহমানও শাজাহান খানের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, মন্ত্রী হওয়ার ফলে সুবিধা হয়েছে। শাজাহান খান মন্ত্রী থাকার কারণে সব পক্ষের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করা গেছে। এ জন্য বিগত মহাজোট সরকারের আমলে পরিবহন খাত স্থিতিশীল ছিল।

বিগত মহাজোট সরকারের আমলে আবাসন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের মন্ত্রীদের বাহাস অন্য রকম উচ্চতায় পৌঁছায়। সাবেক পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান শুরুতে আবাসন ব্যবসায়ীদের কাউকে কাউকে প্রকাশ্যে ভূমিদস্যু বলে শাসিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি উলটো অবস্থানে চলে যান।

আবাসন খাতের একাধিক মালিক বলেন, যদিও বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেই আবাসন ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বটা বেশি; এর পরও মন্ত্রী হয়ে নসরুল হামিদ কোন ভূমিকা নেন, সেটাই দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এখন আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ। আর রিহ্যাবের সভাপতি নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীরই দায়িত্ব পেয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী হয়েই নসরুল হামিদ আবাসন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ খাতের ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানেরও আশ্বাস দেন।

বিচিত্র পেশার মন্ত্রীরা: সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী করাতকল ব্যবসায়ী। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে ধূমপান করে তিনি সমালোচিত হয়েছেন। এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন আইনজীবীর পাশাপাশি আমদানিকারকও। বীর বাহাদুর রাবার ব্যবসায় জড়িত। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল হলফনামায় নিজেকে শুধু রাজনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি সিএমসি কামাল টেক্সটাইল মিলসের পরিচালক। এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে, সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও এর উল্লেখ ছিল।

হলফনামা অনুযায়ী, ওবায়দুল কাদের সাংবাদিক, বই-পত্রিকায় লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী লেখক ও গবেষক। শামসুর রহমান শরীফ জোতদার এবং ইসমত আরা সাদেক গৃহিণী। তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মরহুম এ এইচ কে সাদেকের স্ত্রী।

মৎস্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে আয়কর-সুবিধা পাওয়া যায়, কালো টাকাও সাদা করা যায়। এবারের হলফনামায় অনেকেই হঠাৎ করে মৎস্য ব্যবসায় আয় দেখানোর ফলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। মৎস্য ব্যবসায় আয় দেখানো নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। তিনি পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন কৃষি ও ইটভাটার ব্যবসা। এ ছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের নিজের ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রীর মৎস্য খাতে আয় আছে।

বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কোনো পেশা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক এবং ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।

ব্যবসায়ীদের আধিপত্য: বর্তমান মন্ত্রিসভার প্রায় ৪৮ শতাংশই ব্যবসায়ী। এঁদের কেউ কেউ রাজনীতি করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। আবার অনেকেই ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে এসেছেন।

শুধু মন্ত্রী নয়। বিভিন্ন দলের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে আসা সাংসদদের মধ্যে ব্যবসায়ীদেরই প্রাধান্য এবং দিনে দিনে সেটা বেড়েছে।

২০১২ সালে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান ও ক্রিস্টিয়ান মিচেলসন ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক ইঙ্গে আমুন্দসেন ‘বাংলাদেশের সংসদ: প্রতিনিধিত্ব ও জবাবদিহিতা’ (দ্য পার্লামেন্ট অব বাংলাদেশ: রিপ্রেজেন্টেশন অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি) শিরোনামে একটি গবেষণা করেন। গবেষণায় ১৯৭০ সাল থেকে নবম জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নির্বাচিত সাংসদের পেশা তুলে আনা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সাংসদদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০ শতাংশ ছিলেন আইনজীবী। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ছিলেন ২৭ শতাংশ। প্রথম সংসদ নির্বাচনে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ছিলেন ২৪ শতাংশ এবং আইনজীবী ২৭ শতাংশ। এরপর ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি বাড়তে থাকে। ১৯৯১ সালে ব্যবসায়ী সাংসদের সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৫৩ শতাংশ। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪৮, ৫৭ ও ৫৬ শতাংশ।

সাংসদদের প্রতিনিধিত্ব ও জবাবদিহি প্রসঙ্গে অধ্যাপক রওনক জাহান প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৭০ কিংবা এরও আগে পাকিস্তান আমলে মানুষ ভোট দিত আদর্শিক অবস্থান বা গণতান্ত্রিক স্পৃহা থেকে। তখন যাঁরা রাজনীতি করতেন, জনপ্রতিনিধি হতেন—তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন আইনজীবী, শিক্ষক ও পেশাজীবী। তাঁরা কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার চেয়ে জনস্বার্থ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী ছিলেন। এখন রাজনীতির চরিত্রই অনেক পাল্টে গেছে, আদর্শ দূরে সরে গেছে। এখন বেশির ভাগই রাজনীতি করেন ক্ষমতার জন্য। এ ছাড়া আর্থসামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীর উদ্ভাবন হয়েছে। রাজনীতি ও সরকারে এখন এসব প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কর্তৃত্ব বেড়ে গেছে। ফলে সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গোষ্ঠীস্বার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে।

সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ। বাকি ১৪৭ আসনে ৩৯০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাংসদ ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৫৪৩ জনের পেশাসহ নানা দিক বিশ্লেষণ করেছে। সুজনের হিসাব অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের ৫২ দশমিক ৯৪ শতাংশই ব্যবসায়ী। বাকি ৩৯০ জন প্রার্থীর মধ্যে ব্যবসায়ী ৫১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর মধ্যে পেশার ঘর অস্পষ্ট এবং একাধিক পেশার লোকজনও আছেন।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেও দেখা যাচ্ছে, রাজনীতি, ক্ষমতা ও অর্থ—এখন একটা আরেকটার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে আসছেন ক্ষমতা এবং এর মাধ্যমে নিজের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য। আর রাজনীতিতে অর্থের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে গোড়া থেকে রাজনীতি করা ব্যক্তিরাও টিকে থাকার জন্য ব্যবসায় প্রবেশ করছেন। এখন প্রতিটি খাতের ব্যবসায়ীদেরই সংগঠন-সমিতি আছে। ফলে স্বার্থ সংরক্ষণে সোচ্চার তাঁরা। এ জন্যই রাজনীতির মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি মনোযোগী ব্যবসায়ীরা।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনীতি ও সরকারে ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বৃদ্ধির প্রবণতা খুবই জোড়ালো। ব্যবসার সঙ্গে রাজনীতি একাকার হয়ে যাওয়া সুস্থ রাজনীতি কঠিন করে দিয়েছে।