ব্যবসায়ীদের মতামত মূল্যায়ন করতে হবে – মোস্তাফিজুর রহমান

Published in কালের কন্ঠ on Monday, 04 January 2016

বিশেষ সাক্ষাৎকার

ব্যবসায়ীদের মতামত মূল্যায়ন করতে হবে – মোস্তাফিজুর রহমান

 

EDকালের কণ্ঠ : মোটাদাগে আপনার দৃষ্টিতে গত বছর বাংলাদেশের অর্থনীতি কেমন গেল?

মোস্তাফিজুর রহমান : এ দেশের রাজনৈতিক গতিধারার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। গত বছরের শুরুতে ছিল টানা অবরোধ, বিক্ষিপ্ত হরতাল। এতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিনিয়োগে উত্সাহ ছিল না বেসরকারি খাতের। সুদের হার কমানোর পরও বিনিয়োগের চেয়ে সঞ্চয়পত্রে আগ্রহী ছিল অনেকে। অর্থপাচার কমাতে যথাযথ কৌশল গ্রহণে ব্যর্থ হয় সরকার। ব্যাংকের রিজার্ভ আগের ধারা থেকে সরে আসেনি। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ব্যাংকঋণ গ্রহণে উদ্যোক্তাদের তেমন দৌড়ঝাঁপ চোখে পড়েনি। রাজস্ব আদায়ে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও সাময়িক হিসেবে ৬.৫১ অর্জিত হয়। তবে সব কিছু ছাপিয়ে গত বছর বাংলাদেশের বড় অর্জন ছিল নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ। সারা বছরের অর্থনৈতিক স্থবিরতা শেষ সময়ে কিছুটা কাটিয়ে ওঠে। বছরের শেষ ভাগে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে থাকে। তবে গত বছর বড় ধরনের সরকারি বিনিয়োগ হয়। কিন্তু বিগত দিনের ধারাবাহিকতায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের গতি ছিল শ্লথ।

কালের কণ্ঠ : আন্তর্জাতিক অর্থনীতির গতিধারা গত বছর এ দেশের অর্থনীতির ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে?

মোস্তাফিজুর রহমান : আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক গতিধারা বাংলাদেশের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেললেও খুব বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিশেষভাবে খাদ্য সংকট তৈরি না হওয়ায় এ দেশের অর্থনীতি অনেকটা ভারমুক্ত ছিল। মূল্যস্ফীতি মোটাদাগে নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে শিল্পের কিছু খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর কমলেও তার সুবিধা পাননি এ দেশের বিনিয়োগকারীরা। অথচ দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দর কমানোর সুযোগ ছিল। সে পথে যায়নি সরকার।

কালের কণ্ঠ : ২০১৫ সালে সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল বিনিয়োগ বাড়ানো; অথচ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের আশানুরূপ অংশগ্রহণ ছিল না। এর মূল কারণ কী বলে আপনি মনে করেন?

মোস্তাফিজুর রহমান : ২০১৫ সালে সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ বিনিয়োগ বাড়ানো হলেও সরকার ব্যর্থ হয়। বিনিয়োগ না বাড়ার প্রধান বাধা উদ্যোক্তাদের আস্থার সংকট। গত বছরের আগের দুই বছরের প্রায় সারাটা সময়ে ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা। গত বছরের শুরুতেও এ সংকট দেখা দেয়। টানা অবরোধ, বিক্ষিপ্ত হরতালে ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। তবে বছরের মাঝামাঝি প্রকাশ্যে অস্থিরতা না থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে—এমন আশঙ্কা ছিল বছরজুড়ে। আবার দুজন বিদেশি হত্যার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে কেনাবেচায় বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে উত্সাহ কম দেখা যায়। তবে বেসরকারি খাতের অনেক ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাকে বিনিয়োগে সাধারণ উদ্যোক্তাদের আস্থা ফেরাতে সরকার পাশে রাখতে সক্ষম হয়।

কালের কণ্ঠ : বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ পিছিয়ে দিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য আর কোন বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে?

মোস্তাফিজুর রহমান : উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে বিমুখ করতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বড় কারণ হলেও একমাত্র কারণ নয়। গত বছর ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে যে ত্বরণ সৃষ্টি করার প্রয়োজন ছিল তা সরকার পারেনি। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠেনি। বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের চাহিদা সৃষ্টি হয়নি। কাঁচামালের আমদানিপ্রবণতা ছিল না। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি ২০১৫ সালের জুলাই-অক্টোবরে তার আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ কমে। জ্বালানি সংকটে অনেক উদ্যোক্তা আগে তৈরি কারখানা সচল করতে পারেননি। অনেক এলাকায় বিদ্যুত্ পৌঁছালেও সক্ষমতার অভাবে কারখানার বিদ্যুত্ সংযোগ সম্ভব হয়নি। চাহিদামতো গ্যাস পাননি অনেক বিনিয়োগকারী। অবকাঠামোগত দুর্বলতাও গত বছর কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। অবকাঠামো উন্নয়নের অনেক পরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও বা অনেক ক্ষেত্রে কাজ শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। জমির দর গত বছরও কমেনি। বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় পুঁজি চলে যায় এখানে। কারখানা নির্মাণে সুবিধামতো জমি সরবরাহে সরকার এখনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি। অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও গত বছরও তা বাস্তবায়িত হয়নি। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন গত বছরও আশানুরূপ হয়নি। বিশেষভাবে ঢাকা-চট্টগ্রামের যোগাযোগব্যবস্থা গত বছরও উদ্যোক্তাদের ভোগান্তির কারণ ছিল। আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ বিরাজমান এসব সমস্যা ২০১৫ সালে কাটেনি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় ও গতিশীলতার উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি। এভাবে গত বছরও উদ্যোক্তারা পুরনো সমস্যার আবর্তে ঘুরতে থাকেন। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে বাংলাদেশের মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল।

কালের কণ্ঠ : বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ না বাড়লেও উল্লেখযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে শিল্প-কারখানা নির্মাণে বড় মাপের বিদেশি বিনিয়োগ দেখা না যাওয়ার কারণ কী?

মোস্তাফিজুর রহমান : এ দেশের সরকারি খাতের কলকারখানার করুণ দশা সবার জানা। গত বছরও দীর্ঘসূত্রতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। সরকার যেখানে নিজের শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালাতে পারছে না, সেখানে নতুনভাবে বিনিয়োগে এসে লাভ করবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। সরকারের নিয়ন্ত্রণে শিল্প-কারখানা নির্মাণে বিনিয়োগ লাভজনক হবে—এমন আস্থার জায়গাটি এখনো তৈরি হয়নি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনেক যাচাই-বাছাই করে তবেই বিনিয়োগে আসেন। শিল্প খাত টিকে আছে বেসরকারি বিনিয়োগের ওপর। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে বেসরকারি স্থানীয় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। সরকার বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে অবকাঠামো খাতে কিছু বিনিয়োগ করলেও শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে তেমন একটা দেখা যায়নি।

কালের কণ্ঠ : গত বছর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অর্জন কী?

মোস্তাফিজুর রহমান : ২০১৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশের নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ কিছু সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। বড় বড় অবকাঠামোতে সরকারি বিনিয়োগ হয়েছে। বিশেষভাবে গত বছর পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ যথেষ্ট দ্রুত এগিয়েছে, যা এ দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের সুখবর। এতে আঞ্চলিক বৈষম্য কমবে।

কালের কণ্ঠ : বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশ থেকে অর্থপাচার বাড়ছে। অর্থপাচার বন্ধে গত বছর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানা যায়। এসব কতটা কার্যকর হয়েছে?

মোস্তাফিজুর রহমান : গত বছর বিদেশি একটি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থপাচার হচ্ছে। গত বছর অর্থপাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)  সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও অর্থপাচারকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। সরকারের প্রস্তুতি দেখে ধরে নেওয়া হয়েছিল গত বছর কিছু অর্থপাচারকারীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে; কিন্তু তা হয়নি। সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার জায়গাটি হলো আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে অর্থপাচার বেড়েছে। গত বছরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাচারকৃত অর্থ সব যে অবৈধভাবে আয় হয়েছে তা নয়, বরং বৈধভাবে আয় করা অর্থও পাচার হচ্ছে। কেবল অবৈধভাবে যে অর্থ পাঠানো হচ্ছে তা নয়, বরং আইনের মধ্যে থেকেও সুকৌশলে অর্থপাচার হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ট্রেড মিস প্রাইজিং, আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বৈধভাবে আয়ের একটা অংশ বাইরে রেখে দেওয়ার সুযোগ আছে।

কালের কণ্ঠ : গত বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার কতটা সফল? পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগ কতখানি?

মোস্তাফিজুর রহমান : সরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে যেমন সত্যি, তেমনি সত্যি কাজের গতিতে পুরনো দিনের শ্লথগতির বাস্তবায়নের ধারা থেকে গত বছরও বেরিয়ে আসতে পারেনি। এতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়ছে। সময় নষ্ট হচ্ছে। এগুলো থেকে রিটার্ন কমে যাবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরো জোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গত বছর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যথেষ্ট উদ্যোগ ছিল না।

কালের কণ্ঠ : আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সক্ষমতা অর্জনে গত বছর বাংলাদেশ যেসব চুক্তি করেছে বা চুক্তি করতে আলোচনায় বসছে সেসব কার্যকর হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কি প্রভাব পড়বে?

মোস্তাফিজুর রহমান : ২০১৫ সালে বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক চুক্তি করে। এর মধ্যে অন্যতম যানবাহন ও পণ্য চলাচল চুক্তি। এ ছাড়া বিবিআইএন, বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডর ও ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) বিষয়ে আলোচনা চলছে। এসব চুক্তির ফলে বাংলাদেশের বাইরে পণ্য রপ্তানির নতুন বাজার খুলে যাবে বলে আশা করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারকে নিজের দেশের স্বার্থ রক্ষায় শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। আলোচনায় ব্যবসায়ীদের মতামতের মূল্যায়ন করতে হবে।

কালের কণ্ঠ : জাতীয় বাজেটের প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনবিআরের কাঁধে। এ বিষয়ে গত বছর এনবিআর কতখানি সফলতা অর্জন করতে পেরেছে? গত বছর উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল পে স্কেল। এর কি চাপ পড়বে রাজস্ব খাতের ওপর? আপনার মতে, এ বিষয়ে সরকার কি যথেষ্ট প্রস্তুত?

মোস্তাফিজুর রহমান : রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে গত বছর যে লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে কাজ করা হয়েছে তা পুরোপুরি অর্জন হয়নি। বাধ্য হয়ে লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করতে হয়েছে। এর মূল কারণ এনবিআরের সক্ষমতা যে পর্যায়ে বাড়ানো প্রয়োজন সে পর্যায়ে বাড়েনি। তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন দুরূহ হয়ে পড়েছে। এনবিআরের আরো সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আয়কর আদায়ের ক্ষেত্রে পেপার ট্রেইলের সদ্ব্যবহার করতে হবে। আমদানি-রপ্তানির সঠিক হিসাব আনতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এনবিআরের মধ্যে অটোমেশনের মাধ্যমে সমন্বয় আনতে হবে। এতে করদাতাদের সঠিক তথ্য জানা যাবে। শুধু এনবিআরের আদায় বাড়াতে মনোযোগী হলেই হবে না। একই সঙ্গে এনবিআরবহির্ভূত আদায়েও সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। পে স্কেল বাস্তবায়নে রাজস্ব খাতের ওপর আরো চাপ পড়বে। এই চাপ সামলাতে না পারলে সরকারকে আরো দিশাহারা অবস্থায় পড়তে হবে। পে স্কেল বাস্তবায়নে গত বছরই রাজস্ব খাতে আরো মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন ছিল সরকারের।

কালের কণ্ঠ : ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি আনতে কোন বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

মোস্তাফিজুর রহমান : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানো ও ব্যাংকিং খাতের কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে ২০১৬ সালে সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। গত বছর বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত ছিল আলোচিত ইস্যু। ব্যবসায়ীদের দাবিতে সুদের হার সামান্য কিছু কমালেও এখনো উচ্চ হার রয়েছে। এ খাতে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হয়নি গত বছরও। সুদের হার কমাতে ও দুর্নীতি দূর করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর সরকারকে সবচেয়ে জোর দিতে হবে। বেসরকারি খাতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। নীতিসহায়তা এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সবার এগিয়ে আসতে হবে। সরকারকে এখানে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। বছরের শুরু থেকেই কারখানায় উত্পাদনশীলতা বাড়াতে নজর দিতে হবে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি সক্ষমতা, সুশাসন ও সাশ্রয়ীভাবে বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে। এতে যথাসময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কালের কণ্ঠ : কালের কণ্ঠকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মোস্তাফিজুর রহমান : আপনাকেও ধন্যবাদ।