CPD’s stance on Bangladesh’s business competitiveness cited

Published in The Daily Star on Friday, 2 October 2015

View more editorials on the topic

EDITORIAL
GCI ranking improves marginally
Remove the stumbling blocks to growth

The World Economic Forum’s annual report on global competitiveness for 2015-16 has recently been made public. Whereas India has moved up 16 places to 55th place from last year and Sri Lanka improved its ratings five places by scoring 68 this year, Bangladesh managed to move up only two points to 107th from 109th in the Global Competitiveness Index (GCI). Yes, we have made significant strides in the areas of better macroeconomic management, and education. Bangladesh lags behind in some crucial areas: inadequate infrastructure, corruption, political stability, poor public health and limited access to finance. And though the government has moved forward to enhance efficiency of the administration, its reforms are lagging behind.

It is the considered opinion that without an active anti-corruption watchdog body, operating freely, the drive against corruption will not succeed. Again without a highly efficient bureaucracy, executing the numerous mega-projects undertaken by the government will face impediments. Going by the feedback on a survey conducted by the Centre for Policy Dialogue (CPD) received from 300 companies in the country, 75 per cent respondents believe the major hurdles to greater competitiveness lie in a less-than-adequate infrastructure and an insufficient and erratic power supply. 96 per cent of respondents, as opposed to 94 per cent the year before, believe the quality of public representatives has suffered.

Our performance in the South Asian context has been disappointing. Unless the nagging problems of infrastructure and good governance are addressed, our aspiration to move up in GCI may suffer a setback.

 

Published in Bonik Barta

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় অগ্রগতি

সুশাসন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে জোর দিন

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) ১৪০টি দেশে ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদন-২০১৫’ প্রকাশ করেছে বুধবার। ঢাকায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) প্রকাশ করে প্রতিবেদনটি। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের র্যাংকিংয়ে ৭-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৭৬ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১০৭তম অবস্থানে। পূর্ববর্তী অর্থবছরে আমাদের স্কোর ছিল ৩ দশমিক ৭২ এবং অবস্থান ছিল ১০৯তম। অর্থাৎ স্কোরে ১ দশমিক ১ শতাংশ অগ্রগতি র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে দিয়েছে আমাদের। বণিক বার্তার কাছে সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক মন্তব্য জানিয়েছেন, এ বছর ১৪০টি দেশের বদলে আগের বছরের ১৪৪টি দেশ বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের অবস্থান আরেক ধাপ এগিয়ে ১০৬-এ উঠে আসত। এ কথার পর আর বলার অপেক্ষা রাখে না, বাস্তবিকই অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতায়। বিশেষত সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মতো মৌলভিত্তিতে উন্নয়ন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু খারাপ খবর হলো, দক্ষতা বৃদ্ধি, নতুন উদ্ভাবন ও সূক্ষ্মতা আনয়নে অবস্থানের নিম্নমুখিতা। প্রতিবেদনমতে, নতুন উদ্ভাবন ও সূক্ষ্মতা আনার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী স্কোর থেকে দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় ১২২ থেকে ১২৩তম অবস্থানে সরে গেছে বাংলাদেশ। আবার দক্ষতা বৃদ্ধিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমাদের অবস্থান ১০৫তম; যা আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ অবনতি। খেয়াল করার মতো বিষয়, সার্বিকভাবে দক্ষতার অবনতিতে পণ্যবাজার দক্ষতার ঘাটতিই অধিক প্রভাব ফেলেছে বলে প্রতীয়মান। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, শ্রমবাজার, অর্থবাজারে উত্কর্ষ আনয়ন কিংবা প্রযুক্তিবাজার সম্প্রসারণেও দেখা যাচ্ছে দক্ষতার হ্রাস। সবাই প্রত্যাশা করবেন, সরকার দ্রুত দক্ষতার অবনতি রোধে দৃষ্টি দেবে। তার সঙ্গে এর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ওপরও জোর দেয়া দরকার। নইলে আগামীতে আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখানো সম্ভব নাও হতে পারে বলে অনেকের শঙ্কা।

একই অনুষ্ঠানে আলোচ্য প্রতিবেদনের সঙ্গে সিপিডি প্রণীত তাত্ক্ষণিক জরিপের বিস্তারিত জানা গেল সহযোগী এক দৈনিক মারফত। লক্ষণীয়, সে জরিপে অংশ নেয়া ৬২ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নেই। জরিপটিতে মাত্র ৫৬ জন ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেছিলেন বিধায় তা উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। কেননা একই ব্যক্তিদের ৬৯ শতাংশ কিন্তু মত দিচ্ছেন যে, অবকাঠামো উন্নয়নে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। তাছাড়া এ জরিপে মতামত প্রদানকারী ব্যবসায়ীদের সম্পদ ১০ কোটি টাকার উপরে। তার মানে স্থানীয় মানদণ্ডে তাদের কমবেশি প্রভাব রয়েছে বাজারে। উপরন্তু একই জরিপে দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন গত বছর। ফলে সরকারের উচিত হবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা। এ আলোচনায় শুরুতেই আসবে সুশাসন নিশ্চিতকরণের প্রশ্ন। সুশাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতায় ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৩২তম। আবার পূর্ববর্তী বছরগুলোয় সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বাড়তে দেখা গেলেও তা কমেছে এবার। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মনে করেন, অগ্রগতির দিকে আমরা এখন হাঁটছি, আমাদের দৌড়াতে হবে। আর আশাবাদ অনুযায়ী বড় হতে চাইলে আমাদের সামনে সুশাসন ও দক্ষতার ঘাটতি দূর করা ছাড়া উপায় নেই। এ বিষয়ে সরকারের অধিক সক্রিয়তাই প্রত্যাশিত এখন।

 

Published in Kaler Kantho

সক্ষমতা সূচক ও বাংলাদেশ
প্রতিবন্ধকতাগুলোও দূর করতে হবে

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদনে (২০১৫-২০১৬) আমাদের জন্য তেমন কোনো সুখবর নেই। সামষ্টিক অর্থনীতি ও অবকাঠামোর মতো মৌল ভিত্তিগুলো খানিকটা জোরদার হলেও দক্ষতা বৃদ্ধিতে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এক বছরের ব্যবধানে প্রতিবেশী ও সমমানের অর্থনীতির দেশ ভারত ৭১ থেকে ৫৫-তে উঠে এসেছে। ৬৮ নম্বরের ভিয়েতনাম এখন ৫৬ নম্বরে। শ্রীলঙ্কা ৭৩ থেকে ৬৮-তে উঠেছে। তাই ১৪০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ১০৯ থেকে ১০৭-এ উত্তরণকে সামান্যই বলতে হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ বিবেচনায় ১০৬ দেশের পেছনে পড়ে থাকাও ইতিবাচক কিছু নয়!

সার্বিক বিচারে সূচক খানিকটা উঠলেও আপেক্ষিক বিচারে তা হতাশাব্যঞ্জক। ১৬ সমস্যার আলোকে সূচকটি নির্ধারিত হয়। এর প্রথম ছয়টিতে কোনোই পরিবর্তন আসেনি। এগুলো হচ্ছে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, দুর্নীতি, অক্ষম আমলাতন্ত্র, সরকারের স্থিতিশীলতা নিয়ে সংশয়, ঋণ প্রাপ্তিতে সীমাবদ্ধতা ও সরকারি নীতির সমন্বয়হীনতা। শিক্ষিত শ্রমশক্তির অভাব, মূল্যস্ফীতি, অপরাধ ও চুরি এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা- এই চারটি সমস্যার মাত্রা আগের তুলনায় কমলেও পরিবর্তনটি সামান্য।

এবার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন সূচকের ২৮ নম্বরে অপরিবর্তিত থাকা বাংলাদেশসহ অন্য উদীয়মান ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য বড় চিন্তার কারণ বলেই মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আমরা চীনের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির আশা করছি। দেশটি থেকে অনেক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করা হবে বলেও প্রত্যাশা রয়েছে। সিপিডি মনে করছে, চীন স্থবিরতা থেকে বেরোতে না পারলে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। বার্তাটি আমরা যত দ্রুত অনুধাবন করতে পারব ততই মঙ্গল।

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়। এখন আমরা মধ্যম আয়ে উন্নীত হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছি। এ ছাড়া জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সফল হওয়ার পর বাংলাদেশ এবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে। এমন এক সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে নেতিবাচক কোনো সংবাদই কাম্য হতে পারে না।

ভারত এক লাফে ১৬ ধাপ এগোতে পারে, বাংলাদেশ কেন পারে না? অগ্রগতির পথে বাধাগুলো তো চিহ্নিত! তাহলে কেন সেগুলো গুঁড়িয়ে দিতে পারি না! কেন প্রতিবন্ধকতার সামনে বারবার অসহায় আত্মসমর্পণ! সাফল্যের পথে প্রতিবেশীরা এগিয়ে যাবে, আমরা পিছিয়ে থাকব- এ খুবই গ্লানিকর। যে বাধাগুলো আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশকে সংকীর্ণ করে রাখছে সেগুলো রাতারাতি দূর করা সম্ভব না। কিন্তু অপসারণ অভিযান তো শুরু করতে হবে! প্রশাসনে দুর্নীতি, আমলাতন্ত্রে অদক্ষতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা- এসব নতুন নয়। তার পরও পরিবর্তনের পথে আমাদের অভিযাত্রা শুরু না হওয়া বেদনাদায়ক।

 

Published in Manobkantho

অর্থনৈতিক সক্ষমতায় বাংলাদেশের অবস্থান

অর্থনৈতিক সক্ষমতায় দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাওয়ার এই তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের রিপোর্টে। সারা বিশ্বের ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৪০টি দেশ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর একযোগে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের পক্ষে রিপোর্ট প্রকাশ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। দৈনিক মানবকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অর্থনৈতিক ফেরামের রিপোর্ট অনুসারে ১৪০টি দেশের মধ্যে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭তম। ২০১৩ সালে আমাদের এ অবস্থান ছিল ১০৯তম স্থানে। দুই ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং বাজারের আয়তনের দিকের লক্ষণীয় উন্নতি। প্রতিযোগিতা সক্ষমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মোট ১৬টি সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জরিপে মতামত দেয়া ৫৬ ব্যবসায়ীর মধ্যে ৯৬ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন রাজনৈতিক নেতাদের নৈতিক অবস্থান দুর্বল। তাদের মতে, জনগণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার কঠোরভাবে প্রভাবিত করছে। বাংলাদেশের সমস্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অবকাঠামো। তৃতীয় সমস্যা হলো সরকারের অস্থিতিশীলতা। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে রয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। পুঁজির সহজলভ্যতা নেই। ব্যাংকে অলস টাকার পাহাড় জমা হলেও এখনো সুদের হার ওইভাবে কমেনি। সহজে ঋণও পাওয়া যায় না। সংস্থাটির বিবেচনায় অন্য সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে নীতি নির্ধারণে অস্থিতিশীলতা, প্রশিক্ষিত জনশক্তির অভাব, উচ্চ কর হার, করের বিভিন্ন আইনে জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রার নীতি, মূল্যস্ফীতি, নৈতিকতার অভাব, উদ্ভাবনী ক্ষমতার অভাব, শ্রম আইনের সীমাবদ্ধতা এবং জনস্বাস্থ্য। জরিপে মোট ৭ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৩ দশমিক ৭৬। তবে অর্থনৈতিক সক্ষমতায় আমরা দুই ধাপ এগুলেও এই একই জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে, অবকাঠামো, আর্থিক খাতের ব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, শ্রমবাজারের দক্ষতা, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির দিক থেকে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছি। কৃষি ও শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ অনেক আগেই ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র অপবাদ কাটিয়ে উঠেছে। নিজেদের সক্ষমতার প্রশ্নে আমরা যে এগিয়েছি অনেকটা পথ, তা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিবেদনই বলে দেয় স্পষ্ট করে। তবে এখানেই থেমে যাওয়ার সুযোগ নেই, সুযোগ নেই আত্মতৃপ্তিরও। বিশ্বজুড়েই আজ প্রতিযোগিতা। প্রতিনিয়ত বৈশ্বিক মানদণ্ডের পরিবর্তন ঘটছে। খাদ্য উৎপাদনসহ অনেক ক্ষেত্রেই ইতোমধ্যে আমরা নিজেদের প্রয়োজনীয়তাকে সমৃদ্ধ করতে পারলেও তা যথেষ্ট নয়। এখনো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা পিছিয়ে রয়েছি যা শুধু বৈশ্বিক মানদণ্ডেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মানদণ্ডেও। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে যেসব বাধা রয়েছে এখনই তা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। সীমিত সম্পদ এবং প্রচুর সীমাবদ্ধতার পরও আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ যেন নিজেদের ভুলে বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে সচেতন হতে হবে। আর এক্ষেত্রে প্রথমেই প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দুর্নীতির মূলোৎপাটন।