CPD prediction on revenue collection target 2015-16 cited

Published in বণিক বার্তা on Thursday, 11 February 2016

চলতি অর্থবছর

ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ ৬৮ হাজার কোটি টাকা

 

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আহরণের এ হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলেও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৫৯ হাজার ৯৮ কোটি টাকা।

রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে থাকলেও অর্থবছরের শেষ নাগাদ নতুন করদাতা করজালের আওতায় আনার মাধ্যমে রাজস্ব ঘাটতি অনেকটা পূরণ হবে বলে মনে করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার দৃঢ় প্রত্যয়ে সব অংশীজনের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে কর বিভাগ চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী মোট ৩ লাখ ২০ হাজার নতুন করদাতাকে করজালে আনার জন্য জরিপ শুরু করেছে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর অঞ্চলগুলো থেকে জরিপ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কর অঞ্চলভিত্তিক একাধিক জরিপ দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নতুন করদাতা সৃষ্টির এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।’

জানা গেছে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। এ লক্ষ্য অর্জনের বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বর্তমান অর্থবছরের অবশিষ্ট সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি সন্তোষজনক, রফতানি আয় বৃদ্ধি এবং আমদানি প্রবাহ বৃদ্ধি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি হলে ওই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজতর হবে।

এনবিআর জানায়, স্বাধীনতার পর রাজস্ব আহরণের চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ আদায় হয় এবং পরবর্তী ৬ মাসে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ আদায় হয়। চলতি অর্থবছরেও একই ধারা অব্যাহত রয়েছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩৯ শতাংশ রাজস্ব আহরণ হয়েছে।

এদিকে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের শুরুতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আদায় না হওয়ায় পরবর্তীতে তা কমিয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়। বছর শেষে অবশ্য ওই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা গেলেও প্রবৃদ্ধি হয় ১৭ শতাংশের কিছু বেশি। চলতি বছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরও রাজস্বের লক্ষ্য অর্জন হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সম্প্রতি সংস্থাটি জানায়, চলতি অর্থবছর ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে। যদিও তাদের এ মতের সঙ্গে একমত নয় সরকার।