Reports on CPD talk show on National Budget for FY2016 with Jamuna TV

CPD hosted a TV Talk Show series on National Budget for FY2016 with Jamuna TV from Monday, 1 June 2015 to Wednesday, 3 June 2015, every day between 8:00pm and 9:00pm.

The discussions with distinguished economists, policymakers and researchers covered Macroeconomic Management and Fiscal Framework, Industrialization and Investment, and Rural Economy, Crop Sector and Safety Net.

As the print media partner for the event, Samakal reported on the discussions.

 

 

Published in Samakal on Thursday, 4 June 2015.

গ্রামে কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ দরকার

বিশেষ প্রতিনিধি

গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এখন সবচেয়ে বেশি দরকার কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানো। এখানে বেশি বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। আর এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যাবে। দারিদ্র্য ব্যাপকমাত্রায় কমানো সম্ভব হবে। গবেষণা সংস্থা সিপিডি ও বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের আয়োজনে ‘বাজেট ও উন্নয়ন ভাবনা’ শিরোনামে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ‘টক শো’তে অতিথিদের আলোচনায় এমন মতামত এসেছে। সমকাল এ আয়োজনে প্রিন্ট মিডিয়া সহযোগী।

সিরিজ টকশোর গতকালের বিষয় ছিল ‘গ্রামীণ অর্থনীতি ও সামাজিক সুরক্ষা’। আলোচনায় অংশ নেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও ব্র্যাকের উপদেষ্টা ড. মাহবুব হোসেন এবং সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান। স্টুডিওর বাইরে থেকে অংশ নেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।

আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেন, সরকার কৃষিখাতে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু কৃষিভিত্তিক শিল্প গত পাঁচ বছরে তেমন গুরুত্ব পায়নি। বেসরকারি ‘প্রাণ’ গ্রুপ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষিভিত্তিক শিল্পের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। কৃষিভিত্তিক শিল্পের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে।

ড. মাহবুব হোসেন বলেন, গ্রামে কৃষির বাইরে বড় ধরনের বিনিয়োগ দরকার। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাটের সংস্কার হচ্ছে না। এজন্য পণ্যের বাজারজাতকরণে সমস্যা হচ্ছে। মৎস্য ও পশুপালনে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, কৃষি খাতে বরাদ্দ করা ভর্তুকি খরচ না হলে অন্য খাতে না দেওয়া উচিত। কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্যের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়ানোর পরামর্শ দেন মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, সরকারের একটা ‘প্রাইস রেঞ্জ’ থাকা উচিত। একটি নির্দিষ্ট দামের নিচে বা ওপরে গেলে সরকার কিনবে বা বিক্রি করবে।

সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, কৃষিনির্ভর শিল্প হতে হবে। তিনি কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির জন্য প্রাইস কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে আরও বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেন তিনি। তার মতে, কৃষিপণ্যের যথাযথ মূল্য নিশ্চিত না হলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে।

শাহীন আনাম বলেন, নারীর কাজের স্বীকৃতি জাতীয় পরিসংখ্যান পদ্ধতির মধ্যে আসছে না। এ কারণে অর্থনীতিতে নারীর অবদানের যথার্থ স্বীকৃতি মিলছে না।

এ বছর থেকে গতি পাবে পিপিপি :আগের দিন মঙ্গলবার একই আয়োজনে আলোচনার বিষয় ছিল ‘শিল্পায়ন, অবকাঠামো ও বিনিয়োগ’। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বা পিপিপি বিষয়ক কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফসর এইচ উদ্দিন পিপিপি উদ্যোগের অগ্রগতির তথ্য দেন। তিনি বলেন, পিপিপির জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো হয়ে গেছে। এ বছর থেকে এ উদ্যোগ গতি পাবে। এ বছর আটটি প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগ হবে। মোট ৪২টি প্রকল্প পিপিপি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসাইন খালেদ, সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং উইমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমদ।

 

Published in Samakal on Tuesday, 2 June 2015.

বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ

বিশেষ প্রতিনিধি

জাতীয় বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এর গুণগত বাস্তবায়ন। বাস্তবায়নের জন্য দরকার সক্ষমতা বাড়ানো। সক্ষমতা বাড়াতে মানবসম্পদে আরও বিনিয়োগ করতে হবে। গবেষণা সংস্থা সিপিডি ও বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের আয়োজনে ‘বাজেট ও উন্নয়ন’ শিরোনামে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ‘টক শো’তে আলোচকদের সবাই বাস্তবায়ন দুর্বলতা নিয়ে অভিন্ন মত দিয়েছেন।

সিরিজ টক শো’র গতকালের বিষয় ছিল ‘অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’। আলোচনায় অংশ নেন অর্থ এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ

মান্নান এমপি, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। সমকাল এ আয়োজনের প্রিন্ট মিডিয়া সহযোগী।

এমএ মান্নান বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে সমস্যা আছে। দক্ষতার অভাব এর বড় কারণ। এ ছাড়া আবহাওয়াগত কারণ রয়েছে। বিশেষত বর্ষাকালে প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা হয়। আমলাতান্ত্রিক কিছু জটিলতা রয়েছে। অর্থ ছাড়ের দীর্ঘসময় পরও কিছু ক্ষেত্রে ঠিকমতো কাজ এগোয় না। তিনি আশা করেন, আগামী বাজেটে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এবারই ভালোভাবে বাজেট বাস্তবায়ন করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ। কেননা রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত আছে। খুব দ্রুততার সঙ্গে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।

মোস্তাফিজুর রহমান এ আলোচনায় ২০ বিলিয়ন ডলার পাইপলাইনে আছে উল্লেখ করে বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এডিপিতে স্থানীয় টাকায় যা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার অগ্রগতি ভালো। তবে বিদেশি সহায়তা ব্যবহারে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো ও সাশ্রয়ীভাবে তা করা যাচ্ছে না। তিনি পদ্মা সেতুর উদাহরণ দিয়ে বলেন, ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে এর প্রাক্কলিত ব্যয় এখন ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর জন্য হয় টোল বাড়াতে হবে, না হয় সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে অর্থ এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অর্থ ছাড়ে দীর্ঘসূত্রতার জন্য দাতাদেরও দায় আছে বলে মন্তব্য করেন। তার মতে, তারাও নানা শর্ত দিয়ে দেরি করে।

রাজস্ব আদায় যেভাবে বাড়াতে হবে :আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অনেক বাড়ানো হচ্ছে। এটি অর্জনে কী করতে হবে এমন আলোচনায় এমএ মান্নান বলেন, ভ্যাট থেকে আয় বেশি বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। করের আওতা কিছুটা বাড়ানো হবে। মোস্তাফিজুর রহমান আয়করের আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি সম্পত্তি করারোপের প্রস্তাব দেন। আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, কর প্রশাসন ঢেলে সাজানো গেলে রাজস্ব আদায় বড় অঙ্কে বাড়ানো সম্ভব। তিনি বলেন, বিড়ি-সিগারেট থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বাড়তি কর আদায় সম্ভব। উৎসে কর আরও বেশি আদায় করার সুযোগ আছে বলে তিনি মনে করেন।

সম্ভাবনা অনুযায়ী বিনিয়োগ হচ্ছে না :মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির মাত্র ২০ থেকে ২১ শতাংশ। এটি ২৫ থেকে ২৬ শতাংশে নেওয়া দরকার। অর্থনীতিতে এখন কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। এ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও সুশাসনের দিকে নজর দিতে হবে, যা বিনিয়োগে উৎসাহ জোগাবে। আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, সরকারের এখন প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো। যারা নতুন বিনিয়োগে আসতে চান তাদের গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বাইরে থেকে অনেক বিনিয়োগ না এলেও স্থানীয় বিনিয়োগ বাড়িয়ে আরও উন্নয়ন সম্ভব।