Investment in SEZs should be top priority in Bangladesh-China business discussion: Mustafizur Rahman

Published in আলোকিত বাংলাদেশ on Monday, 8 August 2016

যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা ২২ আগস্ট

পোশাক খাতে চীনের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে স্থানান্তরের সম্ভাবনা

জাহিদুল ইসলাম

অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী চীন। পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণের মতো বড় প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে। যোগাযোগ অবকাঠামো খাতের কয়েকটি প্রকল্পে অর্থায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পেও অর্থায়ন করতে চায় চীন। অন্যদিকে পোশাক শিল্পে চীনের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে সরকার। চীনে মজুরি বৃদ্ধির কারণে শ্রমঘন শিল্প স্থানান্তর করতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। এ খাতে চীনের বিনিয়োগ আসার ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। চীনের সঙ্গে আসন্ন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভায় (জেইসি) এসব বিষয়ে আলোচনা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, দুই দেশের মধ্যে জেইসি সভা ২২ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে চীনের বাণিজ্যবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার গাও ইয়ান চীনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সমাপনী বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠক সামনে রেখে নিজেদের অবস্থান চূড়ান্ত করছে সরকার।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক, তা সত্ত্বেও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে অর্থনীতি ও বাণিজ্যই হবে মূল চালিকাশক্তি। এর সঙ্গে পানি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তি, যোগাযোগ, বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশী বন্দরগুলোর সামর্থ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এ সহযোগিতা সম্প্রসারিত হতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, চীনের সঙ্গে বৈঠকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের বাস্তবায়ন কাজে বিলম্ব হয়। অঞ্চল স্থাপনের কাজ যদি চীন করে তাহলে এটি অনেক দ্রুত হবে। একই সঙ্গে তাদের দেশে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে দ্রুত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনে স্থানান্তর করার বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।

তিনি বলেন , চীনের কাছে সব পণ্যের জন্য শূন্য শুল্ক সুবিধা দাবি করতে হবে। যদিও অনেক পণ্যের ক্ষেত্রে চীন শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। সব পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা আদায় করতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তার আমদানির সবচেয়ে বড় অংশটি করে চীন থেকে। প্রধান আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, সার, টায়ার, লৌহ ও ইস্পাত, সয়াবিন তেল এবং পাম অয়েল ও গম। অন্যদিকে, চীন বাংলাদেশ থেকে চামড়া, পাট ও পাটজাত পণ্য, চা, তৈরি পোশাক এবং মৎস্য জাতীয় পণ্য আমদানি করে।

জানা যায়, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি হয়েছে। ১৯৭৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক যথেষ্ট জোরদার হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের একটি বিনিয়োগ প্রস্তাব এরই মধ্যে দিয়েছে দেশটি। ওই প্রস্তাব থেকে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে।