Reducing oil price will benefit consumers and investors

Published in সুপ্রভাত on Tuesday, 23 February 2016

জ্বালানি তেলের দর কমানোর সুপারিশ করেছে সিপিডি

সুপ্রভাত ডেস্ক

জ্বালানি তেল বিশেষত, ডিজেল, কোরোসিন ও ফার্নেস অয়েলে দাম কমানোর সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে গ্যাস ও বিদ্যুতের দামও সমন্বয় করার সুপারিশ করা হয়। রোববার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের অর্থনৈতিক পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ওই সুপারিশ করা হয়।

সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্ব বাজারের পরিসি’তি অনুসারে তেলের দর কমানো উচিত। এতে বেশি লাভবান হবেন ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মতামত, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলে দর সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। দেশের বাজারে তেলের দাম গড়ে ১০ শতাংশ কমালে সামষ্টিক দেশজ উৎপাদন দশমিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। পাশাপাশি তৈরি পোশাক রফতানি দশমিক ৪০, ভোক্তা চাহিদা দশমিক ৬০ শতাংশ বাড়বে, অপরদিকে মূল্যস্ফীতি দশমিক ২ শতাংশ কমবে বলে সিপিডি অভিমত ব্যক্ত করেছে। তবে এতে সরকারের সঞ্চয় কমবে দশমিক ৪ শতাংশ। সিপিডি বলছে, জ্বালানি তেলে ভর্তুকির কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ক্রমাগত লোকসান দিয়েছে। ভর্তুকি বাবদ ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে মুনাফায় থাকা বিপিসি ঋণ পরিশোধ করছে কি না, বিষয়টি পরিষ্কার নয়।

সিপিডি’র হিসাব অনুসারে, গত অর্থবছরে বিপিসি মুনাফা করেছে ৫ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। দাম অপরিবর্তিত থাকলে চলতি অর্থবছরেও ১১ হাজার কোটি টাকা মুনাফা হবে। এদিকে বিপিসি’র লোকসান সমন্বয় করা হয়েছে বলে রবিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, জ্বালাতি তেলের ক্ষতি সমন্বয় করা হয়েছে। এবার দাম কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে, সহসাই কমছে না জ্বালানি তেলের দাম। কেননা অর্থমন্ত্রী এ সময় জানান, আগে এ বিষয়ে নীতিমালা করা হবে, তারপর দাম কমানোর বিষয়টির খতিয়ে দেখা হবে। বিনিয়োগ বিষয়ে সিপিডি বলছে, এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। নতুন অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণে বিনিয়োগ আকর্ষণে বড় কোনো উদ্যোগ বা সংস্কার করতে দেখা যায়নি। রাজস্ব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মতামত, এ বছর রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। আর এ জন্য দায়ী হবে অস্থিতিশীলতা।