Published in কালের কন্ঠ on Sunday 17 May 2020
করোনাকালীন সংকটে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিও বিপর্যস্ত। অস্থিতিশীল এ সময়ে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অর্থনীতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ যোগ হওয়া নির্ভর করে রাজনীতির সদিচ্ছার উপর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কালের কণ্ঠের নিয়মিত ফেসবুক লাইভ বিজনেস শোতে যুক্ত হয়ে জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক ড. সেলিম জাহান এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন করোনা সংকটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করতে এসব কথা বলেন। বিজনেস শোটি সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের সিনিয়র বিজনেস এডিটর ফারুক মেহেদী।
বাজেটে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত টাকার বৈধতা এবং প্রয়োজনে আইন করে হলেও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে তা কাজে লাগানো যায় কি না এ প্রশ্নে ড. সেলিম জাহান বলেন, আমি মনে করি কালো টাকা নিয়ে বা অপ্রদর্শিত টাকা নিয়ে বাজেটের আগে আগে যে কথাগুলো হয় এগুলো প্রহসন। কারণ যে অর্থ লুকানো হয়, অপ্রদর্শিত রাখা হয় সে টাকা আর অর্থনীতিতে ফেরানো যায় না। কারণ কালো টাকার অবস্থান কোথায়, সেই টাকা কিভাবে কোথায় যাচ্ছে, কারা এই কালো টাকার অধিকারী এসবই তো রাষ্ট্রযন্ত্র বা সরকারের কাছে আছে। সেই টাকা অর্থনীতিতে ব্যবহার করতে হলে যথেষ্ট শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। কিন্তু সে কাজটা করতে রাষ্ট্রযন্ত্র রাজি আছে কি না সেটা হচ্ছে বড় প্রশ্ন। এখানে আইন বড় বিষয় নয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সরকারের সদিচ্ছা।
ড. ফাহমিদা বলেন, এ বিষয়টা পুরোটাই রাজনীতির সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। আইন তো একটা জটিল প্রক্রিয়া। সেটা করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে খুব সহজেই সম্ভব। এ ছাড়া আইন করা বা অন্যান্য যত প্রক্রিয়ার কথা বলা হোক তা আমার কাছে বাতুলতা বলে মনে হয়।
করোনার সংকট কাটিয়ে ওঠার পথ কী জানতে চাইলে ড. সেলিম জাহান বলেন, বৈশ্বিক এ সংকটের জটিলতা এবং ব্যাপকতা এত তীব্র যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য একা সামাল দেওয়া খুব কঠিন।