Published in বাংলাদেশ প্রতিদিন on 22 November 2020
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনের সাফল্য ধরে রাখতে হলে এ করোনা মহামারীতে কর্মসৃজনমূলক কর্মসূচি নিতে হবে। মানুষকে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বেকারত্ব আমাদের একটি পুরনো সমস্যা। এর সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে কভিড-১৯-এর অভিঘাত, যা ইতিহাসের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বহুসংখ্যক মানুষ এরই মধ্যে বেকার হয়েছে। আবার নতুন করে কেউ চাকরিও পাচ্ছেন। তবে এর সংখ্যা খুবই নগণ্য। তা ছাড়া যারা বিদেশ থেকে ফেরত এসেছে তাদেরও কর্মসংস্থানে ফেরানো যাচ্ছে না। ফলে তাদের দেশেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। আবার বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে। তাদের সেখানে পুনর্বাসন করতে হবে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য যে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার সুফল সবাই পাচ্ছে না। বিশেষ করে এসএমই খাতের উদ্যোক্তা প্যাকেজের সুবিধা নিতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকও সহযোগিতা করছে না। এসব বিষয়ে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই দ্বিতীয় ঢেউ লাগতে শুরু করেছে। এতে আরও নতুন করে অনেকেই বেকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের লোকেরা প্রথম দফায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন প্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মীরা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে। অবশ্য প্রথম দফায়ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতের অনেকেই কাজ হারিয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। ফলে আমাদের রপ্তানি আদেশ আবারও কমতে পারে। ফলে এ খাতও ঝুঁকিমুক্ত নয়।’ এ অবস্থায় সরকারের আর্থিক সহায়তানীতির প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি মানুষকে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আবার প্রতিদিনই যেহেতু রোগী বাড়ছে তাই আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। প্রাণহানি যত কম হবে ক্ষতির পরিমাণ ততটাই কম হবে। কেননা একেকজন মানুষ একেকটি পরিবারের চালকের ভূমিকায় থাকে। ফলে একজন চলে যাওয়া মানে পুরো পরিবারই সংকটে পড়া। এ জন্য অর্থনীতি রক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাও জরুরি।’