Originally posted in সমকাল on 21 July 2022
১১ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। অনেক বছর ধরেই এ হারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। তবে চলতি অর্থবছরের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে চাহিদা কমে আসার প্রমাণ তো নানাভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, রপ্তানি আদেশ পাওয়ার পর পণ্য উৎপাদনে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির অনুমতি (ইউডি) নেওয়ার হার কমছে। আগামী মাসগুলোর রপ্তানি প্রতিবেদনে সেই চিত্র দেখা যাবে। এ পরিস্থিতি থেকে খুব শিগগিরই উত্তরণ সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
অভ্যন্তরীণভাবে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট দীর্ঘায়িত হলে রপ্তানি খাত চাপে পড়বে। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে এতে। ক্রেতাদের হাতে সময়মতো পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হবে না। ফলে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমবে। সম্প্রতি তুলাসহ কিছু কাঁচামালের দর আবার কমতে শুরু করেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে দর সমন্বয় অর্থাৎ দাম কম দেওয়ার প্রবণতা থাকে ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের মধ্যে। ফলে রপ্তানিমূল্য কমবে। এটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে। কৃত্রিম তন্তুর পোশাক ও মূল্য সংযোজিত পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানি বাড়ানোর কৌশল নেওয়া যেতে পারে। সেবা রপ্তানি বাড়ানোরও কৌশল নিতে হবে। এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি কোন ধরনের সেবা কী পরিমাণ রপ্তানি হচ্ছে, সে তথ্যও পাওয়া যায় না। কী ধরনের সেবা কীভাবে কোন বাজারে রপ্তানি করা সম্ভব, কী সহযোগিতা প্রয়োজন- এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।