Originally posted in প্রথম আলো on 21 June 2022
দেশের অর্ধেক নারী। তাঁরা শ্রমবাজারে আসছেন। তবে আরও বেশি করে আসা প্রয়োজন। শ্রমবাজারে এখন নারীর অংশগ্রহণ ৩৬ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় এমনকি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নারীরা ভালো করছেন। নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অনেক সুযোগ আছে। অনেক ধরনের আর্থিক উপকরণ আছে। কিন্তু সেটা কীভাবে কাজে লাগানো যাবে, সেটা হলো প্রশ্ন।
কোভিডের সময়ও আমাদের দেশের নারীরা ভালো করেছেন। আর্থিক খাতের অনেক প্রসার হচ্ছে। অনেক ধরনের সেবা বাড়ছে। সেবার গুণগত মান বাড়ছে। প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হচ্ছে। নারীদের চ্যালেঞ্জের যেন শেষ নেই। তাঁরা খুব ইনফরমালি ব্যবসা শুরু করেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে না। এ জন্য দিনের পর দিন ঘুরেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পান না। সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা অনেক সময় তিনি তাঁর ছেলে, স্বামী বা অন্য কারও মুঠোফোনের মাধ্যমে আনছেন। এসব কারণে তিনি তাঁর পুরো টাকা নিজে ব্যবহার করতে পারেন না।
এসব ক্ষেত্রে আর্থিক শিক্ষার বিষয়টিও জরুরি। আমি নিজে যখন টাকা পাঠাই, তখন খুব দুশ্চিন্তায় থাকি যে টাকাটা ঠিকভাবে পৌঁছাল কি না। আমাদের দেশে স্কুল ব্যাংকিং আছে। এ ক্ষেত্রে ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা জেনে যাচ্ছে, কীভাবে আর্থিক লেনদেন করতে হয়। নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। আপনারা এ বিষয়ে কাজ করবেন জেনে খুশি হলাম।
কারণ, তথ্য খুব জরুরি। সঠিক তথ্য ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। নারীরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে আছেন। কিন্তু তাঁরা যেন আরও বেশি সংখ্যায় আসতে পারেন, সে জন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরডি) ও প্রথম আলোর আয়োজনে ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারী: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৭ জুন ২০২২।