Originally posted in প্রথম আলো on 17 June 2022
শুধু নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করলে চলবে না, নারীর ভয়ের বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। তাঁরা কী কী বিষয়ে ভয় পান, সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। আমাদের সমাজে শুধু নারীদের সহিংসতার শিকার হতে হয় না; আমরা দেখি, ছেলেশিশুরাও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে মারা হয়।
এ ছাড়া তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সহিংসতার শিকার হতে হয়। আমাদের সমাজে যারা দুর্বল, তাদের যেমন ভয় দেখানো হয়, শাসন-শোষণ করা হয়; তেমনি আমাদের সমাজে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত নারী সবাইকে দুর্বল হিসেবে দেখা হয়। আমরা সহিংসতার অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা বলি। এ ক্ষতি নারীর একার ক্ষতি নয়, সমাজের ক্ষতি। এটা মূলত রাষ্ট্রের ক্ষতি। আমরা বাজেটকাঠামোর চারটি মূল স্তম্ভের কথা বলেছি। আমাদের প্রণয়ন করা বাজেট সবার জন্য একই রকমভাবে প্রয়োগ হয় না।
কিছু বাজেট সুনির্দিষ্ট মানুষের জন্য করা হয়। বাজেট স্বল্প আয়ের মানুষ ও বৃহৎ আয়ের মানুষের কাছে একেক রকম। নারীর প্রতি সহিংসতা দূর করার জন্য কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন। বাজেট করতে অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করে থাকে। সে ক্ষেত্রে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় কতটুকু সহায়তা দেয়, সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে গুরুত্ব কম দেওয়া হয়। আমাদের নারী সহিংসতার ক্ষতিটা দেখতে হবে। পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অস্পষ্টতা দূর করতে হবে। সবার সংযুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। বরাদ্দ বাস্তবায়নের বিষয়টি অবশ্যই তদারক করতে হবে। তাহলে আমরা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে পারব।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, সিপিডি ও প্রথম আলোর আয়োজনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কেমন বাজেট চাই?’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৬ জুন ২০২২।