Originally posted in ভোরের কাগজ on 8 November 2022
গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আইএমএফের ঋণ পেতে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে তাতে অনুকূল এবং প্রতিকূল- দুই ধরনের বিষয়ই আছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমাদের অর্থনীতির স্বার্থে অনেকগুলো সংস্কার কর্মসূচি রয়েছে, যা এখনই করতে হবে। সাধারণভাবে বেশ কিছু সংস্কারের কথা বলছে আইএমএফ, যা আমাদের নিজেদেরই করা প্রয়োজন ছিল। গত রবিবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, মুদ্রা বাজারের অস্থিরতা বা ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণ, খেলাপি কমানো, ঋণের সুদহারের ক্যাপ তুলে নেয়া-এসব আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি পরিচালনার জন্য নিজেদেরই করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থের অনুকূলে থাকে এমন শর্ত মানতে কোনো সমস্যা নেই। বিভিন্ন সময়ে আমরা রাজস্ব এবং ব্যাংকিং সংস্কার ও সরকারি ব্যয়ে সংস্কারের সুপারিশ করে আসছি। তবে শোনা যাচ্ছে, আইএমএফ সরকারের ভর্তুকি কমানোর বিষয়ে শর্ত দিতে পারে, আমাদের অর্থনীতির জন্য প্রতিকূলে যেতে পারে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে সে বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। কারণ এ মুহূর্তে ভর্তুকি কমালে সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, অতীতে আইএমএফ এ রকম অনেক শর্ত দিয়েছে, যা শতভাগ বাংলাদেশের অনুকূলে ছিল না। অনেক শর্তের কারণে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ঋণ নেয়া থেকে বিরত ছিল- এ রকম নজিরও আছে।
তিনি বলেন, আইএমএফ যেসব ক্ষেত্রে ভর্তুকী বন্ধের কথা বলছে, সেগুলো আমরা কোথায় দিব, আর কোথায় দিব না- তা তাদেরকে বোঝাতে হবে। আমরা কোনো কাজ করতে পারব আর কোনো কাজ করতে পারব না- তা দলিল দস্তাবেজসহ তাদের সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে। আমাদের অর্থনীতির স্বার্থে অনেকগুলো সংস্কার কর্মসূচি এখনই করতে হবে বলে মনে করেন এ গবেষক।