Published in সমকাল on Friday, 1 April 2022
বাজার দরে ক্রেতা বেজার
হাসিবুর রহমান। ব্যাংকের দারোয়ান। স্ত্রী-সন্তানসহ চারজনের পরিবার। থাকেন রাজধানীর মণিপুরিপাড়ায়। রোজা সামনে রেখে সদাই করতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজারে ঢুঁ মেরেই ভ্যাবাচ্যাকা খেলেন। সবজি, মাছ, মাংস- যেখানেই হাত দিলেন, সেখানেই আগুন! দাম শুনে পাশের এক ক্রেতার কাছে নিজের কষ্টের গল্পটা বলা শুরু করলেন। হাসিবুর বলছিলেন, ‘দুই বছর ছিল করোনার টেউ। ওই সময় জিনিসপত্রের দাম খুব বেশি না বাড়লেও এবার বাজারে মনে দাগ কাটা দাম। রোজা এলেই জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ে। করোনায় চাকরি যায় যায় অবস্থা ছিল। তবে বেতন না বাড়ানোর শর্তে এখনও টিকে আছি। আমার আয় না বাড়লেও খরচা তো থেমে নেই। সংসার চালাতে এখন ঘুম হারাম। গত মাসে ব্যাংকের ডিপোজিট ভেঙেছি। তা দিয়েই এখন কোনোরকমে জীবন চলছে।’
দরজায় রোজা নাড়ছে কড়া। নিত্যপণ্যের বাজার দারুণ চড়া। সংযমের মাসটি এলেই যেন বাজারে দামের ঘোড়া হয়ে ওঠে আরও পাগলাটে! দামের চোটে হাসিবুর রহমানের মতো অনেক ক্রেতা পড়েন মানসিক চাপে। এবার রমজান মাসের দেড় থেকে দুই মাস আগেই নিত্যপণ্যের দামে লাগে ‘আগুন’। এই ক’দিনে ক্রেতারা খানিকটা সয়ে নিয়েছেন আগুনদামের ধকল। অন্য সময় রোজার আগে বাজারদরের বড় ধরনের হেরফের টের পাওয়া গেলেও এবার আগেভাগে দাম বাড়ার কারণে সেই আঁচ খানিকটা কম।
তবে কয়েকটি পণ্যের দাম রমজান শুরুর দু-একদিন আগে আরেক দফা লম্ম্ফ দেখিয়েছে। মাছ, মাংস, বেগুন, বেসনসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কয়েকটি পণ্যের দামে কিছুটা স্বস্তির খবরও আছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার, হাতিরপুলসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য মিলেছে।
ভোক্তারা বলছেন, দুই মাস ধরেই সব জিনিসের দাম বেড়ে আছে। নতুন করে আরও বাড়া মানে স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়া। ফলে অনেকেই চাহিদার চেয়ে কম পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যদিকে বাজার-বিশ্নেষকরা মনে করছেন, করোনা সংকট কাটিয়ে ওঠার মুহূর্তে নিত্যপণ্যের দাম বাড়া মানে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে রমজানের সময় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ান। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে তদারকি ও নজরদারিতেও রয়েছে গাফিলতি। পণ্য আমদানি, মজুত ও সরবরাহের পরিমাণ চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেন তারা।
এদিকে গত বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে। পণ্যদরের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করি, রমজানেও নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় থাকবে।
মাছ ও মাংসের দামে লাফ :ইলিশে হাত দেওয়া যাচ্ছে না! হালি নয়, ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এখন কেজি দরে। বড় আকারের ইলিশের কেজি এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা। ফলে এক কেজি ২০০ কিংবা ৩০০ গ্রাম ওজনের একেকটি ইলিশের দাম পড়ছে এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা। সেই হিসাবে এক হালি ইলিশের দাম ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকার বেশি। ৮ থেকে ১০ দিনের ফারাকে কেজিতে রুই মাছের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বিক্রেতারা ছোট আকারের রুই মাছের কেজি হাঁকছেন ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা। আর বড় আকারের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে। কিছুদিন ধরে কৈ মাছের কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল। এখন কেজি ২০০ টাকা। আর শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। স্বল্প আয়ের মানুষ যে মাছ দিয়ে আমিষের চাহিদা মেটায়, সেই পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়; যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। তেলাপিয়া মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, যা ১০ থেকে ১২ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।
গরুর মাংসের দাম শবেবরাতের আগে থেকেই চড়ে আছে। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংসের কেজিতে খরচ পড়বে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। গত সপ্তাহে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হলে গতকাল ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। তবে ডিমের দরে তেমন হেরফের নেই। ডজন কেনা যাচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়।
বেড়েছে ইফতারি তৈরির উপাদানের দাম :ইফতারির জনপ্রিয় আইটেম বেগুনি, আলুর চপ ও পেঁয়াজু তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর দামও বাড়তি। অ্যাঙ্কর ডালের দাম বাড়ার কারণে বেসনের দামও বেড়েছে। মাসখানেক আগে প্রতি কেজি অ্যাঙ্কর ডালের দাম ছিল ৪৫ টাকা। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এখন হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। প্রতি কেজি বেসনের খুচরা দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা এত দিন কেনা যেত ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। বেগুন কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ধনেপাতার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা।
গত সপ্তাহে ১৭ থেকে ১৮ টাকায় আলু বিক্রি হলেও এক থেকে দুই টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। তবে ছোলার বাজারে তেমন উত্তাপ নেই। প্রতি কেজি ছোলা কেনা যাবে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে ৩.৫৭ শতাংশ।
আমদানি করা মসুর ডালের কেজি ১০০ থেকে ১০৫ এবং দেশি মসুর ডালের কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফলের বাজারে মিশ্র ভাব :রমজানে ইফতারির অন্যতম ফল খেজুর। মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন নামের খেজুর পাওয়া যায় বাজারে। প্রতি কেজি আজোয়া খেজুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, মরিয়ম খেজুর ৬০০ থেকে ৬৫০ ও কালমি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সাধারণ মানের খেজুর পাওয়া যাবে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়। শরবত তৈরিতে বেশি ব্যবহার হয় লেবু ও মাল্টা। গত দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে মাল্টার দাম বেড়েছে ১০ টাকা। গত মঙ্গলবার মাল্টার কেজি ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। তা এখন কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হবে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আঙুরের দামও বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। প্রতি কেজি সবুজ আঙুর ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বেড়েছে লেবুর দামও। বিক্রেতারা মাঝারি প্রতি হালি লেবুর দাম রাখছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
চাল ও সবজির বাজার স্থির :মিনিকেট চাল কেজি ৬৬ থেকে ৬৮, নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৭৫, বিআর-২৮ জাতীয় চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৮ এবং স্বর্ণা বা মোটা চালের কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, শীতের ভরা মৌসুমে এবার সবজির দাম তেমন কমেনি। এখনও দাম চড়া। বাজারে এখন সবচেয়ে দামি সবজি সজনে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। করলা, পটোল, শসাসহ বেশিরভাগ গ্রীষ্ফ্মের সবজির কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এ ছাড়া গাজর ২৫ থেকে ৩০, টমেটো ৩০ থেকে ৪০, কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
তেল, চিনি ও পেঁয়াজে কিছুটা স্বস্তি :সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নৈরাজ্য শুরু হলে সরকার পণ্যটির আমদানি, পরিশোধন ও ভোক্তা পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ শুল্ক্ক, কর ও ভ্যাট বাবদ রাজস্ব ছাড় দেয়। ফলে আরও বাড়ার যে শঙ্কা ছিল, তা আপাতত নেই। তবে শুল্ক্ক কমানোর ফলে যে হারে কমার কথা ছিল, সে তুলনায় দাম কমেনি। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ থেকে ১৬০ এবং পাম অয়েল ১৪৮ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া এক লিটারের বোতল ১৬০ থেকে ১৬৫ এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকায় কেনা গেছে।
চিনির দাম সহনীয় রাখতে সম্পূরক শুল্ক্ক কমানো হয়। ফলে নতুন করে দাম বাড়েনি। তবে প্রায় ছয় মাস আগে খুচরা পর্যায়ে খোলা চিনির কেজি ৭৪ ও প্যাকেটজাত চিনির কেজি ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত এই দর কার্যকর হয়নি। বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৭ থেকে ৮০ এবং প্যাকেটজাত চিনির কেজি ৮২ থেকে ৮৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে, বাজারে পেঁয়াজ এখন ক্রেতাবান্ধব। আমদানি অব্যাহত থাকায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় কেনা যাচ্ছে।
বাজারে ক্রেতার আনাগোনা কম :অন্য বছর রমজানের দু-তিন দিন আগে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি বেশি দেখা গেলেও এবারের ছবি কিছুটা ভিন্ন। তুলনামূলক ক্রেতার উপস্থিতি কম। কারওয়ান বাজারের তুহিন জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী মো. রায়হান বলেন, ‘অন্য বছর করোনা থাকলেও বিক্রি বেশ ভালো হয়েছে। সে তুলনায় এ বছর বিক্রি অনেক কম। মনে হয় মানুষের কাছে টাকা-পয়সা কমে গেছে। জিনিসপত্রেরও দাম বেশি।’
রাজধানীর মগবাজারে শামসুল হুদা নামের এক চাকরিজীবী বলেন, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ছে- এমন ছুতায় এবার রমজান শুরু হওয়ার দু-তিন মাস আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। তবে দাম যতই বাড়ূক, উচ্চবিত্তদের তো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো নিম্ন আয়ের আর আমাদের মতো মধ্যম আয়ের মানুষের। যারা কষ্ট করলেও তারা অন্যের সঙ্গে বলতে পারে না। এ কারণে অনেকেই চাহিদার তুলনায় পণ্য কম কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
কারা কী বলছেন :
নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্প, নিম্ন ও স্থির আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ওপর করোনার একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে নতুন করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় তাদের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করেছে। তবে ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের এ বছর বিশ্ববাজারে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেটা কাজে লাগিয়েছেন। ফলে দেশে পণ্যের দর বেড়েছে। আমদানি ও ভোক্তা পর্যায়ের দামে অনেক ফারাক থাকে। স্বল্প কয়েকটি বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্যবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে। সিন্ডিকেট করে তারা পণ্য মজুত করে। ফলে সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট দেখা দেয়। অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। বাজারে নজরদারি কম থাকা এবং যেসব নিয়মনীতি করা হয়, সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন না থাকায় বাজারে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এদিকে, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, করোনায় চাকরি হারিয়ে অনেকে বেকার হয়েছেন, অনেকের কমেছে আয়। তারা খুব সংকটে রয়েছেন। এই সংকটকালে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ভোক্তাদের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষ। তিনি বলেন, রমজানের দু-তিন মাস আগে থেকেই সংসারের জিনিসপত্র, বিশেষ করে রমজানে যে পণ্যগুলোর চাহিদা বেশি থাকে, সেগুলোর দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে; যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাজার নিয়মিত তদারকি হচ্ছে। রমজানে তদারকি আরও বাড়ানো হচ্ছে। তবে কৃষিপণ্যগুলোর দামের বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। ভোক্তাদের স্বার্থে বাজারে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে মজুতদারদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।