Published in বাংলাদেশ প্রতিদিন on 27 December 2020
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, ‘বিদায়ী বছর আমাদের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত। বছরের শুরুতে নিশ্চয়ই এতটা ধারণা করা যায়নি যে এমন মহামারীতে পড়বে বিশ্ববাসী। আর বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকির দিকগুলো ছিল। এ সংকট তো আচমকা চলে এসেছে। ফলে আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সারা বছরই মানুষ কষ্ট করেছে জীবন-জীবিকার জন্য। আর সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে জীবন ও অর্থনীতির জন্য।’
২০২০ সালের অর্থনীতির চিত্র সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে নানা রকম সীমাবদ্ধতা তো ছিলই। এর পরও বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো করেছি। আমাদের প্রতিবেশী অনেক দেশও তো নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে চলে গেছে। কিন্তু এ সংকটের মধ্যেও ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি আমরা। এটা অবশ্যই মন্দের ভালো। এ ছাড়া বহু মানুষ বেকার হয়েছে। অসংখ্য মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। আবার অনেকেই টিকতে না পেরে চলে গেছে শহর ছেড়ে। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম পড়ে যাওয়াটা আমাদের জন্য কিছুটা ইতিবাচকই ছিল। তবে বিদেশ থেকে যারা চলে এসেছেন তার বেশির ভাগই আর ফিরতে পারেননি। এসব কিছুই অর্থনীতিতে মারাত্মকভাবে নেতিবাচক চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে প্রবাসী যারা কর্মক্ষেত্রে রয়ে গেছেন, তারা যে বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তা আমাদের একটু হলেও স্বস্তি দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আবার শুরুর দিকে রপ্তানি কমে গেলেও এখন আবার তা বাড়তে আরম্ভ করেছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক। আসছে বছরটায় আমাদের আরও বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে প্রণোদনা প্যাকেজগুলোও বেশ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। যদিও বেশির ভাগ সুবিধাই পেয়েছেন বড় বড় শিল্পমালিকরা, এর পরও এটা বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল।’