Published in প্রথম আলো on Wednesday 20 November 2019
ডঃ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
এত দিন পর্যন্ত মানবসম্পদ উন্নয়নের মাপকাঠি ছিল কেবল শিক্ষা। কিন্তু চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা করতে শিক্ষার সঙ্গে দরকার প্রযুক্তি ও দক্ষতা।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সুযোগ ঠিকই পাচ্ছে, কিন্তু তারা পিছিয়ে আছে প্রযুক্তিগত জ্ঞানে, যা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে বাধা তৈরি করছে। আর এ জন্য শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে আরও বেশি কারিগরি শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে তারা আরও বেশি চাকরির সুযোগ পাবে।
শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কারণ, দক্ষ জনবলের অভাবে এখন বিদেশ থেকে কর্মী আনতে হচ্ছে।
আমাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আবার বিদেশি কর্মীদের জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে। এ বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দক্ষ লোকের অভাবে দেশের পোশাক খাতের ১৩ শতাংশ কারখানায় বিদেশিরা কাজ করে। এদিকে দেশের মানুষ কাজ না পেয়ে অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে।
আমাদের কোন খাতে কী ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন, তা শনাক্ত করে সে হিসেবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। সময় এসেছে খাতভিত্তিক মান তৈরি করে দেওয়া।
এ বিষয়টি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পারিকল্পনায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
সম্প্রতি সরকার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের বাজেটে নারী-পুরুষের ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়েছে। একইভাবে দক্ষতাসংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের যত প্রকল্প নেওয়া হয়, সেখানে দক্ষতার ভিত্তিতে কতটা বরাদ্দ আছে, তা উল্লেখ করে দিলে ভালো হয়।