চা-বাগানসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য আমাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে – মোস্তাফিজুর রহমান

Originally posted in প্রথম আলো on 19 April 2022

চা–বাগানের নারী ও শিশুদের সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থা জোরদারে করণীয়

জাতিসংঘ বাংলাদেশের জয়েন্ট এসডিজি ফান্ড কর্মসূচির আওতায় ইউনিসেফ, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‍্যাপিড) ও প্রথম আলোর আয়োজনে এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ ২০২২। এ আয়োজনে আরও যুক্ত ছিল ইউএন উইমেন, ইউএনএফপিএ ও আইএলও।

মোস্তাফিজুর রহমান
সম্মাননীয় ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)

সামাজিক সুরক্ষা খাতে সরকার ২ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যয় করে। এখান থেকে পেনশন বাদ দিলে থাকে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৮ সালে মা ও শিশুর কৌশলপত্রে ৭০ লাখ মা ও শিশুকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনার কথা ছিল। সেখানে ১১ লাখ মা ‍ও শিশুকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রান্তিক জনগণের উন্নয়ন শুধু অধিকারের বিষয় নয়, জাতীয় উন্নয়নেরও বিষয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কখনো দেশের স্বাভাবিক গড়ের কাছে নিতে পারব না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি না দেওয়া হয়। বাংলাদেশে ২৬ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। সেখানে চা-বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে দারিদ্রে্যর হার ৬১ শতাংশ। তাই চা–শ্রমিকদের জন্য আলাদা পদক্ষেপ প্রয়োজন।

চা-বাগানের অনেক স্কুল এনজিওরা চালায়। এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা সরকারি বৃত্তি পায় না। তাদের সরকারি বৃত্তি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ হতে যাচ্ছি। এসব বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, চা-বাগানসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য আমাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।