জেন্ডার বাজেটের কার্যক্রমগুলোর সমন্বয় প্রয়োজন – ফাতেমা ইউসুফ

Published in Samakal on Sunday, 24 May 2015.

সামগ্রিক উন্নয়নে বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগামী সংসদ অধিবেশনে জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬ উপস্থাপন করা হবে। এ বাজেট নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের থাকে নানা কৌতূহল, থাকে মতামত-পরামর্শ। বাজেটে নারী তার কতটুকু অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, পাশাপাশি আগামী বাজেটে তাদের প্রত্যাশা কী? দেশের বিশিষ্ট নারীদের কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করেছেন আ হ ম ফয়সল

untitled-11_138820

নারী উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন
_রোকেয়া কবীর
মুক্তিযোদ্ধা ও নির্বাহী প্রধান, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ

নব্বই দশক থেকেই নারীদের জন্য বাজেট বরাদ্দের দাবি করে আসছি। ‘ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট’ এই কনসেপ্ট চলে এসেছে। নারী নীতি হয়েছে, নারী নির্যাতনবিরোধী আইন হয়েছে। এখন নারীকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য ও তার ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ করতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য আগামী বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। একবারে না হলেও ধাপে ধাপে বরাদ্দ রাখা। ভিজিডি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে নারীকে যেভাবে সম্পৃক্ত করা হয়, এগুলো তো প্রান্তিক অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ। এগুলো সামগ্রিকভাবে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নয়। নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাতা দেওয়া হয় ৩০০ টাকা করে। এই টাকা দিয়ে কিছুই হয় না। সরকারকে ভাতার পরিমাণ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া নারীর কাজের কোনো মূল্যায়ন নেই। জিডিপির ৬০ ভাগ কন্ট্রিবিউশনে নারীর অবদান। তাদের এই কাজের মূল্যায়ন নেই। এই কন্ট্রিবিউশনের স্বীকৃতি হিসেবেও নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। জেন্ডার বাজেটিংয়ের জন্য যতটুকু বরাদ্দ তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে এর মনিটরিং হয় না। এর জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বারাদ্দ থাকা প্রয়োজন। আমাদের দেশে যত আমলা আছেন, তারা কেউই জেন্ডারসচেতন নন। বিশেষ করে নারী সংবেদনশীল নন। নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে এবং বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। কর্মজীবী নারীদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার, বস্তিবাসীদের জন্য নিরাপদ পানি ও সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

আদিবাসী নারীদের কর্মসংস্থানে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নেওয়া প্রয়োজন
_খুশী কবির
সমন্বয়কারী, নিজেরা করি

জাতীয় বাজেটের মধ্যে নারীর জন্য বরাদ্দ, নারীর জন্য কতটুকু প্রতিফলন হচ্ছে, এ বিষয়টা আগে সরকার বুঝত না। এখন সরকার এ বিষয় বোঝে এবং জেন্ডার বাজেট কনসেপ্ট গ্রহণ করেছে। বাজেটে নারীর জন্য বরাদ্দ, আর সার্বিক বাজেটে নারী সুযোগগুলো কতটুকু পাচ্ছে এটিই আমাদের দেখার বিষয়। শিক্ষায় নারীদের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ থাকে এর প্রতিফলন আমরা দেখেছি। যেমন স্কুল-কলেজে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নারীবান্ধব না_ এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নারীর বড় একটি অংশগ্রহণ আছে। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য খাত এখনও নারীবান্ধব না। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নারী চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে।
বিভিন্ন স্থানে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার আছে, এগুলোর বাজেট বরাদ্দ থাকে। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়ন থাকে না। এগুলোতে নারী আরও হয়রানির শিকার হয়। দরিদ্রদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাওয়ার কথা। এর জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকে। কিন্তু এখানেও সাধারণ মানুষ এ সুবিধাটা পান না আর নারী তো পরের কথা। কৃষিক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম হাতে নেওয়া প্রয়োজন। একজন সাধারণ নারী কৃষক দেশের সরকার থেকে যা পাওনা, যা তার অধিকার, তা তারা পান না। আমাদের দেশের নারীরা শোষিত, বঞ্চিত, বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবেও বঞ্চিত, সামাজিকভাবেও বঞ্চিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থানে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নেওয়া প্রয়োজন।

জেন্ডার বাজেটের একটি মনিটরিং টিম থাকা দরকার

_ড. নাজনীন আহমেদ
সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বিআইডিএস
বাজেট আসলে জনগণের বাজেট হওয়া উচিত। নারীর জন্য আলাদা বাজেটের কথা কেন বলা হলো। বাজেটে নারীর হিস্যা কতটুকু? জেন্ডার বাজেট কেন? এর প্রয়োজনীয়তা মূলত এলো বৈষম্য দূর করার জন্য। আমাদের দেশে সমান যোগ্যতা থাকলেও নারীরা পিছিয়ে। বিশেষ করে নারীদের সমানতালে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই জেন্ডার বাজেট। এখন ৪০টি মন্ত্রণালয়ের জেন্ডার বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। বাজেটে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পে_ রেভিনিউ খাত থেকে হোক তাতে নারী কীভাবে উপকৃত হচ্ছে এটাকে একটু আলাদা করে হিসাব-নিকাশ করাই হচ্ছে জেন্ডার বাজেটের উদ্দেশ্য। নারীর সমান সুযোগের বঞ্চনা, বিশেষ করে নারী-পুরুষের ব্যবধান কমিয়ে আনতে সরকারের মনোভাব স্পষ্ট করতেই জেন্ডার বাজেট। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, খুব সীমিত প্রকল্পের ক্ষেত্রেই এটি স্পষ্ট করা গেছে। সাধারণত বলে দেওয়া হয়, এই প্রকল্পে ৫০ ভাগ পুরুষ, ৫০ ভাগ নারী উপকৃত হবে। এটি জেন্ডার বাজেটের কোনো মাপকাঠি হতে পারে না। নারীর জন্য বরাদ্দের খাতগুলো স্পষ্ট করতে পারলেই মূলত জেন্ডার বাজেটের সার্থকতা। সরকার বর্তমানে নারীর জন্য আলাদা করে যে প্রক্রিয়ায় বা হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে যে জেন্ডার বাজেট ঘোষণা করে তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় না এ প্রকল্প থেকে নারীরা কতটুকু উপকৃত হচ্ছে। এটি স্পষ্ট হওয়া দরকার। এ ছাড়া জেন্ডার বাজেটের একটি মনিটরিং টিম থাকা দরকার। মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীর জন্য বরাদ্দ কাজে লাগছে। তবে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি যথেষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে মেয়েদের যানবাহন, থাকার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

উপকূলীয় চরাঞ্চলীয় নারীদের সুরক্ষায় বিশেষ বরাদ্দ চাই

_নূরজাহান বেগম মুক্তা
সংসদ সদস্য

বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল। গত ৩০ বছরে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ৭ শতাংশ থেকে ক্রমান্বয়ে ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সরকার নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখছে। তবে কখনও কখনও এই বরাদ্দ ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বিশেষত নারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই উপকূলীয়, চরাঞ্চলীয়, আদিবাসী নারীদের সুরক্ষায় আগামী বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ থাকা অবশ্যক। ভূমিহীন নারীদের নামে খাস জমি বরাদ্দ দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানির ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রগুলোতে নারীর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী বাজেটে সরাসরি উন্নয়ন বরাদ্দ কমপক্ষে ১৩ শতাংশ করা প্রয়োজন। জাতীয় বাজেটে নারী শ্রমিকসহ গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে রেশনিং, শ্রমিক কলোনি নির্মাণ এবং নিরাপদ মাতৃত্ব কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন।

জেন্ডার বাজেটে বরাদ্দ টাকার অংক বাড়লেও শতকরা হারে কমছে
_সাকেরা নাহার
কোঅর্ডিনেটর- ক্যাম্পেইন, সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান- সুপ্র
৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার বাজেটে প্রতি বছর যে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তা টাকার অঙ্কে বাড়লেও শতকরা হারে কমছে। মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হলেও দেখা যাচ্ছে যে, এখনও নারী উদ্যোক্তারা সহজ শর্তে ঋণ পাচ্ছে না। নারী গৃহশ্রমিকরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রশিক্ষণ পেয়ে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে বিদেশে যেতে পারছে না, সমমজুরি পাচ্ছেন না, তাদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না। সব ক্ষেত্রে তৃণমূল অংশগ্রহণের মাধ্যমে নারীর প্রকৃত অবস্থান বিশ্লেষণ পূর্বক চাহিদাভিত্তিক জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন, জেন্ডার বাজেট মূল্যায়নে স্বতন্ত্র মাপকাঠি নির্দেশ করা, প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বাজেট এবং উপকারভোগীদের তথ্য জেন্ডারভিত্তিক পৃথক করার উদ্যোগ নেওয়া, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য জেন্ডার বাজেটের পরিধি বাড়ানোসহ প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা আবশ্যক।

স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক
প্রকল্প প্রয়োজন

_ড. সায়েমা হক বিদিশা
সহযোগী অধ্যাপক (অর্থনীতি বিভাগ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সরকার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যে বাজেট বরাদ্দ দেয় তা নিতান্তই কম। ২০০৬ সাল থেকে জেন্ডার বাজেট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নারীবান্ধব যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে তার একটি হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। গত অর্থবছরে ২৬-২৭ ভাগ নারীবান্ধব বরাদ্দ বলা হয়েছে। আমাদের দেশে জেন্ডার ডিজেনিগেটেড ডাটা কিন্তু বেশি একটা নেই। সেটার কারণে অনেক সময় অনুমানের ভিত্তিতে করতে হয়_ এই প্রকল্পে নারীরা এত পার্সেন্ট উপকৃত হবে আর পুরুষরা এত পার্সেন্ট উপকৃত হবে। বাজেটে বরাদ্দের কথা বলা হয় শুধু, বিগত বাজেট কতটা লক্ষ্য অর্জন করেছে সেটা আমরা খোঁজ নিই না। যেটির দিকে আমাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য জেন্ডার বাজেট ঘোষিত মন্ত্রণালয়গুলোর একটি লক্ষ্য থাকতে হবে এবং বাজেট ঘোষণার আগে কতটুকু লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে তার একটি চিত্র থাকা উচিত। সেই আলোকে পরবর্তী বাজেট বরাদ্দ করলে স্বচ্ছতা বেশি থাকবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কিছু কিছু প্রকল্প আছে, সরাসরি নারীদের জন্য কাজে লাগছে সেগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি নারীদের কর্মক্ষমতার উন্নয়নে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। জেলাভিত্তিক বাজেট শুরু হয়েছে। সেখানে স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক নারীদের জন্য প্রকল্পর গ্রহণ করা যেতে পারে। মাতৃস্বাস্থ্যের ভাতার পরিধি ও পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রত্যন্ত এলাকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। নারীর পুষ্টি চাহিদা পূরণের বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে। গ্রাম পর্যায়ে ধাত্রীদের প্রশিক্ষিত করার জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকতে পারে। কারিগরি শিক্ষায় মেয়েরা আসতে চায় না। এ ক্ষেত্রে বৃত্তির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। নারী উদ্যোক্তা বাড়ানোর জন্য ‘জয়িতা’র মতো প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়াতে হবে। উদ্যোক্তা নারীদের ঋণসুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংকগুলো গহনা আমানত হিসেবে নিতে পারে, যাতে নারীরা সহজে ঋণ পেতে পারে।

জেন্ডার বাজেটের কার্যক্রমগুলোর সমন্বয় প্রয়োজন

_ফাতেমা ইউসুফ, পরিচালক (ডায়লগ এন্ড কমিউনিকেশন), সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)

২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট তৈরির লক্ষ্যে আর্থিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে প্রথমে ৪টি, তারপর ১০টি এবং এখন প্রায় সব মন্ত্রণালয়ে নারীদের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে, ফল সেভাবে না আসার পেছনে প্রধান কারণটা হলো কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। অনেক দেশে মন্ত্রণালয়গুলোতে নারী বাজেট সেল রয়েছে। সেরকম আমাদের দেশের মন্ত্রণালয়গুলোতেও যদি থাকত তাহলে কাজগুলো আরও গোছানো হতো এবং নারীরা আরও উপকৃত হতো। এই সেলগুলোর দায়িত্বই হতো জেন্ডার বাজেটিংয়ে নারীর চাহিদাগুলোকে সঠিকভাবে নিরূপণ করে চিহ্নিত করা। যার প্রতিফলন বাজেট বরাদ্দতে আসতে পারে_ এই পুরো প্রক্রিয়াটির দায়িত্বে এই সেল থাকতে পারে। বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ সে মতো খরচ হচ্ছে কি-না বাস্তবায়ন পর্যায়ে তা মনিটর করা এবং অর্থবছর শেষে কতটুকু চাহিদা পূরণ হলো তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাতে এর প্রতিফলন পরবর্তী বাজেটে আসতে পারে। আগামী বছর থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নিয়ে কাজ শুরু হবে। তাই এবারের বাজেটে সে লক্ষ্যে বরাদ্দ থাকতে পারে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী ইস্যুতে যে যে ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার প্রতিফলন এবারের বাজেটে থাকাটা জরুরি।