অতিমারির অভিজ্ঞতার আলোকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি – ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

Originally posted in সমকাল on 9 November 2021

করোনার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংকট ছিল ২০০৮-০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দা। জনজীবনে সেই আর্থিক সংকটের প্রভাব ব্যাপক ছিল না, কিন্তু কভিড অতিমারির প্রভাব স্বাস্থ্যসহ সর্বক্ষেত্রে দৃশ্যমান। অতিমারি মোকাবিলায় কোনো কোনো দেশ তুলনামূলক ভালো করলেও অনেকেই তত ভালো করেনি। অনেকে আবার প্রথম ধাক্কায় ভালো করেছে, কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কায় দুর্বল হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আছে তৃতীয় ধাক্কার শঙ্কা। কীভাবে তা মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা।

অতিমারি মোকাবিলার সক্ষমতা সবার সমান নয়। সক্ষমতা কিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এর সঙ্গে আর্থিক সামর্থ্যের যোগ আছে। যেসব দেশে সাধারণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত, সেসব দেশ তুলনামূলক ভালো করেছে অতিমারি মোকাবিলায়। দ্বিতীয়ত, যেসব দেশে আর্থিক ব্যবস্থা উন্নত, তাদের পক্ষে অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, আর্থিক সামর্থ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা থাকার পরও সব দেশ তা সমানভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতার অভাব, তথ্যের অপ্রতুলতা ও সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল।

সব দেশে সংক্রমণের হারও এক নয়। যেসব দেশ মানুষের আসা-যাওয়া থেকে দূরে ছিল, তারা তুলনামূলক কম আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের এই উপমহাদেশের মধ্যেও একই ধারা দেখা যায়। ভূবেষ্টিত ভুটানে এক-দেড় বছর যাবৎ সম্পূর্ণভাবে লকডাউন ছিল এবং সেখানে মাত্র তিনজন মানুষ মারা গেছেন। দ্বিতীয় ধাক্কায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুর দিক থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ওপরের দিকে। আফ্রিকার দেশগুলোর চেয়েও আমাদের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তবে এ অঞ্চলে আমরা মৃত্যু ও সংক্রমণের হারের দিক থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের চেয়ে তুলনামূলক ভালো ছিলাম।

অতিমারি স্বাস্থ্যগত ব্যাপার, কিন্তু অর্থনৈতিক দিক থেকে যদি বিবেচনা করি, তাহলে কী ধরনের রাষ্ট্রীয় সহায়তা আমরা দিচ্ছি, তা বিবেচ্য। মহামারির শুরুর দিকে বাংলাদেশ এক ধরনের আর্থিক সহায়তা বা সরকারি সমর্থনের ঘোষণা দেয়। গত বছর পহেলা বৈশাখের প্রাক্কালে এক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী চারটি নীতি আঙ্গিকের কথা উল্লেখ করেন, যার মধ্য দিয়ে সরকারি সমর্থনের সূচনা হয়েছিল। কিন্তু আমরা পরবর্তীকালে দেখেছি, নীতি প্রণয়নে সরকার ঠিক থাকলেও সহায়তার পরিমাণ যথেষ্ট ছিল না। এমন অভিযোগও আছে, যা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তাও অনেক ক্ষেত্রে ঠিকমতো বিতরণ করা হয়নি।

মহামারির সময় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাব প্রকাশ পেয়েছে। যেমন, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিলেন- ৫০ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এই অর্থ বিতরণের জন্য প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে খুঁজে বের করা এবং তাদের হাতে সময়মতো টাকা পৌঁছাতে যে ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, যোগ্যতা ও নজরদারি দরকার, তার মধ্যে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা গেছে।

অন্তর্ভুক্তি ও ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থাপনা :গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে মোবাইল ফোন বা ডিজিটাল মাধ্যমে উপবৃত্তি, শিক্ষকের বেতন ইত্যাদি বিষয়ে আমি অবগত। দেখা গেছে, কোন শিশু বা যুবক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে আসবে, তা অনেকখানি নির্ভর করে তার শিক্ষাগত প্রস্তুতির ওপর, ইংরেজিতে যাকে বলে ফাউন্ডেশনাল ক্যাপাসিটি। ফাউন্ডেশনাল ক্যাপাসিটি যদি তার না থাকে, তাহলে সাধারণ ব্যবহার বা প্রাথমিক ব্যবহারের পর সে আর যেতে পারে না। তাই দেখা যায়, ফোন দিয়ে বড়জোর ফেসবুক ব্যবহার করছে এই তরুণ ও কিশোররা। কিন্তু অন্য আর্থিক কাজকর্মে যুক্ত করা, তথ্য ব্যবহার করা, এমনকি জিনিসপত্রের দাম বাজারে কত, তা সংগ্রহে ফোন ব্যবহার করতে পারছে না। এই না-পারার সঙ্গে স্কুলের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, শিক্ষকদের মান অনেক কিছু যুক্ত। স্কুলে হয়তো কম্পিউটার ল্যাব নামেমাত্র আছে; আবার তা কখনও চলে না।

অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হলে এসব শূন্যতা পূরণ করতে হবে। শূন্যতা যেন দুষ্টচক্র না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একে সুচক্র বানাতে হলে শিক্ষায় আরও গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষায় নতুন কী চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরূপণ করতে হবে। তা না হলে ছাত্রছাত্রীরা পাস করে যাবে, কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সফল হবে না।
ইন্টারনেটের প্রসার :উল্লেখ্য, রুয়ান্ডার মতো গণহত্যায় বিপর্যস্ত একটি দেশকে পুরোপুরি বিনা পয়সায় ওয়াইফাইয়ের আওতায় নিয়ে এসেছে সে দেশের সরকার। তারা মনে করেছে, পুরো দেশকে যদি ওয়াইফাইয়ের অধীনে আনা যায় এবং বিনা পয়সায় ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায়, তাহলে আর্থিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যে গতি আসবে, তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুফল সে খরচের চেয়ে অনেক বেশি। অন্তর্ভুক্তির কথা চিন্তা করলে এ ধরনের একটি ডিজিটাল অবকাঠামো আমাদের নির্মাণ করতে হবে। উন্নত দেশে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ালে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পাওয়া যায়। আমাদেরও সেদিকে যেতে হবে। ঢাকা উত্তর কিংবা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সীমিত আকারে হলেও পরিক্ষামূলক এ সেবা চালু করা উচিত ছিল, যাতে অন্তত কিছুদিন দেখা যেত, এতে কী ফল লাভ হয়।

তথ্যভান্ডারের ভবিষ্যৎ :নগদ সহায়তা দেওয়ার মধ্য দিয়ে তথ্যভান্ডার তৈরি হয়েছে। এর বহুবিধ ব্যবহার কীভাবে করা যায়, তা আমাদের বুঝতে হবে। এ উপলক্ষে অনেক মানুষ মোবাইল ফোনে আর্থিক লেনদেন করছে। কিন্তু এই হিসাব এক ওয়ালেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ইন্টার অপারেটেবিলিটি, অর্থাৎ এক ওয়ালেট থেকে আরেক ওয়ালেটে লেনদেন এখনও চালু হয়নি। আমাদের আকাঙ্ক্ষার একটি জায়গা হলো, বাংলাদেশে শিক্ষিত হয়েও যারা বেকার, তারা যদি একটি তথ্যভান্ডারে নাম লেখায় এবং যিনি চাকরি দিতে আগ্রহী, তিনি সে তথ্যভান্ডারে প্রবেশ করেন, প্রয়োজনীয় ব্যক্তিকে খুঁজে পাবেন। এই যে বাজারের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান বা বাজারের দক্ষতা, তা কিন্তু তথ্যপ্রবাহের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাপারটা হলো, যার কাছে তথ্য আছে, সে-ই বাজারে প্রভাব বিস্তার করে, যাকে আমরা তাত্ত্বিকভাবে বলি অ্যাসিমেট্রিক ইনফরমেশন বা তথ্যপ্রবাহের অসামঞ্জস্যতা। মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎস এ তত্ত্বকে স্থাপন করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এই অ্যাসিমেট্রিক ইনফরমেশন হলো সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। কভিডকালে বিভিন্ন সহায়তা বিতরণ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা করেছি, যেখানে সিরিয়াস অ্যাসিমেট্রিক ইনফরমেশন দেখা গেছে। ব্যাপারটা হলো, মানুষ জানেই না তার জন্য প্রধানমন্ত্রী কী পাঠিয়েছেন, কখন পাঠিয়েছেন এবং কতজনের জন্য পাঠিয়েছেন। মানুষ বলছে, তার চেয়ে অনেক সচ্ছল মানুষ এ সহায়তা পেয়েছে। পরবর্তীকালে যখন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, তখন তিনি বলেছেন, যিনি এক সহায়তা পেয়েছেন, তার আরেকটা পাওয়ার কথা নয়। খানা পর্যায়ে সঠিক তথ্য না থাকলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এবং সেই বিভ্রান্তিই হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও বিভিন্ন ভাতা গার্মেন্ট শ্রমিকরা পেয়েছে। এমনকি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও প্রত্যক্ষভাবে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের টাকা দিতে চেয়েছে। টাকা শ্রমিকদের কাছে মোবাইল ফোনে সরাসরি যাওয়ার কথা। কিন্তু শ্রমিকরা এ টাকা পেল না। কারণ এই ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের কোনো তথ্যসহ তালিকা নেই। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রেরিত টাকা নির্ধারিত মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না; মাঝপথে ব্যাহত হয়ে যাচ্ছে।
এ বছর প্রধানমন্ত্রী আবার ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ সহায়তা বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু গত বছর যাদের দেওয়া হয়েছিল, এবারও তারাই এ সহায়তায় অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ গত বছর যে ১৫ লাখ মানুষকে যথাযথ তথ্য-উপাত্তের অভাবে সম্পূর্ণভাবে সহায়তা দেওয়া যায়নি, এবারও তাদের খুঁজে পাওয়া গেল না। অর্থের অভাবে নয়, নিতান্ত তথ্যের অভাবের কারণে ওইসব দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়নি। অথচ স্থানীয় সরকারের সমর্থন নিয়ে এনআইডি, পাসপোর্ট, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি ব্যবহার করে এটি করা সম্ভব ছিল। একইভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ঋণ দিতে সরকারের কাছে তাদের তথ্য থাকা দরকার।
আজ হোক কাল হোক, আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় তথ্যভান্ডার তৈরি করতে হবে। এ তথ্যভান্ডারে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার বিবরণ থাকবে। সরকারের বিভিন্ন ধরনের সমর্থন তার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।

তথ্য অধিকার ও সুরক্ষা :তথ্যভান্ডারের তথ্য থাকবে সর্বজনীন সেবার জন্য। এতে সবার অধিকার থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, তা ব্যবহার করার কার্যকর ব্যবস্থাও থাকতে হবে। তবে এই তথ্যের সুরক্ষা কে নিশ্চিত করবে? বাংলাদেশে তথ্যের গোপনীয়তা আইন প্রয়োজন। কিন্তু এ আইনের যাতে অপব্যবহার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যক্তি খাতে যারা সেবা দিচ্ছে, তাদেরও এ সুরক্ষা প্রয়োজন। সব অংশীদারকেই এ বিষয়ে কথা বলতে হবে।

অতি দরিদ্রদের কর্মসূচির অধীনে বিনামূল্যে ইন্টারনেট দিতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য স্মার্টফোন ও গিগাবাইট দিতে হবে। আমাদের চিন্তা করতে হবে, তাকে কত গিগাবাইট বিনামূল্যে দেওয়া যাবে। বিনামূল্যের গিগাবাইট যাতে সবচেয়ে গরিব মানুষ ব্যবহার করতে পারে, তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। দেখতে হবে, খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কারা ইন্টারনেট ও মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবার বাইরে রয়ে গেছে এবং কেন। এখানে সচেতনতা সৃষ্টি ও নীতি ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই। মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ব্যাংকারদের উচিত এই পিছিয়ে থাকা মানুষদের কাছে যাওয়া। এই দায়িত্বটা তাদের পালন করতে হবে।
ডিজিটাল বৈষম্য :সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের বৈষম্য আরও গভীর হওয়ার পেছনে ডিজিটাল বৈষম্য বড় কারণ হিসেবে আবির্ভূত। পুরো দেশকে ওয়াইফাই বা ব্রডব্যান্ডের অধীনে নিয়ে আসার প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা সব জায়গায় সমানভাবে নেই। যেমন, স্কুলগুলো এ ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার খরচ অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। এই দামে অনেক অসুবিধাগ্রস্ত পরিবার ইন্টারনেট সেবা নিতে পারে না। শহরের মানুষ ব্রডব্যান্ড দিয়ে কাজ সারতে পারে। কিন্তু গ্রামের মানুষকে মোবাইল ডাটার ওপর নির্ভর করতে হয়, যেখানে তাদের আয়ে সেটি ক্রয় করা কঠিন। তাই ইন্টারনেটের দাম কীভাবে কমবে, তা একটি বড় বিষয়। তৃতীয়ত, অনেকের কাছেই স্মার্ট ফোন নেই। যে ডিভাইস দিয়ে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করবে, সেটা ক্রয় করার মতো ক্ষমতা বহু মানুষের হয়নি। গরিব মানুষকে চাল-ডাল দেওয়ার সঙ্গে আগামী দিনে স্মার্ট ফোন বিনামূল্যে ইন্টারনেটসহ দেওয়া হবে কিনা, সেটা এখন সিদ্ধান্তের বিষয়। চতুর্থত, এসব ডিভাইস চার্জ করার জন্য যে বিদ্যুৎ সরবরাহ দরকার, তা অনেক অঞ্চলে দুর্বল। মানুষের যদি ডিজিটাল সেবা নেওয়ার আর্থিক সক্ষমতা না আসে, যদি তার কাছে স্মার্ট ফোন না থাকে, ব্রডব্যান্ডের কানেকশন ভালো না থাকে, তবে দেশের অনেক সম্ভাবনা কাজেই লাগানো যাবে না। এই সেবা সর্বজনীন, সুষ্ঠু ও জনগ্রাহী করতে কী কী করা দরকার, অংশীজনের উচিত নীতিনির্ধারকদের কাছে বিষয়গুলো জরুরিভাবে তুলে ধরা।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সম্মাননীয় ফেলো, সিপিডি