আদর্শের রাজনীতির বদলে ক্ষমতার রাজনীতি বেড়েছে – রওনক জাহান

Originally posted in সমকাল on 26 March 2021

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. রওনক জাহান ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগ দেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আইএলওতে অন্যতম কর্মসূচিপ্রধান ছিলেন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, বোস্টন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক ছিলেন। রওনক জাহান ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষে ১৯৭০ সালে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। একই বছর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাবলি- পলিটিক্যাল পার্টিজ ইন বাংলাদেশ :চ্যালেঞ্জেস অব ডেমোক্রেটাইজেশন (২০১৫), বাংলাদেশ : প্রমিজ অ্যান্ড পারফরম্যান্স (২০০০), দ্য ইলুসিভ এজেন্ডা :মেইনস্ট্রিমিং উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট (১৯৯৫), বাংলাদেশ পলিটিক্স :প্রবলেমস অ্যান্ড ইস্যুজ (১৯৮০) ও পাকিস্তান :ফেইলিউর ইন ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন (১৯৭২)। তার জন্ম ১৯৪৪ সালে।

সমকাল: আপনার ‘পলিটিক্যাল পার্টিজ ইন বাংলাদেশ : চ্যালেঞ্জেস অব ডেমোক্রেটাইজেশন’ বইয়ের ভূমিকায় লিখেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনা অনেক হলেও বইপত্র, গবেষণা, অভিসন্দর্ভ নেই বললেই চলে। এর কারণ কী?

রওনক জাহান: প্রথম থেকেই রাজনীতি নিয়ে গবেষণার চর্চা গড়ে ওঠেনি। এদেশে সব সরকারই সমালোচনা পছন্দ করে না। নিজের অভিজ্ঞতাতে দেখেছি, রাজনীতি বিষয়ে জরিপ বা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। অন্যান্য দেশে রাজনীতি নিয়ে গবেষণার যে মুক্ত পরিবেশ রয়েছে, আমাদের দেশে প্রথম থেকেই সেটা গড়ে ওঠেনি। দীর্ঘদিনের এই পরিস্থিতিতে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজও রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে অপ্রিয় সত্য তুলে ধরতে চায় না।

সমকাল: ওই বইয়েই আপনি ‘বাংলাদেশ প্যারাডক্স’ ধারণা তুলে ধরেছেন। এটা তো মূলত রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কিত ধাঁধা?

রওনক জাহান: হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনি দেখবেন, যখনই অনির্বাচিত বা স্বৈরতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থেকেছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রশ্নে জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ ও আন্দোলিত করতে পেরেছে। আমরা ৫০-৬০ এর দশক কিংবা ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই চিত্র দেখেছি। কিন্তু যখন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, তখন তারা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের কাজ করতে পারেনি।

সমকাল: গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও বোধ হয় অভাব।

রওনক জাহান: নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা একটি বড় বিষয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম যদি দেখেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়েছেন। পঞ্চাশের দশকে তিনি আওয়ামী লীগকে জনগণের সংগঠন হিসেবে যেমন গড়ে তোলেন, তেমনই নিজেকে গণতন্ত্রের প্রশ্নে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

সমকাল: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থেকেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের এমন প্রভাবের উৎস কী?

রওনক জাহান: রাজনৈতিক নেতৃত্বের জনমুখী কর্মসূচি ও জনগণের অধিকারের প্রশ্নে আপসহীনতাই এই শক্তি দিতে পারে। বঙ্গবন্ধু সত্তরে নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বপ্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। স্লোগান উঠেছিল- ‘এক নেতা এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। অর্থাৎ, বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের সমার্থক শব্দ। সত্তরের নির্বাচনে অভূতপূর্ব জনসমর্থনের জোরেই তিনি একাত্তরে পাকিস্তানি শাসনযন্ত্রের কাছ থেকে ক্ষমতা নিজের হাতে নিতে পেরেছিলেন। কোটি কোটি জনতার কাছে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর নির্দেশই ছিল মান্য।

সমকাল: গত অর্ধশতকে বঙ্গবন্ধুর মতো রাজনৈতিক সাফল্য আর কোনো নেতা পেলেন না কেন?

রওনক জাহান: বঙ্গবন্ধু শুধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সাংগঠনিক কাজে নেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলই একমাত্র লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। বিদ্যমান ‘ডেভেলপমেন্ট ডিসকোর্স’ এক্ষেত্রে বড় বিষয়। জনসাধারণ আগে তাদের অধিকারের বিষয়টি প্রাধান্য দিত। এখন তারা রাস্তাঘাট উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়। ফলে রাজনৈতিক নেতাদের এসব বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না গেলে তারা এসব প্রতিশ্রুতি পূরণও করতে পারবে না।

সমকাল: রাজনৈতিক দল মাত্রই তো রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করবে।

রওনক জাহান: যাওয়ার চেষ্টা করবে নিশ্চয়ই, কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের জন্য শুধু ক্ষমতায় যাওয়া অগ্রাধিকার হতে পারে না। তার অগ্রাধিকার হবে জনগণের অধিকার ও মর্যাদা বিষয়ে আন্দোলন করা। সেই আন্দোলনই দলটিকে নির্বাচনী সুবিধা দেবে। এখন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও যেভাবে ‘ক্ষমতা’ প্রদর্শন করতে থাকে, তাতে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে যায়।

সমকাল: নির্বাচনী রাজনীতি তাহলে কেমন হওয়া উচিত?

রওনক জাহান: নির্বাচনী গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হচ্ছে তাদের আদর্শ, নীতি, নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে ভোটারদের কাছে যাওয়া। ক্ষমতায় গিয়ে তারা সেসব প্রতিশ্রুতি কতটা পালন করছে, সে ব্যাপারে নাগরিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তুলতে দেওয়া।

সমকাল: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা কতখানি?

রওনক জাহান: দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলেও নিয়মিত কাউন্সিল হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের সাত দশকে কাউন্সিল হয়েছে ২১ বার। বিএনপির চার দশকে কাউন্সিল হয়েছে আরও কম, মাত্র ছয়বার। কাউন্সিল হলেও শীর্ষ নেতৃত্বের পদে একজনের বেশি অংশ নেন না। বড়জোর সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী দেখা যায়।

সমকাল: এর কারণ কী?

রওনক জাহান: কারণ আপনিও নিশ্চয়ই জানেন। আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচন হয় মূলত পারিবারিক প্রেক্ষাপট থেকে। বাংলাদেশে এর বাস্তবতাও রয়েছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলে একাধিক উপদল আছে। তারা কেউ কারও নেতৃত্ব মানতে চায় না। প্রতিষ্ঠাতার পরিবার থেকে কেউ এলে সবাই তাকে মানে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, শীর্ষনেতা ছাড়া অন্যান্য স্তরেও পরিবার প্রাধান্য পাচ্ছে। যেমন বিএনপিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদটি সৃষ্টিই করা হয়েছিল তারেক রহমানকে নেতৃত্বে আনার জন্য। জাতীয় পার্টিতেও কো-চেয়ারম্যান বা সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বা প্রধান পৃষ্ঠপোষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল পারিবারিক বিরোধে ভারসাম্য আনতে।

সমকাল: দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে পরিবার থেকে নেতা নির্বাচনে অসুবিধা কী?

রওনক জাহান: একটি পরিবারের সবাই কখনও দক্ষ রাজনীতিক বা রাষ্ট্রনায়ক বা প্রশাসক হতে পারে না। আর এতে করে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চাও ব্যাহত হয়। তার প্রভাব পড়ে দেশের গণতান্ত্রিক চর্চাতেও। এর ফলে রাজনৈতিক নেতৃত্ব কাঠামোগত দিক থেকে দাঁড়াতে পারছে না। ৫০ বছরেও রাজনৈতিক দলে নেতা নির্বাচনের একটি পদ্ধতি তৈরি করা যায়নি।

সমকাল: বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্তঃসম্পর্কেও কি অবনতি ঘটছে?

রওনক জাহান: নব্বইয়ের দশক থেকে এক ধরনের বিষাক্ত মেরুকরণ শুরু হয়েছে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় গিয়ে অপরকে নিশ্চিহ্ন করার মনোভাব পোষণ করতে থাকে। এখনকার রাজনীতি হচ্ছে ‘প্যাট্রোনেজ’ভিত্তিক। ক্ষমতায় থাকলে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দল ঠিক রাখতে পারছে। ক্ষমতা হারানো দলের নেতাকর্মীদের সাংঘাতিক শাস্তি দেওয়া হয়। নির্বাচনে হেরে যাওয়া মানে শুধু ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়া নয়; আইনি ঝামেলায় পড়া, কারাবরণ করা, এমনকি জানমাল হারানোর শঙ্কাও দেখা দেয়। যে কারণে কেউ বিরোধী দলে যেতে চায় না।

সমকাল: দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকল কখন থেকে?

রওনক জাহান: এ প্রসঙ্গে ২০০৪ সালের আগস্টে বিরোধী দলের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার বিষয়টি ছিল ‘ওয়াটারশেড মোমেন্ট’। ওই হামলায় তৎকালীন বিরোধী দলের বহু নেতাকর্মী হতাহত হয়েছিলেন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। আরও ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে, নৃশংস ওই হামলার যথাযথ তদন্তেও তখনকার সরকার আন্তরিক উদ্যোগ নেয়নি। বরং ‘জজ মিয়া’ আবিস্কার করে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপপ্রয়াস চালিয়েছে।

সমকাল: ওই হামলার সঙ্গে জঙ্গিবাদীরা যুক্ত ছিল। রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার থেকে জঙ্গিবাদ এসেছে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের এ ব্যাপারে অবস্থান কী?

রওনক জাহান: ষাট-সত্তরের দশকে মানুষকে ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে আনা গিয়েছিল। পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর থেকে রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার বেড়েছে। এখনও যারা রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ বিশ্বাস করেন, তাদেরও ভোটের রাজনীতিতে ধর্মের কথা বলতে হচ্ছে।

সমকাল: উদার রাজনৈতিক ধারা ফেরানোর উপায় কী?

রওনক জাহান: যে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিবেশ আমাদের গণতান্ত্রিক চর্চা আত্মস্থ করতে সক্ষম, তা আমরা কীভাবে ফিরিয়ে আনতে পারব- এর সহজ উত্তর নেই। মূল কথা হচ্ছে, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ক্ষমতাধর বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কবজায় চলে গেছে। দলীয় রাজনীতি ও নির্বাচনের প্রক্রিয়া কালো টাকা, দুর্নীতি, অপরাধ ও অগণতান্ত্রিকতায় জড়িয়ে পড়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কণ্ঠস্বর রাজনৈতিক দলগুলোতে স্থান পাচ্ছে না।

সমকাল: রাজনৈতিক দলগুলোর আত্মোপলব্ধি দরকার?

রওনক জাহান: আপনাকে প্রাচীন প্রবাদটি মনে রাখতে হবে- স্বাধীনতার জন্য দরকার সর্বক্ষণের প্রহরার ব্যবস্থা। উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্যও তা সমান সত্য। এমনকি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়া জনপ্রিয় শাসকের হাতেও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ছেড়ে দিয়ে যেমন নিশ্চিন্ত থাকা যাবে না।

সমকাল: নাগরিক সমাজ রাজনৈতিক অভিমুখ নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারছে না কেন?

রওনক জাহান: বৃহৎ পরিসরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা সৃষ্টিতে শুধু নাগরিক আন্দোলন যথেষ্ট নয়। সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সক্ষম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সংস্কার কাজ। গণতন্ত্রের জন্য সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজের স্বাধীনতা খুবই দরকার। সবচেয়ে বেশি দরকার মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি। নাগরিক সমাজ দাবি জানাতে পারে, কিন্তু বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলের।

সমকাল: সুবর্ণজয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কোনো বার্তা দিতে চান?

রওনক জাহান: আমার যে বইটি উদ্ৃব্দত করে এই সাক্ষাৎকার শুরু করেছেন, সেখানে আমি কয়েকটি সুপারিশ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতাসীন বা বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে যে কোনো অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পরিহার করতে হবে। নিজ দলের নেতাকর্মীদের পুরস্কার ও বিরোধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য শাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করা চলবে না। মতাদর্শিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো ধরনের সহিংস কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না। আরেকটি জরুরি বিষয় হচ্ছে, সরকার ও দলের মধ্যে স্পস্ট সীমারেখা টেনে দিতে হবে। একই নেতৃত্ব সরকার ও দলে থাকতে পারবেন না।

সমকাল: আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

রওনক জাহান: সমকালের জন্য শুভকামনা।