চীনের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিবেচনায় শুভ সংকেত – মোস্তাফিজুর রহমান

Originally posted in The Business Standard on 8 January 2022

চীনের অর্থনীতি পুনরায় খুলে দেওয়ার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে আশা ও উদ্বেগ

বিশ্বের ওয়ার্কশপ চীন রবিরার ফের এর সীমান্ত খুলে দিতে প্রস্তুত। আর এর সঙ্গে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের ‘স্পিলওভার’ প্রভাবের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি ফের বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালেও যখন মন্দার আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তখন প্রায় ১,০১৬ দিন পরে কঠোর ‘জিরো কোভিড’ নীতি তুলে দিয়ে চীনের বিশ্বের কাছে আবার সব বাণিজ্যিক দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আশার চোখেই দেখা হচ্ছে।

বিশ্বের ওয়ার্কশপ চীন রবিরার ফের এর সীমান্ত খুলে দিতে প্রস্তুত। আর এর সঙ্গে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের ‘স্পিলওভার’ প্রভাবের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি ফের বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘জিরো কোভিড’ নীতির সর্বশেষ বাধাটি কেটে যাওয়ার পর চীনের সঙ্গে বহির্বিশ্বের বাণিজ্যিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ফের চালু হওয়ার প্রভাবও বিস্তৃত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন ফের উন্মুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য রপ্তানির আরও সুযোগ সৃষ্টি ও বাংলাদেশের বৃহত্তম উৎস এ দেশটি থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করাও সহজ হতে পারে। এছাড়া বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাস ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হবে।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘উন্মুক্ত চীনের ফলে আমাদের কাঁচামাল আমদানির খরচ কমবে। কারণ আমরা বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল আমদানির জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সেই সরবরাহ চেইনটি কোভিডের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তাতে খরচও বেড়ে গেছে।’

এখন বাংলাদেশি পোশাক প্রস্তুতকারকেরা আমাদের প্রাথমিক কাঁচামালের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করলেও মূল কাঁচামাল আমদানিনির্ভরই থেকে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের ‘জিরো-কোভিড’ নীতিতে এই সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চীন এর সীমান্ত খুলে দিলে তা বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য দেশটির বাজার ‘এক্সপ্লোর’ করতে সাহায্য করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, চীন ফের উন্মুক্ত হয়ে গেলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক হবে, কারণ বিশ্ব এই দেশের ওপর নির্ভরশীল। এটি সমস্ত উৎপাদিত আইটেম ও যন্ত্রপাতির খরচ কমাতেও সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তবে এগুলো ভালো খবর হলেও, চীনের বিশ্ব অর্থনীতিতে পুনরায় প্রবেশের অর্থ হচ্ছে ইতোমধ্যে চাপে থাকা বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে।

বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের মতে, চীনের দ্রুত পুনরুদ্ধার হলে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারে ঠেলে দিতে পারে। যা বর্তমান দামের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ বাড়বে (যদিও তা রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পরপর তৈরি হওয়া চড়া দামের চেয়ে কম)।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চীনের অর্থনীতি পুনরায় চালু হলে তা দেশটির সামগ্রিক চাহিদাকে বাড়বে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যের বিশাল উল্লম্ফন হবে। বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমেছিল। (চীন) ফের উন্মুক্ত হওয়ার পর মূল্যস্ফীতি আবার চূড়ায় উঠবে।’

তিনি আরও বলেন, উন্মুক্ত হলে চীনের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য জ্বালানি তেল ও গ্যাসের বিপুল চাহিদা তৈরি হবে। এতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দর বেড়ে যাবে।

আসন্ন জ্বালানি সংকটের কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে চলমান মন্দা আরও গভীর হবে। ইউরোপে নতুন কোনো মন্দা অভ্যন্তরীণ চাহিদার ওপর চাপ তৈরি করবে। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি আদেশ কমে যেতে পারে বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।

জ্বালানির জন্য লড়াই

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি যে মূল্যস্ফীতিকে বাগে আনার আরেকটি বড় বাধা তা ইতোমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে। চীন উন্মুক্ত হওয়ার ফলে বছরের শেষ দিকে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে সাবধানী হয়ে উঠতে পারে ইউরোপ।

জিরো-কোভিডের ফলে চীনের গ্যাসের চাহিদা একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। এর ফলে গ্যাসের দাম কমে যাওয়ায় ২০২২ সালে মজুদাগারগুলো পূর্ণ করতে তুলনামূলক কম খরচ হয়েছে ইউরোপের।

কিন্তু চীনের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের অর্থ হলো, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে।

ডিসেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করে। তাদের পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৩ সালে শীতকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া ইউরোপে পাইপের গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেবে।

দ্য ইকোনমিস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর ফলে ইউরোপ বছরে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে, তা-তে ৭ শতাংশ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এতে ইউরোপ বাধ্য হয়ে রেশনিং চালু করতে পারে।

তবে কুতুবউদ্দিন আহমেদের মতে, চীনের অর্থনীতি পুনরায় চালু হলে তেল ও গ্যাসের বৈশ্বিক সরবরাহের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না, কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় দেশটি রাশিয়া থেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করে মজুত করেছে।

শেলটেক গ্রুপ ও এনভয় লিগ্যাসির চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আরও বলেন, ‘চীন যদি আরও জ্বালানি আমদানি করতে চায় তবে তা বিশ্ববাজারে প্রভাব না-ও ফেলতে পারে। কারণ রাশিয়া এখনও চীনের জন্য কম খরচে জ্বালানি সরবরাহকারী।’

ব্লুমবার্গ-এর তথ্যমতে, বিশেষজ্ঞদের মনোযোগ এখন ২০২৩ সালের বড়দিনের দিকে সরতে শুরু করেছে। কারণ এক বছরের বেশি সময় ধরে গোটা ইউরোপকে জ্বালানি সংকট আঁকড়ে ধরে রাখলেও মহাদেশটি গত বড়দিনের সময় আলোকোজ্জ্বলই ছিল।

গ্রিডগুলোর মনোযোগ এখন আগামী মাসগুলোতে ইউরোপের পরিবারগুলোকে সরবরাহ করার জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুতের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার দিকে। তবে বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন যে আগামী শীতেও ফের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে, এমনকি পরিস্থিতি সম্ভবত আরও খারাপ হতে পারে।

আর বর্তমান গ্যাস সংকটের প্রভাব আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের অন্যতম স্বনামধন্য জ্বালানি পরামর্শদাতা সতর্কবার্তা দিয়েছিল যে, এ দশকের শেষ পর্যন্ত গ্যাসের দাম চড়া থাকতে পারে।

ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেরও একই অবস্থা। গত দেড় বছরে দেশগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী শীতে ইউরোপের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে কি না সেটি বেশ নির্ভর করবে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে কেমন ঠান্ডা পড়ে, তার ওপর।

শঙ্কায় মেশানো আশা

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আশা প্রকাশ করেন, চীনের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিবেচনায় শুভ সংকেত হিসেবে বিবেচিত হবে।

‘অধিকাংশ বাংলাদেশি উৎপাদনকারীই কম খরচে মধ্যবর্তী পণ্য ও কাঁচামাল আমদানির জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। কম দামে কাঁচামালের সহজ সরবরাহ চেইনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া,’ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, চীন ফের উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ায় দেশটির সহায়তায় নেওয়া প্রস্তাবিত বিনিয়োগ, প্রকল্প অর্থায়ন ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নও সহজ হবে।

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা একটা সাধারণ ঘটনা—তাই ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা কমাতে সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ চাহিদা, উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নীতিনির্ধারক ও শিল্পপতিদের যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।

‘অভ্যন্তরীণ বাজার বা রপ্তানি খাতের জন্য পণ্যের উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয় সেজন্য কিছু বিশেষ যত্ন নিতে হবে।’

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. এমএ রাজ্জাকের মতে, চীনের বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার ফলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক হবে। তারপরও এটি তেল, গ্যাস ও পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহের ওপর কোনো তাৎক্ষণিক চাপ সৃষ্টি করবে না।

চীন সরকারের নীতি মূল্যস্ফীতিজনিত চাপ আরও নিম্নমুখী হতে সহায়ক হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নাগাদ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

পাশাপাশি বর্তমানে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা মার্কিন মুদ্রা ডলারও আগামী দিনে দুর্বল হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, চীনের ‘জিরো-কোভিড’ নীতি থেকে সরা আসা সবার জন্যই ইতিবাচক লক্ষণ হবে। এটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে।

এটি তাদের শিল্প পরিদর্শনকারী সরবরাহকারীদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন, ‘জিরো কোভিড’ নীতি শেষ হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে কারণ এর ফলে চীনের নেতিয়ে পড়া শিল্পগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হতে পারবে।

চীনের লকডাউনের সময় বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইন বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। এখন চীন ‘জিরো-কোভিড’ নীতি থেকে সরে আসায় তা সরবরাহ চেইনকে স্বাভাবিক করবে।

”জিরো কোভিড’ নীতির সময় আমরা দেশটি থেকে অনেক যন্ত্রপাতি আমদানি করেছি কিন্তু সেগুলো চালু করা যায়নি। একই পরিস্থিতি খাটে সরকারি অনেক প্রকল্পের জন্যও। এ নীতি থেকে চীন বেরিয়ে এলে আমার এসব সমস্যা সমাধানে আরও দ্রুত এগোতে পারব’, বলেন তিনি।

তবে চীনের করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর এ নীতি কতটুকু কার্যকর তা নিয়েও উদ্বেগ ছিল।

অধ্যাপক মোস্তাফিজুরও বলেন, চীনের অর্থনীতি উন্মুক্তের বিষয়ে কোনো কিছু ধারণা করা কঠিন, কারণ চীনে এখনো কোভিড-‌১৯ ভাইরাস ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, এ উন্মুক্তকরণের ফলে তা বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রভাবও ফেলতে পারে।

তবে এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন চীনের ‘জিরো কোভিড’ নীতি সফল হয়নি, কারণ দেশটি এখনও কোভিডের হুমকি মোকাবিলা করছে।

কিছুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেছেন, ‘চীনে সংক্রমণের উচ্চ হার, ও যথেষ্ট পরিমাণে প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকার ফলে—যেমনটা আমি গত সপ্তাহে বলেছি, কিছু দেশ তাদের নাগরিকদের সুরক্ষার কথা ভেবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।’

করোনার সর্বশেষ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ চীন থেকে আগত ভ্রমণকারীদের দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য নতুন করে কোভিড পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার গ্রিস, জার্মানি ও সুইডেনও চীনা ভ্রমণকারীদের কোভিড পরীক্ষার ঘোষণা দেয়। মোট এক ডজনের বেশি দেশ এ ঘোষণা দিয়েছে। রয়টার্স-এর খবর অনুযায়ী, ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, দেশটিতে করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রকৃত মাত্রা এর সরকারি তথ্য-উপাত্তে প্রকাশ করা হচ্ছে না।