ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট – ফাহমিদা খাতুন ও ফখরুদ্দীন আল কবির

Originally posted in বণিক বার্তা  on 11 October 2021

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থায় এসেছে। টেলিগ্রাফ ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গঠন করার পর ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতির এক অধ্যাদেশ বলে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বিভাগকে পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বিভাগ বোর্ড (বিটিটিবি) গঠন করার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিটিটিবিকে টেলিযোগাযোগ ও বেতার সার্ভিসের লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে একচ্ছত্র ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দেয়া হয়।

সাধারণ মানুষের কাছে টেলিফোন সুবিধা পৌঁছে দিতে ১৯৮৫ সালে নগর এলাকায় কয়েন বক্স টেলিফোন বুথ চালু করা হয়। একই সময়ে পল্লী অঞ্চলে টেলিকম সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ল্যান্ডলাইনে বেতারভিত্তিক পাবলিক কল অফিস স্থাপন করা হয়। কয়েন বক্স ও পাবলিক কল অফিসের নিম্নমানের সেবাকে উন্নত করতে ১৯৯৫ সালে চালু করা হয় কার্ডফোন ব্যবস্থা। ২০০০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সমগ্র দেশে ১ হাজার ৪টি কার্ডফোন বুথ স্থাপন করা হয়। সব কার্ডফোনে দেশব্যাপী সরাসরি ডায়ালিং সুবিধা এবং এগুলোর মধ্যে ৭৫০টিতে সরাসরি আন্তর্জাতিক কল করার সুবিধা থাকায় কার্ডফোন ব্যবস্থা বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

এরপর ১৯৯৫ সালে, সরকার ১৯৭৯ সালের অধ্যাদেশ সংশোধন করে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে প্রদান করে। এ অবস্থায় টেলিযোগাযোগ খাতের নীতিনির্ধারণ ও তদারকির জন্য ২০০১ সালে টেলিযোগাযোগ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) গঠন করা হয়। ২০০৬ সালে টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০০১ সংশোধন, ২০০৮ সালে বিটিটিবিকে লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) করা হয়, যার শতভাগ শেয়ারের মালিকানা সরকারের হাতে রয়েছে।

বর্তমানে বিটিসিএলের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মূলত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টেলিফোন ও টেলিকমিউনিকেশন সেবা প্রদান। এছাড়া তারা পাবলিক টেলিফোন সার্ভিস, টেলেক্স, টেলিগ্রাফ, দেশব্যাপী ডায়ালিং সুবিধা, ট্রান্সমিশন লিংক, ট্রাংক অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ, বৈদেশিক যোগাযোগ সার্ভিস, আন্তর্জাতিক ট্রাংক এক্সচেঞ্জ, ডাটা কমিউনিকেশন সার্ভিস, ইন্টারনেট সার্ভিস, ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবারস লাইন এবং আন্তর্জাতিক প্রাইভেট লিজড লাইন ইত্যাদি টেলিযোগাযোগ-সংশ্লিষ্ট সেবা দিয়ে থাকে। ১৯৯৮-৯৯ সালের শেষ দিকে দেশে বিটিটিবির মোট ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩২২ লাইনবিশিষ্ট ৬৩১টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ছিল। ২০১১ সাল নাগাদ সারা দেশে বিটিসিএলের অধীনে মোট ৫৮৫টি ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হয়। এর বাইরে ১০৮টি অ্যানালগ এক্সচেঞ্জের মাধ্যমেও সেবা পরিচালনা করছে সংস্থাটি, তবে এগুলোকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল এক্সচেঞ্জে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১০ সালের মে মাস পর্যন্ত এসব এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রায় ৪ লাখ ৭২ হাজার গ্রাহককে টেলিফোন সুবিধা দিতে সক্ষম হয় বিটিসিএল।

টেলিযোগাযোগ খাতের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ইন্টারনেটের ব্যবহার বাংলাদেশে শুরু হয়েছে তুলনামূলক দেরিতে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ বোর্ড ঢাকা এবং অন্য চারটি বড় শহরে (চট্টগ্রাম, বগুড়া, খুলনা ও সিলেট) ইন্টারনেট গ্রাহকদের লিজড লাইন ও ডায়াল আপ সুবিধা দেয়া শুরু করে। মহাখালী ভূকেন্দ্রের মাধ্যমে কানাডার টেলিগ্লোবের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে ইন্টারনেটে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতি গ্রহণ করে।

২০০৬ সালে দেশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন (টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০০১ এর সংশোধন) প্রণয়ন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিকে আইনগতভাবে বৈধতা ও নিরাপত্তা প্রদান করা এবং সে-সম্পর্কিত বিধি প্রণয়ন করা। এ আইন অবশ্য টেলিযোগাযোগ আইনের পদ্ধতিতে টেলিযোগাযোগ খাতকে নিয়ন্ত্রণ করে না। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে আইসিটি আইনের তাত্পর্য হলো, আইনটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কিছু আইনি অনিশ্চয়তা দূর করে এবং ব্যাখ্যা করে।

বাংলাদেশে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিক টেলিফোন সেবা প্রদানের একক কর্তৃত্ব ছিল সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিটিবির কাছে। ১৯৮৯ সালে দেশে টেলিকমিউনিকেশন খাতে সর্বপ্রথম বেসরকারীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সেবা টেলিকম নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১৯৯টি উপজেলায় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিচালনার অনুমতি প্রদান করা হয়। ওই বছরই দেশের সর্বপ্রথম সেলুলার ফোন সেবা চালু করে সিটিসেল মোবাইল কোম্পানি। তবে শুরুর দিকে প্রতিযোগিতামূলক বাজার না থাকার কারণে সেলুলার ফোনের সেবা অনেক ব্যয়বহুল ছিল এবং অল্প সংখ্যক গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছাতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে গ্রামীণফোন সেলুলার ফোন অপারেশনের জন্য লাইসেন্স পায় এবং ১৯৯৭ সালে দেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর একে একে দেশে রবি (পূর্বে একটেল) ১৯৯৮ সালে, সরকারি মালিকানাধীন সেলুলার ফোন কোম্পানি টেলিটক ২০০৪ সালে, বাংলালিংক ২০০৫ সালে ও এয়ারটেল ২০১০ সালে (পূর্বে ওয়ারিদ নামে পরিচিত) তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন খাতের বর্তমান অবস্থা

বর্তমানে দেশে ১৭ কোটির বেশি মোবাইল ফোনের সংযোগ রয়েছে। তাছাড়া দেশে প্রতি ১০০ জনের বিপরীতে মোবাইল সেলুলার সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৩১, যা সাউথ এশিয়ার অন্যান্য দেশ ভারত (৮৩ দশমিক ৬০), পাকিস্তান (৭৯ দশমিক ৫১), ভুটান (৯৬ দশমিক ৫৭) থেকে বেশি। কিন্তু আধুনিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের আরো উন্নয়ন করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট সুবিধা ভোগকারী গ্রাহকের সংখ্যা ১১ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার জন এবং স্থায়ী ব্রডব্যান্ড সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৯৫ লাখের কিছু বেশি।

দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ১৩ জন ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারছেন এবং প্রতি ১০০ জনে পাঁচ জনস্থায়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছেন, যা কিনা স্থায়ী ব্রডব্যান্ড অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে। এক্ষেত্রে ভারতে শতকরা ৪১ জন, নেপালে শতকরা ২১ জন, পাকিস্তানে শতকরা ১৭ জন, শ্রীলংকায় শতকরা ৩৫ জন ও ভুটানে শতকরা ৪১ জন ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছেন।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন খাতের সমস্যা

টেলিকমিউনিকেশন খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন অপরিসীম। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করার জন্য এ খাতের কিছু কিছু দিক আরো উন্নতি করা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট সেবার আওতায় আছে। এদের বেশির ভাগ মানুষ শহরে বসবাসকারী এবং আধুনিক নাগরিক সুবিধা ভোগ করছেন কিন্তু বাংলাদেশের শতকরা ৬২ জন মানুষ গ্রামে বাস করেন, যাদের অধিকাংশই ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে আছেন। বাংলাদেশের সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং তার জন্য দেশের বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনা প্রয়োজন। এজন্য বেশকিছু প্রকল্পও নেয়া হয়েছে কিন্তু অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার দরুন এ সুবিধার আরো বিস্তার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়া অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার দরুন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সুবিধা পৌঁছান কষ্টকর। টেলিকমিউনিকেশনে গুণগত সেবা নিশ্চিত করাও বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া ইন্টারনেটের গতিবৃদ্ধি, মূল্যহ্রাস ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নীতিনির্ধারণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো যেমন কম্পিউটার ও অন্যান্য সুবিধা এখনো অনেকের কাছে পৌঁছায়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক তথ্যমতে দেখা যায় যে, শুধু ৩৩ শতাংশ মানুষের কাছে কম্পিউটার রয়েছে এবং তারা ব্যবহার করেছে। এক্ষেত্রে যাদের কম্পিউটার নেই তাদের ৯৬ শতাংশ কখনো কম্পিউটার ব্যবহার করেনি। তাই কম্পিউটার ও প্রযুক্তিগত যন্ত্রাংশের সহজপ্রাপ্যতার সমস্যা ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনকে অনেকাংশে পিছিয়ে দিচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকরা কল ড্রপ সমস্যার সম্মুখীন হন, যা মোবাইল ফোন গ্রাহকদের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে তোলে। বিটিআরসির মতে, ২০২০ সালে ১১২ দশমিক ৯৫ কোটি কল ড্রপ রেকর্ড করা হয়। কল ড্রপের অন্যতম কারণ হলো চাহিদামতো স্পেক্ট্রাম এবং অবকাঠামোগত সহায়তা না থাকা এবং একসঙ্গে অনেক গ্রাহক একই নেটওয়ার্কের স্পেক্ট্রাম ব্যবহার করেন। এছাড়া ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে উন্নত বিশ্বের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সের মতে, সারা বিশ্বে ইন্টারনেটের গতি বেড়েছে শতকরা ৬০ ভাগ, যেখানে বাংলাদেশে বেড়েছে ১৫ শতাংশ। তাছাড়া ২০২১ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশ ১৩৫তম অবস্থানে আছে ১৩৯টি দেশের মাঝে।

সামনের জন্য করণীয়

লক্ষ্য নির্ধারণ একটি নীতিমালাকে সঠিকভাবে প্রণয়নে সাহায্য করে। ভালো লক্ষ্য নির্ধারণের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে, যেমন কী করা দরকার, কারা এটি করবে, কখন তাদের এটি করা দরকার, এর জন্য কত খরচ হবে এবং এটা নিশ্চিত হওয়া যে, এটি সম্পন্ন হয়েছে (অথবা অন্তত এটা নিশ্চিত করা যে, নীতিমালা সঠিক পথে রয়েছে)। তাই টেলিকমিউনিকেশন খাতের নীতিমালা নির্ধারণে সর্বপ্রথম লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। এক্ষেত্রে টেলিকমিউনিকেশনের বিভিন্ন সূচক যেমন গ্রাহক সংখ্যা, গুণগত মান এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নীতিমালা প্রণয়ন, প্রয়োগ ও নিরীক্ষণ ও পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বৈশ্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিকরণ, ইন্টারনেটের যথাযথ মান বৃদ্ধি করা এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে টেলিকমিউনিকেশন সেবা পৌঁছানোর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। গুণগত ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার জন্য যথাযথ নীতি গ্রহণ করা এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সাহায্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাছাড়া ইন্টারনেটকে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ইন্টারনেটের মূল্য কমানো, মূল্যনির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। ইন্টারনেট সেবা ও তার মূল্যনির্ধারণে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক কোন গাইডলাইন সেবা থাকাটা জরুরি। কিন্তু নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) জন্য ইন্টারনেটের দামের নির্ধারিত কোনো গাইডলাইন নেই, সেখানে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত মূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।

 

ফাহমিদা খাতুন: নির্বাহী পরিচালক, সিপিডি
ফখরুদ্দীন আল কবির: গবেষক, সিপিডি