প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে জমির স্বল্পতা আমাদের একটি বড় বাধা: তৌফিকুল ইসলাম খান

Published in প্রথম আলো on Sunday, 2 March 2018

গোলটেবিল

২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রাণিসম্পদ খাতের ভূমিকা

গত ২২ জানুয়ারি ২০১৮, প্রথম আলোর আয়োজনে ‘২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রাণিসম্পদ খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এই ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত হলো।

তৌফিকুল ইসলাম খান

প্রাণিসম্পদ আমাদের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধিতে বিরাট অবদান রাখতে পারে। এ ছাড়া অন্য প্রায় সব খাতেই প্রাণিসম্পদ কম-বেশি ভূমিকা রাখছে।

প্রাণিসম্পদ সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ক্ষুধা নিরসন এবং সবার জন্য পুষ্টিবিধান ও দারিদ্র্য নিরসনসংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে।

আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বাড়লেও দেশের সব মানুষ সমান হারে প্রাণিজ আমিষ গ্রহণ করছে না, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।

প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে জমির স্বল্পতা আমাদের একটি বড় বাধা। গবাদিপশু পালন এবং সেগুলোর খাদ্যের জোগান দেওয়ার জন্য জমির প্রয়োজন। অনেকেই দেশের চরাঞ্চলগুলো ব্যবহার করে এই সমস্যা সমাধানের কথা ভাবছেন।

কিন্তু সে ক্ষেত্রে আমাদের ভাবতে হবে যে এসব চরাঞ্চল চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে অনেক দূরে। চরাঞ্চলে পশুপালন জনপ্রিয় করতে হলে এসব এলাকায় পশুর চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। আর সে জন্য অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে। দেশের ক্ষুদ্র খামারিদের উন্নয়নের জন্য ছোট খামারগুলোকে এলাকাভিত্তিক গুচ্ছ খামারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

এর মাধ্যমে উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং বণ্টন করার ক্ষেত্রে ছোট খামারিরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন এবং বড় খামারগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন।