শ্রমবাজারে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়লেও অনানুষ্ঠানিক খাতেই তারা বেশি কাজ করছে – ফাহমিদা খাতুন

Originally posted in প্রথম আলো on 10 November 2022

জেন্ডার বিষয়ে তরুণদের আচরণগত মনোভাব অন্বেষণ

আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে গত ১০ অক্টোবর ২০২২ ব্র্যাক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে। আলোচনার নির্বাচিত অংশ এই ক্রোড়পত্রে ছাপা হলো।

ড. ফাহমিদা খাতুন, নির্বাহী পরিচালক, সিপিডি

বাংলাদেশের শ্রমবাজারে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এখন শ্রমবাজারে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার ৩৬ শতাংশ। এটা এখনো আমরা ৫০ শতাংশে নিয়ে যেতে পারিনি। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটা ভালো অবস্থানে আছে। কিন্তু তারা কোথায় কাজ করছে? অনানুষ্ঠানিক খাতেই তারা বেশি কাজ করছে। যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা ও আয় কম। সে জন্য ৩৬ শতাংশ শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের পরেও নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য অনেক বেশি। কারণ, ৩৬ শতাংশের ৮০ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। তাই তাদের আনুষ্ঠানিক খাতে নিয়ে আসা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আনুষ্ঠানিক খাতে আনার জন্য দক্ষতা ও শিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

পরিবারে মা-বাবা উচ্চশিক্ষিত হলে মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু এরপরেও আমার অনেক বন্ধুবান্ধবকে মেয়ে ও ছেলেদের মধ্যে পার্থক্য করতে দেখেছি। একটা মেয়ে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু বাবার কথা হলো মেয়েটার তো বিয়েই হয়ে যাবে। কেন তিনি লাখ লাখ টাকা দিয়ে তাকে ডাক্তারি পড়াবেন। মনের গভীরে এ ধারণার শিকড়টা রয়ে গেছে। এই পরিবর্তন পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। কারণ, আবার গ্রামের দরিদ্র পরিবার থেকে এসেও উচ্চশিক্ষিত হয়ে উচ্চপদে আসীন হয়েছেন, এমন নারীও রয়েছেন। মেয়েদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় নিয়ে আসা আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত। এ জন্য শিক্ষা, দক্ষতা ও অর্থ, এ তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসিকতার পরিবর্তনের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে পরিবর্তন আনা গুরুত্বপূর্ণ।