সুরক্ষার আওতা বাড়াতে হবে – মোস্তাফিজুর রহমান

Originally posted in ভোরের কাগজ on 24 August 2022

তেলের দাম বাড়ানোর ফলে ভোক্তার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, সাধারণ ভোক্তা চাপে পড়বে এটা যেমন সত্যি, তেমনি বাড়তি ডলারের প্রভাব আমদানিকৃত পণ্যে পড়ছে- এ বিষয়টিও মানতে হবে। তিনি বলেন, কতটুকু বাড়ানো দরকার ছিল, আর কতটুকু বেড়েছে, এ বিষয়গুলো সরকারি সংস্থাগুলোকে নজরদারি করা প্রয়োজন। বিশ্ববাজারের দাম এবং এক্সচেঞ্জ রেটের যে অভিঘাত, সেটা মিলিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে সে দাম কতটা যৌক্তিক হয়েছে, তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এ অর্থনীতিবিদ বলেন, এমনিতেই নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। প্রতিনিয়ত প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়ছে। এমন সময়ে নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ালে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর এটা বাড়তি এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে। সরকারকে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ যেমন দেখতে হবে, তেমনি সাধারণ ভোক্তার স্বার্থও দেখতে হবে। বিষয়টি সাংঘর্ষিক। এক্ষেত্রে সরকারের সামাজিক কর্মসূচির আওতা আরো বাড়াতে হবে। আগে থেকেই সরকারকে সতর্ক অবস্থান নিতে হবে। কারণ অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দাম বাড়ানোর বেলায় দ্রুততা থাকলেও কমানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব দেখা যায়। ভোজ্যতেলের সঙ্গে কোটি কোটি ভোক্তার স্বার্থ জড়িত। সুতরাং এক্ষেত্রে অবশ্যই ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আবার দাম কমালেও আন্তর্জাতিক বাজারে যে পরিমাণ কমে দেশের বাজারে সে পরিমাণ কমে না। এক্ষেত্রে সামঞ্জস্য থাকা জরুরি। এছাড়া কী পরিমাণ আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ হচ্ছে, সেদিকেও সরকারের কড়া নজরদারি থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের ভোজ্যতেলের বাজারে হাতেগোনা কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান আমদানি ও সরবরাহ করে থাকে। এখানে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন যে, এ খাতে নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো বাধা রয়েছে কিনা। পাশাপাশি কোনো সিন্ডিকেট রয়েছে কিনা, তাও দেখতে হবে। থাকলে অবশ্যই সেগুলো ভাঙতে হবে।