Mr Towfiqul Islam Khan on excluded taxable amount due to transfer mispricing

Published in Banik Barta on Friday, 4 April 2014.

আলোচনা সভায় বক্তারা
কর কাঠামোর দুর্বলতায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে কর আইন থাকলেও এর দুর্বলতায় অর্থ পাচার হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি-রফতানিতে আন্ডার ও ওভার ইনভোয়েসিংয়ের মাধ্যমে কর রাজস্ব এবং বৈদেশিক মুদ্রা দুই-ই হারাচ্ছে সরকার। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিস (বিল্স) মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের উদ্যোগে ‘কর সুশাসন, বাজেট ও জনসেবাখাত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক এম আমানুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান, স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক মীর আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ও কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় কৃষক জোটের সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির সাধারন সম্পাদক সুবল সরকার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান এবং উন্নয়ন সমুন্নয়ের জাহিদ হোসেন। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য প্রদীপ কুমার রায়। প্রবন্ধ পাঠ করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের পরিচালক আজগর আলী সাবরি।

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, বাণিজ্যে মোট লেনদেনের ৬০ শতাংশই হয় পরস্পর সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। এর ফলে প্রতি বছর প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার করের আওতার বাইরে থেকে যায়। এমনকি পরস্পর সম্পর্কিত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও ট্রান্সফার মিসপ্রাইসিং হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কিত কি না তাও বোঝার উপায় নেই। এ বিষযক যে আইন আছে তার আওতায় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোই পড়ে, স্থানীয়রা নয়।

অ্যাকশনএইডের পরিচালক আজগর আলী সাবরি বলেন, ধনী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বৈত কর চুক্তির মাধ্যমে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো অসম সম্পর্কের শিকার হচ্ছে। ফলে এ দেশগুলো বিশাল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটি দুটি কারণে ঘটছে। প্রথমত, আমাদের মতো দেশগুলো চুক্তির পরিণতি সম্পর্কে সচেতন নয়।

বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু সেই সঙ্গে গার্মেন্টস মালিকদের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা কর মওকুফ করা হয়েছে।