Published in বণিক বার্তা on Wednesday, 18 April 2018
ডঃ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। অর্থনীতিবিদ ও নীতি বিশ্লেষক। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো। জাতিসংঘসহ জেনেভা ও ভিয়েনাস্থিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নসংক্রান্ত সংস্থা আঙ্কটাডের (ইউএনসিটিএডি) গভর্নিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আঙ্কটাড মহাসচিবের স্বল্পোন্নত দেশসংক্রান্ত বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। জেনেভায় জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়কও ছিলেন। আন্তর্জাতিক জার্নালে তার বহু গবেষণাকর্ম প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সময়। বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন, প্রবৃদ্ধির গুণগত মান, আয় ও ভোগবৈষম্য বৃদ্ধি, সুশাসন সূচকের অবনতি, সামাজিক সুসঙ্গতির অভাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে বণিক বার্তার সঙ্গে এ অর্থনীতিবিদের কথা হয়।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা
[সাক্ষাৎকারটি দুইটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এটি সাক্ষাতকারের দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন এখানে। ]
আপনি বলেছেন, ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এক ধরনের এবং ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। এর পেছনে রাজনীতির পরিবর্তনের কোনো প্রভাব লক্ষ করেন কি?
এ পর্যায়ে আবারো সুশাসনের বিষয়টি আসবে। আমরা তো প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার অর্থনীতি নিয়ে এগোতে চাইছি। বাজার অর্থনীতিকে যদি পরিপূর্ণ করতে হয়, তার অন্যতম পরিপূরক হলো প্রতিযোগিতাপূর্ণ রাজনীতি। প্রতিযোগিতাপূর্ণ রাজনীতি না থাকলে আপনি বাজার অর্থনীতিকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ করতে পারেন না। তখন ব্যক্তিবিশেষ বা গোষ্ঠীবিশেষ সম্পদের উপরে এক ধরনের একচেটিয়া অধিকার আরোপ করতে পারে। তাই প্রশ্ন হলো, আমরা কি বাংলাদেশে ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি? এটা স্বজনপ্রীতির চেয়েও বড় বিষয়; ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের মানে দাঁড়ায় ঘনিষ্ঠ তোষণ। অর্থাৎ এখানে আপনি এমন একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করেন, যার মাধ্যমে সম্পদের অভিগম্যতাকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ অবস্থায় প্রতিযোগিতাপূর্ণভাবে সবাই সমান সুযোগ পায় না; শুধু যারা এ প্রভাব বলয়ের সঙ্গে যুক্ত, তারা এর দ্বারা নিয়মবহির্ভূতভাবে উপকৃত হয়। এরাই ব্যাংকের লাইসেন্স পায়; আবার ঋণখেলাপি হয়েও পার পেয়ে যায়। যে দেশে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে দমন করা হয়, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, আমলাতন্ত্রের রাজনীতিকীকরণ হয়, বিচার ব্যবস্থা চাপের মুখে থাকে এবং নাগরিক সমাজের কণ্ঠস্বর সীমিত হয়ে যায়, সেখানে আর্থসামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায়।
বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ থেকে শুরু করে ব্যাংকঋণ গ্রহণ— সব ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির বিষয়টি ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে…
এমনটা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতির ক্ষেত্রে বহু সমস্যা তৈরি হবে। প্রথমত. এটি উৎপাদনশীল বিনিয়োগকে সংকুচিত করবে এবং প্রবৃদ্ধির মাত্রার ওপর কুপ্রভাব ফেলবে। প্রবৃদ্ধির গুণগত মানকেও প্রভাবিত করবে, গরিব শ্রেণীর কর্মসংস্থান ও আয় কমবে। দেশ থেকে অর্থ পাচার হবে। বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা রুদ্ধ হবে। দেশের ভেতরে এমন ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হবে, যার ফলে সামাজিক সংহতি দুর্বল হবে; যা সামাজিক অসন্তোষের দিকে যায়। এটাই উন্নয়নের ব্যাকরণ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এমন একটি পরিণতি অসম্ভব নয়।
আমরা এমন পরিণতিকে এড়িয়ে যেতে পারব কি?
নব্বইয়ের দশক থেকে আমরা দেখছি, যখনই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে মধ্যবিত্ত সমাজের জীবনমানের ক্ষতি হয়েছে। আগামী দিনে এ জায়গাটায় খুব বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাংলাদেশের আগামী দিনের উন্নয়ন ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অবকাঠামোর শক্তিমত্তা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশে আমরা যেভাবে ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামোর দিকে মনোযোগ দিতে পেরেছি, সেভাবে রাজনৈতিক অবকাঠামোয় মনোযোগ দেয়ার সুযোগ হয়নি। আর সেটা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগও সীমিত হয়ে গেছে, সেটাই চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশের সীমিত বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ, বিপুল জনসংখ্যা, প্রযুক্তির নিম্ন প্রসার ইত্যাদি নিয়েও চিন্তা আছে কিন্তু রাজনৈতিক পুঁজি যদি কমে যায় এবং সেটা যদি উন্নয়ন বৈরী হয়ে যায়, তাহলে দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে।
তবে এর মানে এই নয়, বাংলাদেশের কোনো উন্নতি হয়নি বা হবে না। বিষয়টা হলো, এ উন্নতিকে আগামী দিনে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের পক্ষে কীভাবে আমরা উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাব। এটাই আলোচ্য বিষয় হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে নাগরিক হিসেবে সবার অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। কারণ দেশের ভেতরে যদি মৌলিক উন্নতি না হয়, তাহলে ব্যক্তি কোন রাজনৈতিক দল করেন, সেটা আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। যানজট, দূষিত বায়ু, সুপেয় পানির অভাব আমাদের সমানভাবে আক্রান্ত করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সেবা না থাকলে সবচেয়ে বিত্তশালী উদ্যোক্তাও কোনো না কোনোভাবে আক্রান্ত হবেন তার কর্মচারীদের ভেতর দিয়ে। একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে যদি শান্তিপূর্ণ অবস্থান না থাকে, যদি এর সঙ্গে জঙ্গিবাদ থাকে, তাহলে এটিও আমাদের সবাইকে সমানভাবে আক্রান্ত করবে। বাংলাদেশের যে অভিন্ন স্বার্থগুলো রয়েছে, আমরা দেখতে পাই রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও এগুলো নিয়ে যে খুব বেশি দ্বিমত আছে তা নয়। কিন্তু সমস্যাগুলোকে অনুধাবন করে একটা জাতীয় ঐকমত্য তৈরির মাধ্যমে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একে ধারাবাহিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করব, সেই জায়গাটায় একটা বড় ঘাটতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। রাজনৈতিক নেতারা একই কথা বলেন, একমত হওয়ার মতো ভিত্তি বা জায়গা আমাদের নেই। এর একটা বড় জায়গা হতে পারত জাতীয় সংসদ। এজন্য সংসদের ভেতরে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বারবার অর্থনীতির কথা বলি কিন্তু জিম্মি থাকি রাজনীতির কাছে।
সামাজিক সুসঙ্গতির ক্ষেত্রেও ভাঙন দেখা দিচ্ছে—
সোস্যাল ক্যাপিটাল বা সামাজিক পুঁজির ভেতরে বড় ধরনের অবক্ষয় হচ্ছে, যা সাদা দৃষ্টিতে প্রতিদিন দেখা যায় আর প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিনিয়ত অনুভব করা যায়। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ উদ্ভবের কারণ খুঁজলে দেখব, এটি সামাজিক পুঁজির অবক্ষয়ের একটি কারণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার, সমাজ থেকে শুরু করে নীতি, আদর্শের জায়গাগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। আরো অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে এটাও একটি বড় কারণ। একটা বিকাশকামী সমাজকে এগোতে হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়ম-নীতির ভেতরে থাকতে হবে— এ বিষয়টিকে অস্বীকার করে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করা তথা বিচারহীনতার সংস্কৃতি সামাজিক সম্পদ নষ্ট করবে।
সামাজিক পুঁজি ছিল না কিন্তু উন্নয়ন হয়েছে— পৃথিবীতে কোনো দেশে এমনটা আমরা দেখতে পাই না। রাজনৈতিক পুঁজি ও অর্থনৈতিক পুঁজি এ দুয়ের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে সামাজিক পুঁজি। এ সেতুটা যদি ভেঙে যায়, তাহলে চেষ্টা করেও রাজনৈতিক পুঁজি বাড়ানো সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হলো, বাংলাদেশে এখন উন্নয়ন আলোচনা হয় খুবই স্বল্পমেয়াদি কাঠামোতে। সিপিডি থেকে যদিও একটি রূপকল্প বা ভিশন ২০০৭ সালে আমরা তুলে ধরেছিলাম, যেখানে আমরা প্রথম বলেছিলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করি। তবে মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে উন্নয়নের চিন্তাটা অনেকটাই এখন প্রাগৈতিহাসিক চিন্তা। নতুন বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এসডিজির আলোকে সবাই মানবসম্পদভিত্তিক উন্নয়নের চিন্তা করেছি। সেখানে আর্থসামাজিক অভীষ্টের সঙ্গে রয়েছে মানবাধিকার, আইনের শাসন, সামাজিক সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয়। অর্জিত উন্নয়নকে সুষমভাবে ধারণ করার মতো প্রাতিষ্ঠানিক উন্নতির প্রয়োজন। এটা হয়তো আমাদের মতো পেশাজীবীদের ব্যর্থতা, আমরা একে যথেষ্ট জোর দিয়ে দেশ, জাতি ও নেতাদের বোঝাতে অক্ষম হয়েছি, উন্নয়নটা শুধু মাথাপিছু আয়ের বিষয় নয়। উন্নয়নের মাপকাঠি হলো, যে লোকটা সবচেয়ে বেশি পেছনে পড়ে আছে, তার জীবনমানের পরিস্থিতি। আর এটি বুঝতে হবে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে। আর এ জায়গাটায় আমরা কত দিনে, কীভাবে পৌঁছতে পারব, তা যৌথভাবে চিন্তা করার বিষয় রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যদি শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা না থাকে, অস্থির রাজনীতি আমাদের সুস্থির অর্থনৈতিক চিন্তা করতে সাহায্য করে না।
অনেকে বলবেন চার কিংবা পাঁচ বছর ধরে রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও এ অবস্থার সৃষ্টি কেন হলো?
জনমানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক পুঁজির সৃষ্টি হয়। সামাজিক পুঁজির ঘাটতির একটা বড় জায়গা হলো, সমাজের ভেতরে যেসব প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান থাকে যেমন— ক্লাব ও সমিতি, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান, সংসদ ইত্যাদি— প্রায় সব জায়গা থেকে নির্বাচন উঠে গেছে। এক্ষেত্রেও অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। ফলে এসব জায়গায়ও সামাজিক পুঁজির বিকাশের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কেউ যদি এ অবস্থাকে স্থিতিশীলতা বলে, আমি বলব তর্ক-বির্তকের অভাব, আলোচনার অভাব। আগে ঘর বন্ধ থাকলে, গুমোট লাগলে আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতাম, এখন আমাদের বারান্দাগুলোও ভেঙে পড়ছে। বারান্দা যদি ভেঙে পড়ে, তাহলে ঘরেও ফাটল ধরবে।
নীতিনির্ধারকরা কেন এটা অনুধাবন করতে পারছেন না? দীর্ঘমেয়াদে এ ক্ষতিটা তো সবাইকেই ভোগ করতে হবে—
এ জায়গাটাতেই বিকাশমান মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তের তফাত। বিকাশমান মধ্যবিত্ত এখনো বহুলাংশে বাংলাদেশের ভেতরে তার জীবনটাকে গুছিয়ে নিতে চায়, এখানেই থিতু হতে চায়। আমার দেশের উচ্চবিত্ত অনেক বেশি বৈশ্বিক হয়ে গেছে। সে তার সুযোগটা শুধু দেশের ভেতরে দেখে না। সেজন্য সে স্বল্পসময়ের ভেতরে পুঁজি আহরণ দেখে, অনেক সময় বিনিয়োগ দেখে না। বিনিয়োগ দেখলেও সেটা থেকে পুনর্বিনিয়োগ দেখে না। মধ্যমেয়াদি পরিবর্তনের অংশীজন হয় না। এটা দেশের একটি অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব।
কিন্তু মধ্যবিত্ত তো উচ্চবিত্তকে অর্থ উপার্জনের সুযোগটা করে দিচ্ছে—
আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত তো জিম্মি হয়ে আছে। এখানে আমি যে মধ্যবিত্তের কথা বলছি, সে তো সুশাসনের অভাবের ভুক্তভোগী। সে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা পাবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত। তার আত্মীয়স্বজন ডাক্তার থাকলেও ওয়ার্ডের বিছানার অভাব পূরণ করতে পারছে না। কিন্তু উচ্চবিত্তের ব্যক্তিটি ৬ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসতে পারে। চোখের সামনে বিকাশমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী এ বৈপরীত্য ঘটতে দেখছে, যা সামাজিক অসন্তোষের উৎসমুখ। যে দেশে প্রতি চারজন যুবকের মধ্যে একজন বেকার, বাকি দুজন পূর্ণভাবে কর্মসংস্থানের মধ্যে নেই, সেখানে সামাজিক অসন্তোষের রূঢ় প্রকাশ অবধারিত। সাধারণভাবে বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি উত্তরণ পর্ব পার করে এসেছে কিন্তু দ্বিতীয় উত্তরণের দিকে যেতে হলে প্রথম উত্তরণের অমীমাংসিত যে বিষয় রয়েছে, তার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আর পরবর্তী উত্তরণের নতুন চ্যালেঞ্জগুলোকেও বিবেচনায় নিতে হবে। অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা ও নতুন চ্যালেঞ্জগুলোকে উল্লেখ করা মানে এই নয় যে, পূর্ববর্তী অর্জনকে খাটো করা হচ্ছে; বরং আমাদের অর্জনকে রক্ষা করার চিন্তা থেকেই এ কথাগুলো বলা প্রয়োজন।
[শেষ]
শ্রুতিলিখন: রুহিনা ফেরদৌস
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো