Published in Shokaler Khobor on Thursday, 1 January 2015.
বিনিয়োগ অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি
প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান
গত কয়েক বছর ধরে দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। কর্মসংস্থানও তেমন নেই। ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে অনেক। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের আশপাশে ঘুরছে। জিডিপির চলমান প্রবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৮ শতাংশ এবং ৮ থেকে ১০ শতাংশে নিতে হলে সবার আগে নজর দেওয়া দরকার বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে। সেইসঙ্গে বিনিয়োগের উত্কর্ষ বাড়ানো দরকার।
দেখা গেছে, গত কয়েক বছরে সরকারি বিনিয়োগ কিছুটা বেড়েছে; কিন্তু ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ নিয়ে এখনও শঙ্কা যায়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বিনিয়োগ করা হচ্ছে; কিন্তু বড় ধরনের বিনিয়োগ নিয়ে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা খুব একটা আসছেন না।
বড় বিনিয়োগ আসে সাধারণত রেডিমেড গার্মেন্টের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে; কিন্তু দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এই বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধির হার এক শতাংশেরও কম। এতে বোঝা যাচ্ছে, নতুন বিনিয়োগ তেমন হয়নি। হয়তো উদ্যোক্তারা তাদের চলমান কর্মকাণ্ডেই বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন।
২০১৩ সালের মাঝামাঝি থেকে শেষ সময় পর্যন্ত দেশে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা গেছে। প্রত্যাশা ছিল, হয়তো ২০১৪ সালে এসে সে অনিশ্চয়তা কেটে যাবে এবং উদ্যোক্তারা তাদের বিনিয়োগ আরও বাড়াবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়নি। কারণ এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যায়, দেশ থেকে অনেক অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আন্ডার ইনভয়েসিং এবং ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পুঁজি অন্য দেশে যাচ্ছেই। এছাড়া অলস তারল্য ক্রমেই বাড়ছে। জুলাই-ডিসেম্বরে আর্থিক নীতিতে যে সাড়ে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল সেটি অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সাড়ে ১১ শতাংশের মতো আছে। যদিও ঋণ গ্রহণ করে বাইরে থেকে বিনিয়োগের একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেটা হয়তো পুরনো ঋণ পরিশোধে ব্যবহূত হচ্ছে অথবা যে হারে ঋণ নেওয়া হচ্ছে সে হারে বিনিয়োগ হচ্ছে না।
মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমতির দিকে আছে; কিন্তু তা ঋণের সুদের ওপর ইতিবাচক তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। এছাড়া কু-ঋণ বা নন পারফরমিং যে ঋণ রয়েছে সেই ঋণের বোঝা এখন টানতে হচ্ছে। বর্তমানে যেসব ঋণ দেওয়া হচ্ছে সেগুলোরও যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। ব্যাংকিং খাতে এ ধরনের কু-ঋণ বাড়ছেই। বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম এবং ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাবেই এমনটি হচ্ছে। এসব কারণে ব্যাংকিং খাতে বড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেক ঋণ রি-শিডিউলিং করতে হচ্ছে এবং অনেক টাকা আটকে পড়ে আছে ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের আইন ও মামলা-মোকদ্দমার কারণে। এখানে বড় ধরনের সংস্কারের প্রয়োজন। সিপিডির পক্ষ থেকে ব্যাংকিং রিফর্মস কমিশন করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সে ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সুতরাং ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগকে চাঙ্গা করে জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়ে গেছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে সম্প্রতি প্রকাশিত গ্লোবাল ইন্টিগ্রিটি রিপোর্টে দেখা গেছে, আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এর পেছনে একাধিক কারণ আছে। যারা টাকা পাচার করছেন তারা হয়তো দেশে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন না। এ ছাড়া এর মধ্যে অনেক অবৈধ অর্থও রয়েছে। যারা দুর্নীতি করে তাদের অনেকেই দেশ থেকে এভাবে টাকা সরাচ্ছে। আরেকটি বিষয় হল, বিদ্যমান আইন যথাযথ প্রয়োগে দুর্বলতা। মানি লন্ডারিং আইন আছে; কিন্তু এর যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। এ আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
সবচেয়ে বড় কথা, দেশের বিনিয়োগ আবহটা যদি ভালো করা যায় তাহলে সংশ্লিষ্টরা হয়তো টাকা পাচার না করে বিনিয়োগ করবে। কারণ বাইরে টাকা পাঠানোতে অনেক ঝুঁকি আছে এবং ওই টাকা থেকে তেমন কোনো আয়ও হবে না। সেখানেও অনেকটা অলস পড়ে থাকবে। দেশে বিনিয়োগ করলে আয় করা যায়। সুুতরাং টাকা পাচার রোধে একদিকে যেমন আইনের যথাযথ প্রয়োগের দরকার, অন্যদিকে বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মতো কার্যক্রম নিতে হবে। বিশেষ করে অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিদ্যুত্ পরিস্থিতির উন্নতি, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানো-এগুলোতে জোর দেওয়া দরকার।
দেশে সার্বিক দিক দিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। ২০১৫ সালে আবার রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। আবারও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। বিনিয়োগবান্ধব আবহ তৈরি হওয়া রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপরই অনেকটা নির্ভর করবে। সে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটা যাতে ভালো হয় সেটার দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর নজর রাখা খুবই দরকার।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়ানো। এক্ষেত্রে নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে গতিশীল করা প্রয়োজন। সরকার নিজেই যেসব ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলেছে সেসব বিষয়ে কাজ করা দরকার।
যদিও আগের বছরের তুলনায় ২০১৪ সালে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অতটা খারাপ ছিল না, তারপরও দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসেনি। একটা গুমোট ভাব ছিল। অনেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। উদ্যোক্তারা দেশের পরিস্থিতি এখনও পর্যবেক্ষণ করছেন। অনিশ্চয়তা তো কাটেনি। সে দিক থেকে বিনিয়োগকারীরা এখনও শঙ্কায় রয়েছেন। উদ্যোক্তারা যে একটা মধ্যমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগোবেন সেটি করতে পারেননি। একই কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংসহ বিদেশি অনেক বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে এলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় তারা বিনিয়োগ না করে ফিরে গেছে। প্রকৃতই বাংলাদেশে সম্ভাবনা আছে এবং বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় বিশ্ববাজারে শূন্য শুল্কে পণ্য রফতানি করা যায়। এসব কারণেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ আছে। কিন্তু বড় বড় বিনিয়োগকারীরা দেখেন, বিনিয়োগ করতে গিয়ে নিষ্কণ্টক জমি পাওয়া যাবে কি না, কোনো সমস্যা হলে দ্রুত আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে কি না, রাজনৈতিক কোনো অনিশ্চয়তা আছে কি না, যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করবেন সেসব প্রতিষ্ঠান স্বল্প সময়ে তাদের সমস্যা দূর করতে পারবে কি না-এসব বিষয় তারা বিবেচনায় আনেন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এ জায়গাগুলোতে এখনও আমাদের অনেক দুর্বলতা রয়ে গেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য স্পেশাল ইকোনমিক জোন যদি করা যায় এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি শক্তিশালী করা যায় তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যে আগ্রহ আমরা দেখছি তার সুফল পাওয়া সম্ভব হবে।
গত কয়েক বছর ধরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। অর্থমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, আমরা ছয় শতাংশের ট্র্যাপের মধ্যে রয়েছি। অবকাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, সুশাসন-এ তিনটি খুবই জরুরি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য। এগুলো যদি করা যায় তাহলে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির যে পরবর্তী উদীয়মান ১১ দেশ হিসেবে দেখা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন করা যাবে। আমরা নিজেরাও আগামী ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত একটা মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি; কিন্তু এই লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে যে ধরনের উদ্যম, উদ্যোগ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, সুশাসন, পাবলিক পার্টনারশিপকে কাজে লাগিয়ে বড় অবকাঠামোগুলো নির্মাণ করা, ব্যবসা করার ব্যয় (কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস) কমানো, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করা দরকার। এগুলো যদি না করা হয় তাহলে যে সম্ভাবনার জানালা খুলেছে আমাদের সামনে তা কাজে লাগানো যাবে না। মনে রাখতে হবে, এ ধরনের সুযোগ সবসময় আসবে না। বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম এ ধরনের সুযোগগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে। আমরা যদি সংস্কারমূলক কাজগুলো করতে পারি তাহলে বিনিয়োগকারীরাও যেমন বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন, দেশ থেকে টাকা পাচারও কমবে, বাইরের যেসব বিনিয়োগকারী তারাও বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।
দেখা যাচ্ছে, সরকার যে বড় বড় প্রকল্প হাতে নেয় সেগুলোকে সঠিকভাবে এগিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না। মাঝপথে অনেক প্রকল্পের কাজ থেমে যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, অনেক প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে; কিন্তু কাজের অগ্রগতি তেমন হয় না। এর পেছনে মূল কারণ হল কাজের দক্ষতার অভাব। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে প্রকল্প পরিচালকের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং দক্ষতা দুটিই দরকার। এ ছাড়া নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে টেন্ডার কার্যক্রম পরিচালনা করা সব জায়গাতেই দুর্বলতা রয়ে গেছে। এসব কারণে প্রকল্প দীর্ঘায়িত হয়।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কমেছে। বিশেষ করে ফার্নেস অয়েলের দাম বেশ কমেছে। ফলে সরকারের ভর্তুকিতে খরচ বাঁচবে। এ ক্ষেত্রে গ্যাস, বিদ্যুত্, জ্বালানি সব মিলেই একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার ফলে দেশেও দাম কমানোর চেয়ে বিদ্যুত্, গ্যাস এবং জ্বালানি-এই তিনটাকে বিধান করেই সমন্বয় করা দরকার। যে দামটা কমেছে তা এই তিনটার মধ্যে একটা কৌশল নিয়ে বিতরণ করা উচিত। ভর্তুকির যে টাকা সাশ্রয় হচ্ছে তা নতুন রেল ইঞ্জিন, নতুন বিদ্যুত্ প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য একটি ডেডিকেটেড ফান্ড করে ওই অর্থকে কাজে লাগানো দরকার।
সম্প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। সরকারি কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং মেধাবীদের সরকারি চাকরিতে আনার জন্য এই বেতন বৃদ্ধির দরকার ছিল। বেতন বৃদ্ধির ফলে ১৮-২০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি লাগবে। তবে যদি মুদ্রা সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক থাকে তাহলে বড় কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও মনোস্তাত্ত্বিক একটা চাপ বাড়ে। দেখা যায় হঠাত্ করে বাড়িভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়-এসব ক্ষেত্রে যেসব আইন রয়েছে সেগুলো যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।
এ ছাড়া সরকারকে অবশ্যই রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। যাতে বেতন বৃদ্ধির ফলে যে চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে তা ভালোভাবে মোকাবেলা করা যায়। আর রাজস্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে নতুন নতুন খাত যুক্ত করা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে আগামী ৫ জানুয়ারি। এই এক বছরে আগের বছরের তুলনায় সামষ্টিক অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমের দিকে আছে। আমদানি কিছুটা বেড়েছে; কিন্তু বিনিয়োগ পরিস্থিতিকে চাঙ্গা করে প্রবৃদ্ধির ত্বরণ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে অনেক দুর্বলতা রয়ে গেছে। সুতরাং এখন কীভাবে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও বাড়িয়ে আরও বেশি কর্মসংস্থান করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। কেননা প্রতিবছর ২০ লাখ শিক্ষিত বেকার আসছে শ্রমবাজারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এখন আবার রাজনৈতিক অস্থিরতা ফিরে আসছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আবার যদি সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বিনিয়োগ, বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকর্ষণ করার সক্ষমতা, যেসব মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন-সবকিছুই আরও দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়বে। সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই সমঝোতার রাজনীতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে যেতে হবে। সেটা না হলে এই অনিশ্চয়তা দেশের বিনিয়োগের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে সম্ভাবনাগুলো এখন রয়েছে সেগুলো কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করবে।
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)