Published in the New Nation on 18, May 2017
Deep conspiracy alleged
336 RMG factories closed
Chittagong Bureau :
A deep conspiracy against the garments industry is feared and all should be united to foil it for the interest of the nation.
This was disclosed by First Vice President of BGMEA Moinuddin Ahmed Minto at a seminar on New Dynamism in Banglasdesh Garments sector jointly organised by BGMEA and CPD held at its regional office conference room on Monday. Following the measures taken by the Accord and Alliance on compliance issued after Rana Plaza disaster, about 1250 garments factories were closed down across the country and 360 factories in Chittagong.
The seminar was told that with the next measures of ILO, Govt and BGMEA , another 1549 factories are feared to be closed. He said to fulfill the target of 50 billions exports order on RMG after completion of half century of independence, we should change our policy to reorganise the RMG sector. He urges for positive role of the govt and the private sector to fulfill the vision.
Evil forces conspiring against RMG sector
“Even the banks are not doing enough to protect the RMG sector,” he said while addressing the seminar on Introduction to the CPD-RMG study titled “New Dynamics in Bangladesh RMG Sector: Restructuring, Upgradation and Compliance”.
Detailing the problems being faced by the RMG sector in Bangladesh, he said due to stringent compliant issues raised by the Accord and Alliance following the Rana Plaza disaster, some 1,250 garment factories including 336 in Chittagong have been closed.
Published in the Daily Samakal on 17, May 2017
প্রতিযোগিতায় টিকতে পোশাকে বৈচিত্র্য আনার তাগিদ
প্রফেসর মোস্তাফিজুর বলেন, রানা পল্গাজা দুর্ঘটনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে পোশাক খাতের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে নিবিড় গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববাজারে চাহিদার নিরীখে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি নতুন বাজারে কার্যক্রম বাড়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে শ্রমঘন শিল্প থেকে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক উৎপাদন কার্যক্রমে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিপিডি একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিযোগিতায় সক্ষম একটি তৈরি পোশাক খাত গঠনে সহায়তা করবে সিপিডির একার্যক্রম।
নগরীর খুলশীতে গার্মেন্টস রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিজিএমইএ ও সিপিডি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘নিউ ডাইনামিকস ইন বাংলাদেশ আরএমজি সেক্টর রিস্ট্রাকচারিং, আপগ্রেডেশন এন্ড কমপ্লায়েন্স এস্যুরেন্স’ শীর্ষক সেমিনারে মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু এসব কথা বলেন। বিজিএমইএ’র প্রথম সহ সভাপতি বলেন, বিশ্ববাজারে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে ৩৯ শতাংশ অবদান চীনের। আর বাংলাদেশের মাত্র ৬ শতাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমূল্যের মজুরির কারণে ২০২১ সালে তাদের অবদান কমে ২০ শতাংশে দাঁড়াবে। চীনের হারানো বাকি ১৯ শতাংশ বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ হয়ে আসবে। আমাদেরকে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে এখনই উদ্যোগী হতে হবে। গার্মেন্টস খাতের চলমান দুর্দশার কথা তুলে ধরে বিজিএমইএ’র এই নেতা বলেন, রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে একর্ড ও এলায়েন্সের গৃহীত পদক্ষেপে এ পর্যন্ত ১২শ ৫০টি গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে বন্ধ হয়েছে ৩৩৬টি গার্মেন্টস। আগামী দুই মাসের মধ্যে আইএলও, সরকার ও বিজিএমইএ’র ত্রিপক্ষীয় পরিদর্শন কাজ শুরু হলে ১৫৪৯টি গার্মেন্টস কারখানার অর্ধেকই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে আমাদেরকে আগামীর পথনকশা করতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ৫০ বিলিয়ন ডলার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি পূরণ করতে হলে আমাদেরকে পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাজারের প্রেক্ষিতে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় সব রকম প্রস্তুতি নিতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের ইতিবাচক ভূমিকার প্রত্যাশা করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তৈরি পোশাকের বিশ্ব বাজার ৪৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ২০২১ সালে তা এসে দাঁড়াবে ৬৫০ বিলিয়ন ডলারে। এ’প্রেক্ষিতে আমাদেরকে পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র ও নতুন বাজারে ব্যাপকভাবে রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা অর্জনে মনোনিবেশ করতে হবে।
সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার তৈরি পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমাদের যেমন পূর্ণ মনোনিবেশ করতে হবে তেমনি এর মধ্যে যাতে স্থানীয় মূল্য সংযোজন বেশি থাকে সেদিকেও নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের রানা প্লাজার ঘটনার পর বাংলাদেশ এই ধকল যেভাবে সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে, সেটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। গার্মেন্টস খাত এখন বড় ধরণের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকার, বিদেশি ক্রেতা ও উদ্যোক্তাগণকে নীতি পরামর্শ দিতে চাই। সেজন্যে সিপিডি তিনশ গার্মেন্টস কারখানা পরিদর্শন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য করণীয় ঠিক করতে গবেষণা শুরু করেছে। এজন্যে সংশ্লিষ্টদের যুক্ত করে উপদেষ্টা কমিটি করা হয়েছে। এখন গার্মেন্টস মালিকদের সহযোগিতা দরকার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, গার্মেন্টস শিল্প দীর্ঘদিন থেকে একক শিল্প হিসাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রানা প্লাজা পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৈরী পোশাক শিল্প খাতের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় করণীয় বিষয় গুলো নিয়ে নিবিড় গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে সিপিডি মনে করে। বিশ্ব বাজারে চাহিদার নিরীখে পণ্যে বৈচিত্র আমাদেরকে আনতে হবে। পাশাপাশি নতুন বাজার সমূহে আমাদের কার্যক্রম বাড়াতে হবে। সে’ক্ষেত্রে শ্রমঘন শিল্প থেকে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক উৎপাদন কার্যক্রমে যেতে হবে। সেমিনারের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিপিডি একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছে। ফ্যাক্টরি পর্যায়ে পরিবর্তন সম্পর্কে সমীক্ষা চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। এ তথ্য উপাত্ত থেকে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি তৈরি পোশাক খাত গঠনে সহায়তা করায় সিপিডি মুখ্য উদ্দেশ্য।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বিজিএমইএ’র প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি এম এ ছালাম ও এস এম আবু তৈয়ব, বিজিএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, বিজিএমইএ’র সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এফসিএমএ ও শওকত ওসমান প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্য রাখেন, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস।
সেমিনারে বিজিএমইএ’র পরিচালক কাজী মাহাবুবউদ্দিন জুয়েল, মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ মনসুর ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী, বিজিএমইএ প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব, বিজিএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক এস এম সাজেদুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান চৌধুরী, এ এম চৌধুরী সেলিম ও অঞ্জন শেখর দাস, জিআইজেড প্রতিনিধি মিসেস মনিরা রহমানসহ বিপুল সংখ্যক পোশাক শিল্প মালিক উপস্থিত ছিলেন।
Published in the Daily Inqilab on 17, May 2017
অশুভ শক্তির অপতৎপরতা গার্মেন্টসে অশনি সঙ্কেত
চট্টগ্রামে সেমিনার : রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য ও চীনের শূণ্যতা পূরণের তাগিদ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : অশুভ শক্তি দেশের গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে আছে। এই অশুভ শক্তির অপতৎপরতা গার্মেন্টস শিল্পের জন্য অশনি সঙ্কেত। দেশের বৃহত্তম এই রফতানিমুখী খাতকে বাঁচাতে হলে সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে একযোগে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। তাছাড়া গার্মেন্টস পণ্যে আরও বৈচিত্র্য আনা এবং চীনে গার্মেন্টস সামগ্রী উৎপাদন ও রফতানিতে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে তা পূরণে এখন থেকেই উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বিশিষ্ট আলোচকগণ উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় গার্মেন্টস শিল্প-মালিক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগÑসিপিডি’র যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে গার্মেন্টস শিল্পখাতে পরিবর্তনের নতুন মাত্রা সম্পর্কিত এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিডি’র অনারারি সম্মানিত ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববাজারে গার্মেন্টস পণ্য রফতানিতে ৩৯ শতাংশ অবদান চীনের। আর বাংলাদেশের মাত্র ৬ শতাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমূল্যের মজুরির কারণে ২০২১ সালে চীনের অবদান নেমে যাবে ২০ শতাংশে। চীনের হারানো অবশিষ্ট ১৯ শতাংশ বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের সুযোগ এনে দেবে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে এখনই উদ্যোগী হতে হবে। গার্মেন্টস খাতে বিরাজমান দুরবস্থা তুলে ধরে বিজিএমইএ নেতা বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে অ্যাকর্ড ও এলায়েন্সের গৃহীত পদক্ষেপে এ পর্যন্ত ১২শ’ ৫০টি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে আইএলও, সরকার ও বিজিএমইএ’র ত্রিপক্ষীয় পরিদর্শন কাজ শুরু হলে ১৫৪৯ টি কারখানার অর্ধেকই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে পথনির্দেশনা নিতে হবে। উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বাড়াতে মনোযোগী হতে হবে।
প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে যেমন পূর্ণ মনোনিবেশ করতে হবে, তেমনি এরমধ্যে যাতে স্থানীয় মূল্য সংযোজন বেশি থাকে সেদিকেও নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ঘটনার পর বাংলাদেশ এই ধকল যেভাবে সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে, সেটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। গার্মেন্টস খাত এখন বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, গার্মেন্টস শিল্প দীর্ঘদিন ধরে একক শিল্প হিসাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্ববাজারে চাহিদার নিরিখে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এর পাশাপাশি নতুন বাজারসমূহে কার্যক্রম বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান শ্রমঘন শিল্প থেকে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক উৎপাদন কার্যক্রমে যেতে হবে। সেমিনারে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, পরিচালক মাহাবুবউদ্দিন জুয়েল, মোহাম্মদ সাইফউল্লাহ মনসুর ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি এমএ ছালাম ও এসএম আবু তৈয়ব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।