Originally posted in খবরের কাগজ on 2 February 2024
সামষ্টিক অর্থনীতি যতক্ষণ পর্যন্ত স্থিতিশীল না হচ্ছে, ততক্ষণ নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর এই চাপ থাকবে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাড়িয়ে কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ফাও) বাংলাদেশে একটি সার্ভে করেছিল। সেখানেও তারা দেখিয়েছে, মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খরচ কাটছাঁট করছে। পুষ্টি-চাহিদা মেটাতে পারছে না। সরকারও যে বসে আছে তা নয়। এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকেই তো এর বাইরে রয়ে গেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির শিকার। স্থিতিশীলতা যতক্ষণ না আসবে, ততক্ষণ এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। আমরা যদি আরও কর্মসংস্থান দিতে পারতাম, তাহলে দাম বাড়লেও অবস্থার অবনমন রোধ করতে পারতাম।
মূল বিষয় হচ্ছে, আমরা মানুষের আয় বাড়াতে পারছি কি না। আয় বাড়াতে পারলে দাম বাড়লেও সমস্যা হয় না। স্বাধীনতার পর চালের যে দাম ছিল, সেই তুলনায় এখন দাম অনেক বেশি। তার পরও মানুষ কিনতে পারে। কারণ মানুষের আয় সেই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। আয়বর্ধক কর্মসূচি না থাকায় মানুষের ওপর চাপ পড়ছে। এর সঙ্গে রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীর প্রভাব ও বাজার কারসাজি।
বিশেষ ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)