Published in আমাদের নতুন সময় on Thursday 25 June 2020
একজন প্রবাসীর হয়তো এটিই শেষ রেমিটেন্স যাতে দেশের রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, সৌদি আরব প্রবাসী শ্রমিকদের ছাঁটাই শুরু করেছে। দেশে প্রতিদিনই কর্মচ্যূত প্রবাসীরা আসছেন। তারা জীবনের সবটুকু সঞ্চয় নিয়েই দেশে আসছেন। তাই রেমিটেন্স পাঠানো কোভিড কালেও ভাল ছিল। তা ছাড়া নিজেরা কষ্টে থেকেও ঈদে পরিবারের জন্য কিছু পাঠায় প্রবাসী শ্রমিকরা। সব মিলিয়ে রেমিটেন্স আরও দুই এক মাস হয়তো ভাল যাবে। কিন্তু এই ভাল আসলে ভাল নয়।
অর্থনীতিবিদ. ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে আমদানি রপ্তানি দুটিই কমে গেছে। আগে রপ্তানির বিপরিতে আমদানি হতো। এখন যেহেতু গার্মেন্ট রফতানি কম তাই আমদানিও কম হচ্ছে তাতেও রিজার্ভ বাড়ছে। তিনি বলেন, বিদেশি ঋণগুলো ছাড় করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে বিশ্ব ব্যাংক আইএমএফ, এডিবি। ঋণ বেড়ে রফতানি কমে রেমিটেন্স বৃদ্ধি খুব একটা সুখের বিষয় নয়।
রেমিটেন্স বৃদ্ধির হিসাবটা মোটামোটি হলো, গত বছর ৩০৪ কোটি ডলারের রফতানির বিপরিতে এ বছর একই সময়ে ৫২ কোটি ডলারের রফতানি। ৫২৬ কোটি ডলারে আমদানির বিপরীতে একই সময়ে ২৮৫ কোটির আমদানি। আর এই সময়ে দেশের ঘাড়ে আড়াই বিলিয়ন ডলারের ঋণ। এই ভাবেই দেশের রিজার্ভ ৩৫ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন হয়েছে।