Published in দৈনিক সংগ্রাম on Sunday, 24 December 2017
ব্যাংকের এত ঋণ যাচ্ছে কোথায়?
বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু দেশে দৃশ্যমান বড় কোন বিনিয়োগ নেই। বাড়েনি কর্ম সংস্থান উল্টো বেড়েছে বেকারত্ব। প্রশ্ন হলো এত ব্যাংক ঋণ যাচ্ছে কোথায়? কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের ঠিক এই সময়ের তুলনায় শতাংশের হিসাবে এ খাতে ঋণ দেয়ার হার বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ।
বেসরকারিখাতে ঋণ বিতরণের এমন চিত্রে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বিদেশে অর্থপাচার বা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, বড় মাপের ঋণ খেলাপিরা মূলত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইচ্ছা করেই খেলাপি হয়।
তারা বলছেন, ঋণ নেয়া হয় সাধারণত বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে। বিনিয়োগ হলে অর্থনীতির জন্য সুখবর। কিন্তু বিনিয়োগ না হয়ে ঋণের অর্থ যদি পাচার হয়ে যায় তাহলে তা দেশের অর্থনীতির জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনবে। তাই এসব অর্থ কোথায় যাচ্ছে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খুঁজে বের করতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, প্রতি বছর ৬ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। অথচ প্রতি বছর কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় ২১ লাখ। সে হিসাবে এক বছরে দেশে প্রায় ১১ লাখ বেকার মানুষ বাড়ছে। এর বেশির ভাগই শিক্ষিত যুবক। যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় বোঝা বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। যা ২০১৬ সালের একই সময়ে ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের শুরুতে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গত অর্থবছর শেষে (জুন, ২০১৭) ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত এ খাতে প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তবে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণের এই প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক বলা হলেও মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগই (বন্যা, হাওড় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ) মূল্যস্ফীতির মূল কারণ।
এছাড়া আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত কমছে এবং টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতার সামর্থ্য বাড়বে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, বসুন্ধরা অয়েল এন্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (বিওজিসিএল) স্থাপনে বসুন্ধরা গ্রুপ ৬ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে। এই ঋণ বিতরণ হলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।
এই ধরনের ঋণ বিতরণের হার আরো বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, ঋণ বিতরণ বাড়লে বিনিয়োগ বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। বিনিয়োগ বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর। বর্তমান সরকার যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে, বিশেষ করে অবকাঠামোর উন্নয়নে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা দৃশ্যমান হলে বিনিয়োগ বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।
ঋণ বিতরণ বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগের বাইরে অন্য কোনো আশঙ্কা থাকতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আগের চেয়ে অনেক সতর্ক। তবে অনেকে ঋণ নেয় ব্যবসার জন্য। কিন্তু গ্যাস সংকট কিংবা অন্য কোনো কারণে তার ব্যবসা সফল নাও হতে পারে। তখন তারা খেলাপি হয়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে প্রকৃত কারণ খুঁজে ঋণদাতা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারে।
কিন্তু যারা খেলাপি হওয়ার পূর্ব পরিকল্পনায় ঋণ নেয়, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। কারণ বড় মাপের খেলাপি যারা তারা মূলত ইচ্ছা করেই খেলাপি হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি আরো বলেন, অর্থ ঋণ আদালতের মত ব্যাংক খাতেও খেলাপিদের বিচার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে আইন করা উচিত। আর এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে এসব অন্যায় কমে আসবে।
বেসরকারি খাতে ঋণের অর্থের স্থায়ী গন্তব্য খুঁজে বের করা দরকার বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ বছর ঋণ বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে। তবে দেখতে হবে, এই ঋণগুলো কোথায় ব্যবহার হচ্ছে? শুধু ব্যবসায় ব্যবহার হচ্ছে না কি আমদানির আড়ালে অর্থ পাচার হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এর পেছনে যুক্তি দেখিয়ে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঋণের অর্থ বিনিয়োগ হলে তা অর্থনীতির জন্য ভাল। কিন্তু বিনিয়োগকে জিডিপির আনুপাতিক হারে দেখলে দেখা যায় ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ ২১ থেকে ২২ শতাংশের মধ্যে রয়ে গেছে।
২০০৯-১০ অর্থবছর বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৪ দশমিক ২৪ শতাংশ, ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং পরের দুই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয় ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ।
২০১৩ সালের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বেসরকারি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে ২০১৫ সালের শুরুতে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় বেসরকারি খাত আবার চাঙ্গা হতে থাকে। এ সময় ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশ থাকলেও ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশে। আর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি হয় ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং মার্চে প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, প্রতি বছর ৬ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। অথচ প্রতি বছর কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় ২১ লাখ। সে হিসাবে এক বছরে দেশে প্রায় ১১ লাখ বেকার মানুষ বাড়ছে। এর বেশির ভাগই শিক্ষিত যুবক। যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় বোঝা বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
বিবিএসের তথ্যমতে, এর আগে টানা দুই বছর (২০১৩-১৪ ও ১৪-১৫ অর্থবছর) দেশে কর্মসংস্থান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ দুই বছরে মাত্র ৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এরপর ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও আশানুরূপ কর্মসংস্থান হয়নি দেশে। এমনকি বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশি শ্রমবাজার চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। কর্মসংস্থানের এ খরা কাটাতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন পরিকল্পনাও নিয়েছেন। কিন্তু এর জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি নতুন অর্থবছরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাও পরিষ্কার নয়। তবে আগামী বছর কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বরাবরের মতো ব্যক্তি খাতকেই গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, গত জুনে অর্থবিভাগ থেকে প্রকাশিত আগামী তিন বছরের জন্য মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি-বিবৃতি শীর্ষক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কর্মসংস্থানের জন্য ৬ দফা কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পরিকল্পনাগুলো হলো আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যক্তি উদ্যোগের স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশকে উৎসাহিত করে বেকারত্ব দূর করা। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা।
বিদেশের শ্রমবাজারকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য উপযোগী করা। এর জন্য প্রয়োজনে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো হবে। বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন দূতাবাস খোলা হবে এবং সরকারি খাতে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ৬টি পরিকল্পনার কোনোটিই অবশ্য নতুন কোনো উদ্যোগ নয়। এসব উদ্যোগ ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও ছিল। তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জন করতে হলে এসব পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই বলে অর্থ বিভাগের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ দুই বছরে মাত্র ৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে প্রতি বছরে ৩ লাখ মানুষ চাকরি বা কাজ পেয়েছে। অথচ এ সময়ে দেশের কর্মবাজারে প্রবেশ করেছে প্রায় ২১ লাখ মানুষ।
সে হিসাবে দেশে দুই বছরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ৩৬ লাখ। এর আগে ২০০২-০৩ থেকে ২০১২-১৩ পর্যন্ত প্রতি অর্থবছর চাকরি বা কাজ পেয়েছিল ১৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। এদিকে আইএলওর প্রকাশিত জানুয়ারি, ২০১৭-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদায়ী বছরেও (২০১৬) আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের হার কমেছে। চলতি বছরও কমবে। শুধু তাই নয়, পরের দুই বছর ২০১৯ সাল পর্যন্ত শ্রমবাজার ও চাকরির বাজার সংকুচিত হবে বাংলাদেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশে কর্মসংস্থান কমবে ৪ দশমিক ২ শতাংশ হারে। এ ছাড়া ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কমবে ৪ শতাংশ হারে।
বিবিএসের সর্বশেষ প্রকাশিত (২০১৫ সালের অক্টোবরে) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এখনো কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এ খাতে ৪৫ ভাগ মানুষের কর্মস্থান হচ্ছে। এরপর সেবা খাতে ৩৪ ও শিল্প খাতে ২১ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। কিন্তু আগামী বছরগুলোয় কৃষি খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি বা এ খাতের বিকাশে কী ধরনের সহায়তা দেয়া হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি তিন বছর মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনায়।
সরকার বলছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এলএনজি টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। তখন বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় গ্যাস আমদানি করা হবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর দেশে গ্যাসের কোনো সংকট থাকবে না। ফলে তখন কর্মসংস্থানও বাড়বে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে হবে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে। তবে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে সরকারি বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলাসহ বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত কিছুর পরে দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। তাহলে বেসরকারি খাতের এত ঋণে কোথায় যাচ্ছে। বিনিয়োগের চাঙ্গাভাব এখনও দৃশ্যমান নয়। তাহলে ঋণ নিয়ে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা কি করছেন। এ টাকা বিনিয়োগ করছেন না কি পাচার করছেন। কিন্তু এসব প্রশ্নের কোন জবাব নেই। আসলে দেশের অর্থনীতির গতিবিধি বুঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারের বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।