Originally posted in সময়ের আলো on 15 February 2024
ক্ষতে কাতর ব্যাংক খাত
ব্যাংক খাতের ক্ষতগুলো আরও গভীর হচ্ছে। খেলাপি ঋণ নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা হলেও তা কমছে তো না-ই, উল্টো আরও বাড়ছে। সুদের হার বাড়ানোর পরও এখনও ব্যাংকের আমানত পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। ব্যাংকার-গ্রাহক জোগসাজশে বেনামে ঋণ নেওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। ডলারের বাজারে যে অস্থিরতা চলছে তাও নিরসনের কোনো লক্ষণ নেই।
ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় এলসি খুলতে পারছেন না ডলার সংকটের কারণে। এর মধ্যেই অনেক ব্যাংক ডলার ধরে রেখে অন্যায্য বাণিজ্য করছে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও নিয়েছে। তবে পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মুদ্রার বিনিময় হার ধরে রাখা, সুদের হার বেঁধে দেওয়াসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভুল কিছু সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাংকিং খাতে সংকটটা আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে। দেরিতে হলেও এখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে পদক্ষেপগুলোর সফলতা নির্ভর করছে কতটা নির্মোহভাবে ও চাপমুক্ত থেকে সেসব বাংলাদেশ ব্যাংক বাস্তবায়ন করতে পারবে, তার ওপর।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, ব্যাংক খাতে এখন সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে লাগামছাড়া খেলাপি ঋণ। এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালকের সঙ্গে জোগসাজশ করে নামে-বেনামে ঋণ নেওয়া, ব্যাংকিং চানেল কিংবা অন্য কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাচার করা, আমানতের হার বৃদ্ধি না পাওয়া, ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা না আসা-এগুলোই এখন খাতটির বড় সংকট। তবে সম্প্রতি এসব সংকট দূর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এর আগেও শৃঙ্খলা ফেরাতে সাহসী অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় বা ওপরের চাপে সেসব বাস্তবায়ন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
লাগাম টানা যাচ্ছে না খেলাপি ঋণের
ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বড় বিষফোড়া খেলাপি ঋণের লাগাম টানা যাচ্ছে না। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ-সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৯ শতাংশ।
এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ নিয়ে ২০২৩ সাল শুরু হয়। মার্চে এর পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) খেলাপি ঋণ বাড়ে ১০ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। পরের প্রান্তিক জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায়। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) খেলাপি ঋণ বাড়ে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এসে খেলাপি হওয়ার পরিমাণ কিছুটা কমে। আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৬৪২ কোটি টাকা কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকায়।
তবে খেলাপি ঋণের যে তথ্য দেখানো হয় তার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ এখানে ঋণ পুনর্গঠন-পুনঃতফসিলসহ মামলায় স্থগিত হওয়া অনেক খেলাপি ঋণের তথ্য নেই। তার মানে আন্তর্জাতিক নিয়মে খেলাপি ঋণের হিসাব করলে এ অঙ্ক আরও বেশি। সার্বিক হিসাবে পুরো বছরে (২০২৩ সালে) ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
অর্থনীতি বিশ্লেষক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া কোনো মতেই কাম্য নয়। এটি বাড়লে ব্যাংক খাত নিয়ে নেতিবাচক প্রশ্ন ওঠে। এতে আমানতকারীদের অর্থের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাশাপাশি জমানো টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। খেলাপি ঋণের যে তথ্য দেখানো হয় তার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে ব্যাংকগুলো
দেশের অধিকাংশ ব্যাংক নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ৭টি ব্যাংক ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন রাখতে পারেনি। ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ২৪ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি ব্যাংকে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। এই ঋণ কম দেখাতে বিদ্যমান পরিমাণের বাইরে বিরাট অংকের ঋণ রাইট অফ (অবলোপন) করা হচ্ছে, যেটা ব্যালান্স শিটে অন্তর্ভুক্ত থাকছে না।
ব্যাংকগুলোকে পরিচালন মুনাফার শূন্য দশমিক ৫ থেকে ৫ শতাংশ সাধারণ ক্যাটাগরির ঋণের বিপরীতে প্রভিশন হিসেবে রাখতে হয়। আর নিম্নমানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ এবং সন্দেহজনক খেলাপি ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ৫০ শতাংশ। তবে প্রতিটি ব্যাংকের জন্য মন্দ বা লোকসান ক্যাটাগরির খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ বা শতভাগ প্রভিশন আলাদা করে রাখার বিধান রয়েছে। প্রভিশন ঘাটতি একটি ব্যাংকের জন্য অশনি সংকেত। কারণ প্রভিশন ঘাটতি ব্যাংকগুলোর দুর্বল আর্থিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে, যা উচ্চ খেলাপি ঋণের ফল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা সরকারি-বেসরকারি ৭টি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। কিছু ব্যাংকে প্রভিশন উদ্বৃত্ত রাখায় ব্যাংক খাতের সার্বিক প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ১৯ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। তবে আগের প্রান্তিকের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গত সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতের সার্বিক প্রভিশন ঘাটতি ছিল ২৫ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। সে হিসাবে ৩ মাসের ব্যবধানে ঘাটতি কমেছে ৬ হাজার ১০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। বিতরণ করা এসব ঋণের মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের ৯ শতাংশ খেলাপি। এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণ আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছে ব্যাংক। মন্দ ঋণ দিন দিন বাড়ছে। এসব ঋণে শতভাগ প্রভিশন রাখতে করতে হয়। খেলাপি দূর করতে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রহীতা ও দাতার ক্ষেত্রে একইভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। আরও কঠোর হতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। একইভাবে প্রভিশন রাখতে না পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকির ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
বাড়ছে ব্যাংক খাতের লুটপাট
গত ডিসেম্বরে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) তাদের পর্যালোচনায় জানিয়েছিল, গত ১৫ বছরে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। সিপিডি জানায়, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল-এই ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ছোট-বড় ২৪টি অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। ব্যাংক খাত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে বের করে নেওয়া এ অর্থ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১২ শতাংশের বেশি। সিপিডির পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতের লুটপাট পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি এখনও।
দুর্বল ব্যাংককে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার চিন্তা
এদিকে দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চায়, দুর্বল ব্যাংকগুলো ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনা এখনই শুরু করুক। সম্প্রতি দেশের সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় এ পরামর্শ দেন গভর্নর। বৈঠকে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বৈঠকে বলেছিলেন, দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৪০টির মতো ব্যাংক ভালো অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ৮-১০টি ব্যাংক একীভূত হতে পারে। এ জন্য ভালো ও দুর্বল ব্যাংকের এমডিদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু পদক্ষেপ
ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে-ব্যাংক পরিচালকের ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর করার সিদ্ধান্ত। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালক পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য যোগ্যতা ও উপযুক্ততা নির্ধারণ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে অন্যূন ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার কোনো কাজের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালকদের যোগ্যতা সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হতে পারবেন না কিংবা কোনো জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বা জড়িত নন, এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে। তার সম্পর্কে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকতে পারবে না; আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিধিমালা, প্রবিধান, নীতিমালা বা নিয়মাচার লঙ্ঘনের কারণে দণ্ডিত হওয়া যাবে না।
ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনা ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে পথনকশা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণের হার ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। পাশাপাশি ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে সীমার বাইরে দেওয়া ঋণ, বেনামি স্বার্থসংশ্লিষ্ট ঋণ এবং জালিয়াতি/প্রতারণার মাধ্যমে দেওয়া ঋণ কমিয়ে শূন্যে আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত রোববার এই পরিকল্পনা অনুমোদন হয়েছে।
ঋণখেলাপিদের ক্ষেত্রে বাড়ি-গাড়ি কেনায় কড়াকড়ি
এদিকে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ না করলে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব ঋণখেলাপিরা বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। তারা নতুন করে জমি বাড়ি-গাড়ি কিনতে পারবেন না। নতুন ব্যবসাও খুলতে পারবেন না তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।