নতুন মজুরি কাঠামো আগের চেয়ে বেশি দুর্বল হয়েছে – খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম

Published in বণিকবার্তা on Friday, 14 September 2018

প্রথমত. মজুরির যে সমন্বয়টা হয়েছে, সেটা শ্রমিকদের ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। শ্রমিকদের যে প্রত্যাশা, বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি সিপিডিরও যে প্রস্তাবনা ১০ হাজার ২৮ টাকা, তারও অনেক নিচে ৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। এটা আরো ঊর্ধ্বে সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে। যেহেতু এখনো এটা প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে, মজুরি পর্যালোচনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এখনো আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং ও প্রজ্ঞাপন হিসেবে জারির কিছু পর্যায় রয়েছে; আমার মনে হয়, এখনো সমন্বয়ের সুযোগ রয়েছে। এর আগেও আমরা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মজুরি বৃদ্ধির উদাহরণ দেখেছি। এ পর্যায়েও তাই প্রত্যাশা করব যে, শ্রমিকদের ন্যূনতম চাহিদার নিরিখে ১০ হাজার ২৮ টাকার আমাদের যে প্রস্তাব, সেটিও বিবেচনায় নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে যেন হস্তক্ষেপ করা হয়। বৈশ্বিক ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কম্বোডিয়ায় নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে দেশটির সরকার তাদের শ্রমিকদের মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও নির্বাচনের বছর শ্রমিকদের বিষয়টিকে যদি বিশেষভাবে বিবেচনায় নেয়া হয়, তাহলেও এখানে সমন্বয়ের সুযোগ আছে। পাশাপাশি সরকার ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে যতটা ছাড় দিয়ে থাকে, সে বিবেচনায় ন্যূনতম মজুরি আরো উপরে সমন্বয়ের যৌক্তিকতা রয়েছে। আরেকটা বিষয় হলো, এবারের মজুরি কাঠামোটি আগের কাঠামো থেকে আরো বেশি দুর্বলতর হয়েছে। কারণ মূল মজুরি আগের চেয়েও কমিয়ে দেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের ওভারটাইম বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষণা পরিচালক, সিপিডি