Originally posted in বণিক বার্তা on 8 March 2024
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এর আগে ছিলেন বিআইডিএসে। পরিচালক পদে কাজ করেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক ও এসএমই ফাউন্ডেশনে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা খাতবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জাতীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন এ গবেষক। আজকের গল্প তাকে নিয়েই। লিখেছেন ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া
ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন। পরিবারের চাওয়া ছিল মেয়ে চিকিৎসক হোক। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভর্তি হননি। উচ্চ শিক্ষার জন্য বেছে নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে। পড়েছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা করার জন্য যোগ দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে (বিআইডিএস)। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) থেকে ডিশটিংশন বিষয়ে মাস্টার্স করেন। সেখান থেকেই পিএইচডি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক্টরাল সম্পন্ন করেন। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতিবিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ড. ফাহমিদা খাতুন। ২০১৭ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে।
ড. ফাহমিদা খাতুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন কমিটির (আঙ্কটাড) প্রডাক্টিভ ক্যাপাসিটি-বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গভর্নিং বডির সদস্য।
ইউএনডিপিতে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও ইউএসএআইডিতে অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেছেন। ভিজিটিং ফেলো ছিলেন নরওয়ের ক্রিশ্চিয়ান মিকেলসেন ইনস্টিটিউট, ভারতের সেন্টার ফর স্টাডি অব সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড পলিসিতে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেডে। তিনি বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য গঠিত অর্থনীতিবিদদের প্যানেলের সদস্য ছিলেন। ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সময়কালে তিনি জি-টোয়েন্টির অধীনে টি-টোয়েন্টির এসডিজি ত্বরান্বিত করা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফাহমিদা খাতুন মনে করেন তার জীবনে একটি বড় প্রভাব ফেলেছে ছেলেবেলার পরিবেশ। বাবার চাকরিসূত্রে তার বেড়ে ওঠা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা ও সংস্কৃতিময় একটি পরিবেশ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তার অনুপ্রেরণা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি লক্ষ্য পরিবর্তন করেন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু ভালো ফল করলেই হয় না। অনেক সময়ই রাজনৈতিক বিষয় প্রধান হয়ে দাঁড়ায়।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় বিআইডিএসের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন পড়তেন ফাহমিদা খাতুন। প্রায়ই প্রতিষ্ঠানটির লাইব্রেরিতেও যেতেন। এ সময় দেশের প্রথম সারির অর্থনীতিবিদদের গবেষকদের গবেষণা দেখে সিদ্ধান্ত নেন নিজেও গবেষক হবেন। এ আগ্রহ থেকেই বিআইডিএসের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে যোগ দেন। প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদানের পর ফাহমিদা খাতুনের প্রচেষ্টা ছিল নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করে তোলা। চাকরিতে যোগদানের পর ১৯৯১ সালে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে লন্ডনে যান তিনি। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি সম্পন্ন করে ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ ইনস্টিটিউটে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন তিনি। সেখানে অর্থনীতিবিদ ও জাতিসংঘের নীতি-পরামর্শক অধ্যাপক জেফরি স্যাক্সের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন ও আইসিটি নিয়ে কাজ করেন।
বিআইডিএসে যোগদানের পর নিজেকে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি ড. ফাহমিদা খাতুন। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ছুটি নিয়ে কিছুদিন ইউএনডিপি ও ইউএসএআইডিতে কাজ করেন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা আহরণের জন্য। এরপর আবার যোগ দেন বিআইডিএসে। ২০০২ সালের শেষে যোগ দেন সিপিডিতে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বাইরেও তিনি পরিচালক হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক ও এসএমই ফাউন্ডেশনে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা খাতবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশবান্ধব পণ্য চিহ্নিতকরণ-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের বৈদেশিক সাহায্যের কার্যকারিতা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। সরকারের প্রতিনিধি দলের হয়ে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক বিভিন্ন সভায়ও যোগ দিয়েছেন।
কর্মজীবনে উচ্চ অবস্থানে পৌঁছাতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করতে হয়েছে ফাহমিদা খাতুনকে। ফাহমিদা খাতুনের মতে জীবনে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল সন্তান জন্মদানের পরবর্তী সময়টা। ওই সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘মাতৃত্বের সময়টা মেয়েদের জীবনের একটি বিশেষ সময়। আমি ওই সময়ে আমার কাজ অব্যাহত রেখেছিলাম। কিন্তু অনেক সময় একটা খারাপ লাগা কাজ করত এই ভেবে যে সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছি কিনা। তবে আমার জীবনসঙ্গী এবং পরিবারের সদস্যরা এ সময়টায় আমাকে অত্যন্ত সহযোগিতা করেছেন।’
দেশে বর্তমানে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করেন ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সমাজে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে নারীর শিক্ষা গ্রহণ এবং কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের বিষয়ে সমর্থন বেড়েছে। এখন কোনো নারী পড়ালেখা শেষে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করলে তার পরিবার তাকে সমর্থন দেয়। যেসব কর্মজীবী নারী সদ্য মা হন, তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তানের দেখাশোনায় আপনজনরা পাশে থাকেন।’
দেশের সব শ্রেণীর নারীদের সামনে এগিয়ে নিতে নারী শিক্ষায় আরো বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে সবার অর্থনৈতিক সক্ষমতা এক নয়। একটি পর্যায় পর্যন্ত নারীরা সরকারি অর্থায়নে পড়ালেখা করছে। কিন্তু এরপর তারা কীভাবে পড়বে, কী করবে? শ্রমবাজারের জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করবে? যার অর্থনৈতিক সক্ষমতা আছে, সে পরবর্তী ধাপগুলো পার করতে পারে। কিন্তু যার অর্থনৈতিক সক্ষমতা থাকে না, সে একটা পর্যায়ে এসে থেমে যায়। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে এবং সবাই যেন নিজেকে কর্মক্ষেত্রের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারে এ উদ্যোগ নিতে হবে। আর এজন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে, কাজের সুযোগ বাড়াতে হবে।’
শ্রম খাতে অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর প্রতি এখনো অনেক বৈষম্যমূলক আচরণ রয়েছে বলে অভিমত ফাহমিদা খাতুনের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। কিন্তু লক্ষ করলে দেখা যায়, এর অধিকাংশই অনানুষ্ঠানিক খাত কিংবা খুব স্বল্প বেতনের চাকরি। তাদের কাজের নিশ্চয়তা নেই। এখনো সভাগুলোয় দেখা যায় পুরুষরাই বেশি মতামত দেন, কোনো নারী কথা বললেও খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হয় না। এটি ইচ্ছে করে করা হয়, এমন নয়। আসলে এটি একটি মনোজগতে গ্রোথিত হয়ে গেছে। এমনকি আমরা যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করি, তাদের কাছে মতামতের জন্য অধিকাংশ সময় আসা হয় তখনই, যখন নারী সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় থাকে। অন্যথায় সাধারণত খুব একটা আমাদের কাছে আসা হয় না। অথচ এমন কিন্তু নয় যে নারী বিষয়ে আমার বিশেষজ্ঞ জ্ঞান আছে বা নারী নিয়ে আমি গবেষণা করেছি। আমি অবশ্যই নারী বিষয়ে জানি। কিন্তু আমি তো অর্থনীতির অন্যান্য বিষয় নিয়েও গবেষণা করি। একইভাবে বেশির ভাগ সভা-সেমিনারে দেখবেন, বক্তাদের সবাই পুরুষ থাকেন। অথচ অনেক যোগ্য নারীও কিন্তু রয়েছেন। কিন্তু আমরা কষ্ট করে খুঁজতে চাই না। মেয়েদের সুযোগ করে দিতে আমাদের অনেক অনীহা। এ বিষয়গুলোয় আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। সব পর্যায়েই যেন নারী তার যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে সচেতন নাগরিকদের।’
ফাহমিদা খাতুনের মতে, নারীর সামনে এগিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নারীর আত্মবিশ্বাস ও প্রচেষ্টা। এছাড়া রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার—এই তিনটি জায়গা থেকেই সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি বড় সমস্যা নারীর নিরাপত্তা। প্রতিনিয়ত নারীরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে, অথচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিচার হচ্ছে না। অনেকে বলেন, নতুন আইন দরকার, কিন্তু আমি বলব, যে আইন রয়েছে সেগুলোরই প্রয়োগ হচ্ছে না। নারীর সামনে এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করতে অবশ্যই তাদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকে। এছাড়া একজন নারীর সামনে এগিয়ে যেতে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সহযোগিতা পেলে নারী কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবন সহজেই সমন্বয় করতে পারে। বিশেষ করে জীবনসঙ্গীর সহমর্মিতা ও সহযোগিতা খুবই দরকার। পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। অনেক সময় রাষ্ট্র ও পরিবার ইতিবাচক হলেও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যেমন প্রায়ই দেখা যায় একজন নারী পড়ালেখা শেষে কর্মজীবনে প্রবেশ করলে তাকে প্রশ্ন শুনতে হয়, কবে বিয়ে করবে। বিয়ে করলে প্রশ্ন করা হয় কবে সন্তান নেবে। অথচ এ বিষয়গুলো তার ব্যক্তিগত জীবনের অংশ এবং এ ধরনের প্রশ্ন একধরনের মানসিক যন্ত্রণা তৈরি করে। এ কারণে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির এ জায়গা নারীর জন্য ইতিবাচক হওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে এবং সমাধিকার নিশ্চিতে পারিবারিক শিক্ষায় জোর দেয়ার পরামর্শ ফাহমিদা খাতুনের। তিনি বলেন, ‘সন্তানদের এমনভাবে বড় করতে হবে যেন তারা পারস্পরিক সম্মানবোধের বিষয়ে সচেতন হয়। তারা যেন একজন ব্যক্তিকে জেন্ডার দিয়ে বিবেচনা না করে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে, তাহলে এ ধরনের সহিংসতা কমে আসবে।’
দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি ফাহমিদা খাতুনের পরামর্শ হলো, প্রযুক্তিচর্চার পাশাপাশি তারা যেন ইতিহাস ও সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত স্মার্ট। জীবনে উন্নতি করতে হলে তাদের অবশ্যই পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। তবে তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, তারা যেন প্রযুক্তিগত চর্চা করতে গিয়ে ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে দূরে সরিয়ে না দেয়। কারণ এগুলো দূরে সরিয়ে দিলে জীবনে শুধু ছুটে চলাই হবে, কিন্তু মানুষে মানুষে যে বন্ধন, সেটি হারিয়ে যাবে। এছাড়া আমরা সবসময়ই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের কথা বলি। এ দায়িত্বও তরুণ প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের মাধ্যমে সমাজের সমস্যা, বৈষম্য ও অনিয়ম দূর করতে হবে।’