Originally posted in আমাদের সময় on 30 June 2021
বাজেট যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখনতো কিছু করার নেই। ২০২১-২২ সালের বাজেটের জন্য যে বিষয়গুলো বলেছিলাম, সেগুলোর উল্টোটাই হয়েছে। যেমন কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি সরকার আরো জোরালো করেছে। এবার আরো কিছু প্রস্তাব রাখছি যাতে বাজেট বাস্তবায়ন স্বচ্ছ হয়। বুধবার (৩০ জুন) ২০২১-২২ সালের বাজেট সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি বাজেট বাস্তবায়নে মোট ৭ দফা প্রস্তাব করেন। প্রথমতো তিনি বলেন, ৩ মাস অন্তর বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে একটি বিবৃতি দেন। এটি অনেক দিন হলো হয় না। এটি যাতে নিয়মিত হয়। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে যাতে বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। সংসদীয় কমিটি গুলোর বৈঠকও যাতে নিয়মিত হয়। আইএমইডি বার্ষিক উন্নয়ণ কর্মসূচির রিপোর্ট যাতে নিয়মিত ও সময় মতো দেয় তাও নিশ্চিত করতে হবে। তাদের উন্নয়ণ প্রকল্পের মূল্যায়ণ যাতে ফলাফলভিত্তিক হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। চতুর্থত অতিমারিতে গরীব মানুষদের নগদ সহায়তা যাতে আরো বৃদ্ধি করা হয়। একইসঙ্গে গরীব মানুষদের যে প্রত্যক্ষ সহায়তা দেয়া হয়েছে তার একটি মূল্যায়ণ রিপোর্ট যেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। পঞ্চমত আজ থেকেই নতুন দরিদ্র, গরীব, বেকার সবার জন্য খাদ্য সহায়তা জোরদার করতে হবে। এই কাজে সরকার এনজিওদের সহায়তা নিয়ে কাজটি করতে পারে। ৬ষ্ঠত এই বাজেটে করোনার তৃতীয় ধাক্কার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। কিন্তু তৃতীয় ধাক্কা এখন বাস্তবতা। করোনা কত দিন স্থায়ী হয় তার বিষয়ে বিশ্বব্যাপি কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশে টিকাকরণও সন্তুষজনক নয়। এই অবস্থায় সরকারের প্রয়োজন রয়েছে আরো একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার। যেখানে ঋণ নির্ভর প্রণোদণার চেয়েও বেশি প্রণোদার দরকার রয়েছে প্রত্যক্ষ্য সহায়তায়। সপ্তমত রাজস্ব বোর্ড যাতে রাজস্ব আয়ের হিসাবটি প্রতিমাসেই প্রকাশ করে।