সাম্প্রতিক ঘটনা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনে আশঙ্কা তৈরি করেছে – ড. মোয়াজ্জেম

Originally posted in দৈনিক ইনকিলাব on 1 August 2024

কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, শিল্প-বাণিজ্যে ভাটা, বিদেশে নেতিবাচক প্রভাব কারফিউয়ে সেনা-বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশের কঠোর অবস্থান ও ‘ব্লক রেইড’ গণগ্রেফতার ভীতিতে রাজধানীর হোটেল ব্যবসা-ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান-ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেহালদশা

বিপর্যয়ের মুখে অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সকে মধুর সঙ্গে তুলনা করা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ, প্রবৃদ্ধি, অর্থনীতির চালিকা শক্তি হলো এই রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স মধু হলে প্রবাসী শ্রমিকরা হচ্ছে মৌচাক। সেই মৌচাকে ঢিল ছুঁড়েছে সরকার। কোটা আন্দোলনে গুলি করে আড়াইশ মানুষ হত্যা, কারফিউ জারী সেনা টহল দিয়ে আকাশে হেলিকপ্টার উড়িয়ে বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশের ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে গণগ্রেফতার, শিক্ষার্থীদের ওপর আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতিদিন ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতা এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় প্রবাসী শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ।

বিশ্বের দেশে দেশে তারা কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি বর্তমান সরকারের শাসনামলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সউদী আরবে কয়েক হাজার প্রবাসী শ্রমিক মাঠে একত্রিত হয়ে পবিত্র কোরআন হাতে নিয়ে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স না পাঠানোর শপথ করেছেন। প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স তথ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের লুকোচুরি শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে ইন্টারনেট বন্ধ গার্মেন্টস শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা বলছেন, কইন্টারনেট বন্ধে যোগাযোগ করতে না পরায় অনেক বিদেশেী ক্রেতা বিকল্প দেশ থেকে পণ্য কেনার দিকে ঝুকে গেছেন। অনেকেই অর্ডার দিয়েও সময় মতো যোগাযোগ করতে না পরায় তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফআইসিসিআই বা ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দেশের অর্থনীতিতে গত কয়েকদিনে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। একই চিত্র বিদেশে রফতানিমুখি পণ্যের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ এবং ক্ষুদ্র শিল্প, হকার, ব্যবসায়ী, গণপরিবহণ চলাচল সীমিত হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে গেছেন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান জানান, শিপমেন্টে দেরি হলে এ খাতের ক্ষতি হবে এটাই বাস্তবতা। আন্দোলনের কিছু কোম্পানি তাদের উৎপাদন ইউনিট খোলা রাখলেও ইন্টারনেটের অভাবে ব্যবসা কার্যত থেমে ছিল। এছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। শিপমেন্ট জমে গেছে, কারণ সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এতে কিছু কোম্পানি অর্ডার বাতিল হয়েছে। তাই কিছু কোম্পানি আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বাধ্য হয়েছে।

কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধে জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতি সম্পর্কীয় বিভিন্ন দিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সহিংসতা, কারফিউ, আইন শৃংখলা বাহিনীর নিষ্ঠুরতা দেশের বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কপারে ভাঁজ ফেলেছে। ইতোমধ্যেই দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। জুলাই মাসের মাসের মাঝামাঝিতে ছড়িয়ে পড়া এই সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে প্রায় আড়াইশ মানুষ মৃত্যু বরণ করেছে। কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। পাশাপাশি ভয়াবহ দুর্নীতি ও ডলার সংকটের মুখে প্রচন্ড চাপে থাকা দেশের অর্থনীতিকে আরো চাপে ফেলেছে। আন্দোলন, কারফিউ ও সহিংসতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনীতির বিভিন্ন খাত। কারণ এটি অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ব্যাহত করেছে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে এবং মিলকারখানায় উৎপাদনশীলতা কমিয়েছে। সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৮ জুলাই রাত থেকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় অর্থনীতিতে চাপ আরো বাড়িয়েছে। বিজিএমইএ-এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, কারফিউ জারি করায় বানিজ্যিকভাবে সারাদেশে দৈনিক ১৬‘শ কোটি টাকা করে মোট প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে ৩২০ কোটি টাকা করে কয়েকদিনে ২২’শ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশে সস্তা শ্রমের মতো ইতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি (আন্দোলনে গুলি করে হত্যাকান্ড, কারফিউ, ইন্টানেট বন্ধ) সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনে আশঙ্কা তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। ইতোমধ্যে তারা গ্যাস সংকটের পাশাপাশি ব্যবসার মুনাফা নিজ দেশে নেওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ দেশে তাদের ব্যবসার প্রসার বন্ধ রাখতে পারেন এমন আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ইস্যুতে কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ এবং সবকিছু বন্ধ করে রাখায় রপ্তানিমুখী শিল্প, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, রাইড- শেয়ারিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও সামাজিকমাধ্যমে আর্থিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল লাখো ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ তিন দশমিক আট বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এটি এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ছয় শতাংশ কম।

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেটরো) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ ইন্টারনেট সংযোগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কারফিউ শিথিল ও ইন্টারনেট সংযোগ শুরুর পর বাংলাদেশে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো আবার কার্যক্রম শুরু করবে।

জানতে চাইলে পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের (পলিসি এক্সচেঞ্জ) চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। বাংলাদেশে যা ঘটেছে তার সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তি ও নিজেদের বিনিয়োগ নিয়ে কয়েকজন বিদেশি বিনিয়োগকারী উদ্বিগ্ন। রপ্তানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ওভারটাইম খরচের কারণে লোকসান ও খরচ বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা করছেন। এতোদিন বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন ছিলেন কারণ তারা ইন্টারনেট না থাকায় বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। আজকের দুনিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ অপরিহার্য।

কারফিউ ও সংঘাত সংঘর্ষ এবং সড়কে সেনাবাহিনী টহল, ব্যাংকার স্থাপন, বিজিবির টহল, আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নজরদারীতে সাধারণ মানুষ খুব কম ঘর থেকে বের হচ্ছেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না। ফরে বিপনিবিতান, মাকের্টগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। ক্ষুদ্র বাবসায়ী কার্যত পুঁজি ভেঙ্গে খাচ্ছেন। অফিস আদালত খোলা থাকলেও সাধারণ মানুষের আনাগোনা কম হওয়ায় রাজধানীর খাবারের হোটেল ও আবাসিক হোটেলগুলোর ব্যবসা কমে গেছে। এমনকি বিভিন্ন ধরণের ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। রাজধানীতে একটি ছাপাখানার মালিক মো. মজিবুর রহমান বলেন, আন্দোলনের মধ্যে কারফিউ, আইন শৃংখলা বাহিনীর মারমুখি অবস্থান এবং দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় আমাকে ১০ দিনের জন্য কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। কিন্তু লোকসান হলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে। শরিফুর নামের এক ফল বিক্রেতা বলেন, লোকজনের আগাগোনা বেশি থাকলে বেচাকেনা ভাল হয়। কম থাকলে সেটা সম্ভব নয়।

এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার লেনদেনের ভুল তথ্য দিচ্ছে ব্যাংকগুলো অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে বৈদেশিক মুদ্রার সঠিক তথ্য লেনদেনের ৮ কর্মঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে আমদানি ও রপ্তানির এলসির বৈদেশিক মুদ্রায় যেকোনো মূল্য পরিশোধ ও প্রাপ্তির ৮ কর্মঘণ্টার মধ্যে ড্যাশবোর্ডে তথ্য দিতে হবে। ড্যাশবোর্ডের বিভিন্ন মডিউলের নির্ধারিত টেমপ্লেটে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান করতে হবে। এছাড়া ড্যাশবোর্ডে রিপোর্টিং তদারকির জন্য ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা করতে হবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে রিপোর্টিং বিষয়ে আগের জারি করা সব নির্দেশনা যথারীতি বলবৎ থাকবে এবং পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নতুন এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

মূলত কোটা আন্দোলনের প্রভাবে এবার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে রেমিট্যান্স। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য ক্যাম্পোইন করছে। এর মধ্যে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এরপর আর রেমিট্যান্ট তথ্য প্রকাশ করেনি।

দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি নিয়ে শুরু হয় নতুন অর্থবছর। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা, মৃত্যু, ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ, মামলা, গ্রেপ্তার ও প্রবাসীদের উৎকণ্ঠার প্রেক্ষাপটে রেমিটেন্স প্রবাহে আরো পতন দেখা দেয়। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, শুধু ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে রেমিট্যান্স কমেঠে এটা ঠিক নয়। এর পেছনে রয়েছে প্রবাসীদের ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ আন্দোলন। কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রেখেছে। তাই রেমিট্যান্স কমেছে। প্রবাসীদের বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপে তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সব প্রবাসীদের উৎসাহিত করছেন। কেউ কেউ আগামী কয়েক মাস কোনো রেমিট্যান্স না পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন রেমিট্যান্স পাঠাবেন না। শুধু তাই নয় যে প্রবাসীদের টাকায় দেশে সংসার চলে তাদের দেশে বিকল্প পথে টাকা পাঠানোর জন্য নিজেদের মধ্যে ‘সমবায় সমিতি গঠন’ গঠন করছে।

এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেকোনো দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে অর্থ পাচারকারীরা সুযোগ। এর ফলে দেখা যাবে, প্রবাসীরা অর্থ পাঠাবে, তার আত্মীয়স্বজন টাকা পাবে, কিন্তু দেশে ডলার আসবে না (হুন্ডি)। সরকারের উচিত, যেভাবেই হোক দেশের অবস্থা স্থীতিশীল করা।