Published in আমাদের সময় on Sunday 31 May 2020
পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি অমানবিক ও আর্থিকভাবে অনুচিত মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকার পরিবহনখাতে ভর্তুকি দিতে পারতো। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেয় ঠিক হবে না। সিদ্ধান্তটি পরিবর্তন করা দরকার। অর্থনীতিকে চাঙ্গ করতে চাইলে আগের চেয়েও কম ভাড়া নিতে হবে। এই ভাড়া বৃদ্ধি পরিবহন খাতে একটি নৈরাজ্যের সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, মালিকরা ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে পরিবহন চালাবেন। এরজন্য যে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন এর জন্য সরকারের কাছে তারা ক্ষতিপুরণ চাইতে পারতো। ড্রাইভার বা হেলপরদের বেতন চাইতে পারতো। সরকার ১ হাজার কোটি টাকার ৫০ লাখ পরিবারকে ২৫০০ টাকা কওে যে প্রণোদণা দিয়েছে তাতে ড্রাইভার হেলপাররাও রয়েছে। তাছাড়া ৩০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা থেকেও মালিকরা ঋণ নিতে পারে। কোনভাবেই মুনাফা কেন্দ্রীক পরিবহন চালু করা উচিৎ হবে না।
অর্থনীতিবিদ ও সাবেক এনবিআর সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, ছুটি শেষ মানুষ অফিস বা কাজে যাবে। তাদের কর্মকাণ্ডে বাজারে চাহিদার সৃষ্টি হবে। অর্থনীতিকে ছন্দে ফেরাতে তাই গণপরিবন চালু জরুরি। ভাড়া বৃদ্ধি করে সরকার তার দায়িত্ব মানুষের কাঁধে তুলে দিয়েছে। এখন মানুষ তার অবশিষ্ট সঞ্চয় ভংগে, না খেয়ে ভাড়া মেটাবে। সরকার রাজস্ব ঘাটতিতে আছে তাই আর মানুষের দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। এমনিতেই সরকারের সাহায্য প্রত্যাশিত মাত্রায় নয়। এখন আর গণপরিবহনে কেন ভর্তুকি দিতে চাইবে। খুবই মানবিক সিদ্ধান্ত।