Originally posted in DW on 17 January 2025
দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছাড়িয়েছে দুই অংকের ঘর। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধ, এলপি গ্যাস, মোবাইলে ফোনের সিম কার্ডের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায় আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ পর্যায়ে শুল্ক ও কর বাড়িয়েছে সরকার।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-র সম্মানিত ফেলো ড. গোলাম মোয়াজ্জেম ডয়চে ভেলেকে বলেন, “সরকারের জন্য আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির টাকাটা খুবই প্রয়োজন। এই কারণে হয়ত সরকার সবচেয়ে সহজ পথ হিসেবে এটা করেছে। আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে এটা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার আবার সরকারি কর্মচারীদের মহার্য্য ভাতা দেওয়া ঘোষণা দিয়েছে। তাহলে তো স্ববিরোধিতা হয়ে গেল। টাকা নেই বলেই তো আপনি এটা বাড়ালেন, তাহলে আবার খরচ বাড়াতে চাচ্ছেন কেন? নিচের গ্রেডে যারা চাকরি করেন, তাদের জন্য মহার্য্য ভাতার প্রয়োজন হয়ত কিছুটা থাকতেও পারে। কিন্তু এই সুবিধা যারা বেশি পাবে, তারা তো উপরের গ্রেডে চাকরি করেন। তাহলে অর্থ সাশ্রয় হবে কিভাবে? বরং রাজস্ব বাড়াতে সরকার বিকল্প পথ খুঁজতে পারত।
ড. গোলাম মোয়াজ্জেম ডয়চে ভেলেকে বলেন, “২০২১ সালের এক গবেষণায় আমরা দেখেছি, ওই বছর সরকার যত মানুষের কাছ থেকে যে পরিমান ট্যাক্স পেয়েছে, ঠিক সমপরিমান আরো ট্যাক্স সরকারের পাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা ট্যাক্স দেয়নি। তাদেরকে ট্যাক্সের আওতায় আনতে সরকারের পদক্ষেপগুলোও স্পষ্ট না। এদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। যারা ট্যাক্স দিচ্ছে তাদের উপর চাপ না বাড়িয়ে, এর আওতা বাড়াতে হবে।”