দৈনিক বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) যৌথভাবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান-কে সংবর্ধনা প্রদান করে। গত ১৬ই মার্চ ২০১৭ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ ‘গুনীজন সংবর্ধনা ২০১৭” আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সংবর্ধনার উপর আরো সংবাদ পড়ুন
Published in বণিক বার্তা on Friday, 17 March 2017
সংবর্ধিত রেহমান সোবহান
গবেষণা, নীতিপরামর্শ ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অনন্য নাম অধ্যাপক রেহমান সোবহান। প্রথিতযশা এ অর্থনীতিবিদকে সংবর্ধিত করল বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ সংবর্ধনা দেয়া হয় তাকে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানসহ দেশের বিভিন্ন খাতের বরেণ্য ও অগ্রণী ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডিএসের সঙ্গে যৌথভাবে গুণীজন সংবর্ধনা দিয়ে আসছে বণিক বার্তা। তৃতীয় আয়োজন হিসেবে অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে এ বছর সংবর্ধিত করল দুই প্রতিষ্ঠান। বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পর অধ্যাপক রেহমান সোবহানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন তার বন্ধু, অনুজ ও সুধীরা।
অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে বন্ধুবর হিসেবে উল্লেখ করে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব শুরু ১৯৬০ সালে। আজ ২০১৭ সাল। এখনো আমাদের বন্ধুত্ব আছে। আমরা একসঙ্গে চিন্তাভাবনা করি।
স্বাধীনতার পর গঠিত পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান। ওই কমিশনের সদস্য হিসেবে শিল্প, বিদ্যুত্ ও প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অবকাঠামো বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন এ অর্থনীতিবিদ। প্রথমবারের মতো দেশের জন্য একটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাও তৈরি করে ওই কমিশন। পরিকল্পনা কমিশনে অধ্যাপক রেহমান সোবহানের অবদানের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির জন্য দেশের অর্থনীতি নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করা হয় সে সময়। সেসবের মূল্যায়ন যদি করি, তাহলে বলতে হয়, সেগুলো অনেক উত্তম কাজ ছিল। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রতিবেদনটি অত্যন্ত মূল্যবান কাজ। আমি সবসময় এটি ব্যবহার করি। দেশের অর্থনীতির মৌলিক সমস্যাগুলো ওই প্রতিবেদনে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।
এ কৃতী মুখকে সংবর্ধিত করার অনুভূকি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আজ একজন বন্ধুকে সম্মানিত করার সুযোগ পেলাম। এজন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে অনেক ধন্যবাদ। দেশের জন্য তার অনেক ভূমিকা আছে। স্যালুট, ইউ রেহমান সোবহান।
অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সবচেয়ে বড় গুণ হলো, তিনি যা বিশ্বাস করেছেন, যুক্তি দিয়ে বিরতিহীনভাবে সে বিষয়ে কথা বলেছেন। ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার অংশীদার হয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে তার ভূমিকা। সারা জীবন তিনি আপসহীনভাবে কাজ করেছেন। বৈষম্যমুক্ত যে সমাজের স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, আশা করি তার কিছু অগ্রগতি দেখে যেতে পারবেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান তার শিক্ষাজীবনে ১৯৫৬ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তার শিক্ষাজীবন বিস্তৃত হয়েছে অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েও। ১৯৫৭ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন রেহমান সোবহান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ছাত্র ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সে সময়ের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, শিক্ষকতার বাইরে গিয়েও তিনি যেসব কাজ করেছেন, তা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দুই অর্থনীতি, দুই দেশ, দুই জাতি বিবর্তনে অনুঘটকের কাজ করেছেন তিনি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল উজ্জ্বল। তিনি কেবল একজন শিক্ষকই নন, নিভৃতচারী একজন রাজনীতিকও।
অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে গণ-অর্থনীতিবিদ বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, অধ্যাপক রেহমান সোবহান কখনো এমন কিছু করেননি, যা উদ্দেশ্যহীন। তিনি সবসময় ন্যায়ভিত্তিক বা সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য নিবেদিত থেকেছেন। স্বাধীনতার আগে ও পরে তিনি তার ভূমিকা দিয়ে এ দেশেকে সমৃদ্ধতর করেছেন, উন্নততর করেছেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে একজন জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে উল্লেখ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অধ্যাপক রেহমান সোবহানের তুলনা কেবল তিনি নিজেই। তিনি একাধারে একজন অর্থনীতিবিদ আবার সমাজবিজ্ঞানীও। সমাজের বৈষম্য দূর করার জন্য তিনি সারা জীবন কাজ করেছেন। দেশ-বিদেশে তিনি সমানভাবে সমাদৃত। অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে তার কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা মানেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
পরিকল্পনা কমিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পর বিআইডিএসের জন্যও কাজ করেন এ অর্থনীতিবিদ। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, গবেষণা পরিচালক, মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগেরও (সিপিডি) প্রতিষ্ঠাতা এ অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৬-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
বিআইডিএসে এ অর্থনীতিবিদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান মহাপরিচালক ড. কেএএস মুরশিদ বলেন, অধ্যাপক রেহমান সোবহান যে ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন, তা-ই বিআইডিএসের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। দেশের অর্থনীতি ও সমাজ নির্মাণের বিভিন্ন খাতে তিনি তার ভূমিকা যুক্তি দিয়ে শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন।
খ্যাতিমান এ অর্থনীতিবিদের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান।
এর পর অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে সংবর্ধিত করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন ও
একটি পোর্ট্রেট তুলে দেন। সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. কেএএস মুরশিদ ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। অনুষ্ঠানের সব শেষে ছিল শামা রহমানের সংগীত পরিবেশনা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের চেয়ারম্যান এমএ মোমেন, সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, ইউজিসির চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, নারী নেত্রী হামিদা হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক সালেহ উদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (মন্ত্রী পদমর্যাদা) ড. শামসুল আলম, বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এম শামসুল আলম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামছুল হক, উন্মুক্ত বিশ্ববদ্যালয়ের উপাচার্য এমএ মান্নান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আক্তার হোসেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক শরীফ উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, কলামিস্ট আবুল মকসুদ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এটিএম নূরুল আমিন, অধ্যাপক তাজিন মুরশিদ, একুশে টিভির সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক রাষ্ট্রদূত কায়সার মোরশেদ, থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমসের উপদেষ্টা শাহ জামান মজুমদার (বীর প্রতীক), সুলতান হাফিজ, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিপিডির ডায়ালগ ও কমিউনিকেশনের পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা, বুয়েটের শিক্ষক ফারসীম মোহাম্মদী মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আবু আহমেদ, এমএম আকাশ, এমএ তসলিম, বিএসইসির সদস্য স্বপন কুমার বালা, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু তাহের খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য শরীফ এনামুল কবির, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক প্রিয়ব্রত পাল, সৈয়দ মোহাম্মদ সাজ্জাদ কবির, মো. আনিসুর রহমান, আতাউল গণি, শারমিন হাসান, বিডি ভেঞ্চারের এমডি শওকত হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. সাদ’ত হুসাইন, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মনজুর হোসেন ও আনোয়ারা বেগম, আইএলওর সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা রিজওয়ানুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সিআর আবরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ, বার্জার পেইন্টের এমডি রূপালী চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, সাবেক জজ ইকতেদার আহমেদ, বিআইজিডির সিমীন মাহমুদ, সাবেক সচিব জহুরুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর রুমী এ আলী, ব্যরিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহ্বুব উল্লাহ্, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ মঈন।
আরো উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিটিআরসি সচিব মো. সরওয়ার আলম, এসিআই লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (এগ্রিবিজনেস) ড. ফা হ আনসারী, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মহিউদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল বায়েস, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীর, অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক মো. শরিফ উদ্দিন, অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা, ডিজিএম রুপ রতন পাইন, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জায়েদ বখ্ত, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের এমডি মনজুর আহমেদ, এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের এমডি কাজী মসিহুর রহমান, মেঘনা ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ নূরুল আমিন, বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. শামস-উল-ইসলাম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুস সালাম, এনসিসি ব্যাংকের এমডি গোলাম হাফিজ আহমেদ, প্রাইম ব্যাংকের এমডি আহমেদ কামাল খান চৌধুরী, পূবালী ব্যাংকের এমডি মো. আব্দুল হালিম চৌধুরী, দি ফারমার্স ব্যাংকের এমডি এম কে এম শামীম, ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি মো. নাজমুস সালেহীন, এনআরবি ব্যাংকের এমডি মুখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, মোহাম্মদ আলী, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান উপ-পুলিশ কমিশনার (রমনা বিভাগ) মো. মারুফ হোসেন সরদার। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির, গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমির সিইও এটিএম নজরুল ইসলাম, নভোএয়ারের এমডি মফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. লুত্ফর রহমান, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মান সংস্থার মহাপরিচালক ড. সৈয়দ হুমায়ূন কবীর, রাইস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেন রনি, বিইআরসির পরিচালক (গ্যাস) এ কে এম মনোয়ার হোসেন আখন্দ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শরিফ উদ্দিন, ড. শামসুল আলম, বিএসসিসিএলের এমডি মনোয়ার হোসেন, রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের সিইও শরীফ এমএ রহমান, জিএসপি ফিন্যান্সের এমডি মামুন শাহ, এমটিবি সিকিউরিটিজের এমডি নজরুল ইসলাম মজুমদার, ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, মসলিন ক্যাপিটালের এমডি ওয়ালিউল মারুফ মতিন, বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবির ভুইয়া, লাফার্জ সুরমা ও লিন্ডে বিডির পরিচালক মাসুদ খান, এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগের মহাপরিচালক বেলাল হোসেন চৌধুরী, ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের উপদেষ্টা নাসির এ চৌধুরী, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের সিইও মোহাম্মদী খানম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের সিইও জামাল মোহাম্মদ আবু নাসের, আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আমিরুল আলম খান, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব ড. মোল্লা আমির হোসেন, বিএলআরআইয়ের সাবেক ডিজি ড. জাহাঙ্গীর আলম।
Published in The Daily Star on Friday, 17 March 2017
Rehman Sobhan an inspiration and living legend
Speakers tell event
Staff Correspondent
Politicians, economists, and civil society members yesterday praised Prof Rehman Sobhan as an inspirational figure and pro-people economist and recalled his contribution to nation building.
They said his projection on the economic disparity between the two parts of Pakistan had inspired the young generation to fight against the inequality and wage a struggle that led to Bangladesh’s independence from West Pakistan in 1971.
The words of appreciation came at a programme where the economist was felicitated by Bangla daily Bonik Barta and think-tank Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS).
It was held at Sonargaon hotel in the capital Thursday night.
Finance Minister AMA Muhith said Prof Sobhan fought against the economic disparity in the two parts of Pakistan. As a young university teacher, he inspired his students through his writings, Muhith said.
The minister said Sobhan was a member of the panel of economists to review the Third and Fourth Five Year Plans of Pakistan, which he still used.
Planning Minister AHM Mustafa Kamal said Prof Sobhan was a source of inspiration for them. “He is a living legend.”
Eminent lawyer and politician Dr Kamal Hossain narrated the story of how Prof Sobhan became well known for his writings on the economic disparity between the eastern and western parts of Pakistan in 1961.
Civil Aviation and Tourism Minister Rashed Khan Menon, who was also a student of Prof Sobhan, said they were highly inspired by him.
Wahiduddin Mahmud, former professor of economics at Dhaka University, said Prof Sobhan was a not a traditional economist, but rather he was a political, social and pro-people economist.
In his speech, Prof Sobhan said structural injustices created poverty.
Prevailing structural injustices, such as unequal access to assets, unequal participation in the market, unequal access to human development and unjust governance, do not empower the poor politically and economically, he said.
Former finance minister M Syeduzzaman, former minister Moudud Ahmed, BIDS Director General KAS Murshid and Bonik Barta Editor Dewan Hanif Mahmud, also spoke among others, at the programme.
Prof Sobhan was educated at Cambridge University and began his career at the Department of Economics, Dhaka University in 1957 and retired as professor in 1977.
He served as member of Bangladesh Planning Commission, member of the Advisory Council of the President of Bangladesh in 1991, and was in charge of the Ministry of Planning and the Economic Relations Division.
He is the founder and chairman of the think tank Centre for Policy Dialogue (CPD).
Prof Sobhan has published 27 books, 15 research monographs, and 140 articles in professional journals.
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক রেহমান সোবহান
কাঠামোগত অন্যায্যতা অন্তহীন দারিদ্র্য সৃষ্টি করে
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেছেন, ‘কাঠামোগত অন্যায্যতা অন্তহীন দারিদ্র্য সৃষ্টি করে। এতে গরিব মানুষের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নও হয় না। এটি আমাকে চিন্তিত করে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) যৌথভাবে এই গুণী অর্থনীতিবিদকে সংবর্ধনা দেয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সরবরাহ করা লিখিত বক্তব্যে রেহমান সোবহান এসব কথা বলেন।
সোনারগাঁও হোটেলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধিত অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্যায্যতার শিকার হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে এবং বাজার অর্থনীতিতে সুষম অংশগ্রহণের অভাবে সম্পদের ওপর গরিব মানুষের মালিকানার ক্ষেত্রে বৈষম্য বেড়েছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রেহমান সোবহানের মতে, অন্যায্যতা ও নানা বৈষম্যের কারণে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি। সম্পদের ওপর সর্বস্তরের মানুষের সুষম মালিকানা ও বাজার অর্থনীতিকে সক্রিয় করার মাধ্যমে এই অন্যায্যতা ঠিক করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
এই প্রবীণ অর্থনীতিবিদ পাকিস্তান আমলে দুই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘পাকিস্তানে দুই অর্থনীতির বৈষম্য নিয়ে রেহমান সোবহান লড়াই করেছেন। তিনি আমাদের জাতীয় চরিত্র গঠনে অবদান রেখেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রেহমান সোবহান যখন পরিকল্পনা কমিশনে ছিলেন, তখন যে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৭৩-৭৮) তৈরি করেন, সেটা আমি এখনো ব্যবহার করি। ওই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অর্থনীতির মৌলিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘তিনি (রেহমান সোবহান) আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস, জীবন্ত কিংবদন্তি।’
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘তিনি (রেহমান সোবহান) যেটা বিশ্বাস করেছেন, সেটা বিরতিহীনভাবে বলে গেছেন। ১৯৬১ সালে তিনিই প্রথম পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, রেহমান সোবহান প্রথাগত অর্থনীতিবিদ নন; তিনি রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ-অর্থনীতিবিদ। তিনি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নেতা মওদুদ আহমদ, বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ।