Originally posted in বণিকবার্তা on 8 August 2025
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক বছরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির কিছু সূচকে উন্নতি হয়েছে। ব্যাংক খাতে কিছু দৃশ্যমান সংস্কার হয়েছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। ক্ষয় বন্ধ হয়ে রিজার্ভ বাড়ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক বছরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির কিছু সূচকে উন্নতি হয়েছে। ব্যাংক খাতে কিছু দৃশ্যমান সংস্কার হয়েছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। ক্ষয় বন্ধ হয়ে রিজার্ভ বাড়ছে। এক বছর আগে সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে নাজুক পরিস্থিতি ছিল, সেটি কেটে গেছে। তবে মূল্যস্ফীতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। রাজস্ব আহরণও বাড়েনি। বিনিয়োগ খরা কাটেনি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিনিয়োগ না বাড়ায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথও থমকে আছে। অর্থাৎ অর্থনীতির মৌলিক সমস্যাগুলোর দুর্বলতা থেকে গেছে।
গণ-অভ্যুত্থানের সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল বিপুল। প্রত্যাশা পূরণে সরকার নানা সংস্কার কার্যক্রমের কথা বলেছিল। কিন্তু এক ব্যাংক খাত ছাড়া অন্য কোথাও দৃশ্যমান সংস্কার হয়নি। বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের যেসব অস্বচ্ছতা ও সংকট ছিল সেগুলো থেকে গেছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, প্রশাসনিক অদক্ষতা—সবকিছুই আগের মতো চলছে। সাফল্য ও ব্যর্থতার পরিমাপ করলে এ সরকার ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে পারে। আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে সরকারের সাফল্যের পাল্লা ভারী হবে। ব্যর্থতা কাটিয়ে সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে যাবে।
ড. ফাহমিদা খাতুন: নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)



